শিরোনাম
◈ ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ ইরানে ইসরায়েলের হামলার খবরে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্ক ◈ বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে বাস ঢু‌কে প্রকৌশলী নিহত ◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ ভেটোর তীব্র নিন্দা,মার্কিন নীতি আন্তর্জাতিক আইনের নির্লজ্জ লংঘন : ফিলিস্তিন ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২০ মে, ২০১৮, ০৪:৪১ সকাল
আপডেট : ২০ মে, ২০১৮, ০৪:৪১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

যেভাবে ‘তারাবি’ এলো

আমিন মুনশি: রোজার সঙ্গে সঙ্গে যে ইবাদতের নাম সর্বাগ্রে আসে তা হলো তারাবির নামাজ। ‘তারাবি’ শব্দের আভিধানিক অর্থ বিশ্রাম বা আরাম। তারাবির নামাজ মূলত তাহাজ্জুদ নামাজেরই আরেকটি নাম। কিন্তু রমজান মাসে সর্বসাধারণ যেন এ থেকে কল্যাণকামী হতে পারে তাই রাতের প্রথম ভাগে অর্থাৎ এশার নামাজের পরপরই এ নামাজ পড়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

তারাবির নামাজ সম্পর্কে হজরত আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, “একদিন গভীর রাতে মহানবি (সা.) মসজিদে গেলেন এবং নামাজ পড়লেন। কিছু লোকও নবিজীর পেছনে তখন নামাজ পড়লেন। ভোর হওয়ার পর সাহাবায়ে কেরাম পরস্পরের সঙ্গে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করায় দ্বিতীয় রাতে লোকসংখ্যা আরও বেড়ে গেল এবং তারা মহানবির (সা.) সঙ্গে নামাজ পড়ল। সেদিন ভোর হওয়ার পর লোকদের মধ্যে আরও বেশি আলোচনা হলো এবং তৃতীয় রাতে মসজিদের লোক সমাগম আরও বেশি হলো। মহানবি (সা.) বাইরে বের হয়ে নামাজ পড়লেন আর তারাও নবিজীর সঙ্গে নামাজ পড়লেন। যখন চতুর্থ রাত এলো তখন এত লোক সমাগম হলো যে, মসজিদে স্থান সংকুলান হলো না। কিন্তু তিনি এ রাতে তারাবির নামাজের জন্য বের হলেন না। ভোর হলে ফজরের নামাজের জন্য বের হলেন এবং ফজরের নামাজ শেষে লোকদের দিকে মুখ ফিরিয়ে তাশাউদ পাঠের পর বললেন- তোমাদের বিষয়টি আমার কাছে গোপন ছিল না। কিন্তু আমি আশঙ্কা করছিলাম, এ নামাজ না আবার তোমাদের ওপর ফরজ করে দেওয়া হয়। আর তোমরা তা পালনে ব্যর্থ হও। মহানবি (সা.) ইন্তেকাল করলেন এবং এ নামাজের বিষয়টি তেমনই রইল”। (বুখারি)।

মহানবি (সা.) নিজে তারাবি নামাজ পড়েছেন এবং সাহাবায়ে কিরামকে পড়ার জন্য আদেশ দিয়েছেন। তারাবি নামাজের ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে উল্লেখ আছে, মহানবি (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে ও সওয়াবের আশায় রমজানে তারাবির নামাজ আদায় করে তার পূর্ববর্তী সব গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়'। (বুখারি, মুসলিম, আবু দাউদ, নাসাঈ)। হযরত আমর বিন মুররাহ আল-জুহানী হতে বর্ণিত, তিনি বলেন- “কুযাআ’হ গোত্রের এক ব্যক্তি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট এসে বলল- হে আল্লাহর রাসুল! আমি যদি এই মর্মে সাক্ষ্য দেই যে, আল্লাহ ছাড়া (ইবাদতের উপযুক্ত) কোনো উপাস্য নেই এবং আপনি আল্লাহর রাসুল, পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করি, রমজান মাসের সিয়াম পালন করি, তারাবিহ সালাত আদায় করি ও জাকাত প্রদান করি, তাহলে আমার ব্যাপারে আপনার মতামত কি? রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন- ‘যে ব্যক্তি এর উপর মৃত্যুবরণ করবে সে সত্যবাদী ও শহীদদের মধ্যে গণ্য হবে”। (ইবনে খুযায়মা, ইবনে হিব্বান, তারগীব)

আল্লাহ তায়ালার ভালোবাসা পেতে হলে নফল ইবাদত একান্ত প্রয়োজন। আমরা যেন পবিত্র এই রমজানে ফরজ ইবাদতের পাশাপাশি অনেক বেশি নফল ইবাদত করতে পারি। আল্লাহ তায়ালা আমাদের তাওফিক দান করুন। আমিন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়