শিরোনাম
◈ সন্ত্রাসী অপরাধে গ্রেপ্তারদেরও নিজেদের কর্মী দাবী করছে বিএনপি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ গাজীপুরে হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু  ◈ বিশৃঙ্খলার পথ এড়াতে শিশুদের মধ্যে খেলাধুলার আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ◈ তাপপ্রবাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসও বন্ধ ঘোষণা ◈ সোনার দাম কমেছে ভরিতে ৮৪০ টাকা ◈ ঈদযাত্রায় ৪১৯ দুর্ঘটনায় নিহত ৪৩৮: যাত্রী কল্যাণ সমিতি ◈ অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে বিটিআরসিতে তালিকা পাঠানো হচ্ছে: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ◈ পাবনায় হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত : ২০ মে, ২০১৮, ০৪:১৪ সকাল
আপডেট : ২০ মে, ২০১৮, ০৪:১৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অর্থনীতির ঝুঁকি ব্যাংকিং খাতের দুর্নীতি

ডেস্ক রিপোর্ট: গ্যাস-বিদ্যুতের স্বল্পতা ও অবকাঠামো দুর্বলতার পাশাপাশি বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নে ধীরগতি, ভর্তুকির চাপ বেড়ে যাওয়া, আয় বৈষম্য বৃদ্ধি অর্থনীতিতে ঝুঁকি তৈরি করছে। সেইসাথে দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যাংকিং খাত সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি তৈরি করছে। চলতি অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ) অর্থনীতির গতি-প্রকৃতি পর্যালোচনা করে এমনটি উল্লেখ করেছে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই)।

পর্যালোচনায় ব্যাংকিং খাতের শৃঙ্খলা ফেরাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কঠোর নজরদারি প্রয়োজন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশের অর্থনীতি ভালো অগ্রগতি হয়েছে। ৭.৬৫ ভাগ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন অর্থনৈতিক কর্মকা্লকে আরো এগিয়ে নিতে দেশের মানুষদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। কিন্তু বাংলাদেশের যে অর্জন তা প্রকৃত সম্ভাবনার চেয়ে কম। অপর্যাপ্ত অবকাঠামো ও বিনিয়োগকারীদের আত্মবিশ্বাসের অভাব নতুন বিনিয়োগকে নিরুত্সাহিত করছে। বিদ্যুত্-জ্বালানির স্বল্পতা অর্থনৈতিক উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করছে। এর সঙ্গে ধনী ও দরিদ্র্যের মধ্যে আয় বৈষম্য বেড়েছে। এ জন্য সরকারকে দরিদ্রবান্ধব আরও বেশি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি গ্রহণ করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। এমসিসিআই মনে করে, ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশ হতে গেলে বিনিয়োগ বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। এজন্য দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।

পর্যালোচনা প্রতিবেদনে অর্থনীতির প্রধান প্রধান সূচকের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়। মুদ্রাবাজার সম্পর্কে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যাংকগুলো তারল্য সংকটে ভুগছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি নাগাদ ব্যাংকগুলোতে ২ লাখ ৪৯ হাজার ৭৬০ কোটি টাকা তারল্য ছিল, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ২ লাখ ৬৭ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া ব্যাংক ঋণের সুদ চলতি বছরের প্রথম দুই মাস কম থাকলেও এরপর থেকে বাড়তে থাকে।

প্রতিবেদনে শেষ প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন) অর্থনীতির পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী দিনে রাজনৈতিক পরিস্থিতি বর্তমানের মতো শান্ত থাকার সম্ভাবনা আছে। ফলে রফতানি, আমদানি, প্রবাস আয় ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়বে। তবে রমজানের কারণে এপ্রিল-মে প্রান্তিকে মূল্যস্ফীতি বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সরকারের ৭.৬৫ ভাগ প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন নিয়ে অনেকেই সংশয় প্রকাশ করে একে ৭ শতাংশের আশে পাশে থাকবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এমসিসিআই মনে করে অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় ৭ ভাগ প্রবৃদ্ধিও অনেক ভালো অর্জন। সূত্র: ইত্তেফাক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়