শিরোনাম
◈ ফরিদপুরে বাস-পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১২  ◈ ইরানের হামলার জবাব দেবে ইসরায়েল: সেনাপ্রধান ◈ সৌদিতে কোরবানি ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা ◈ শ্রম আইন লঙ্ঘনের সাজাপ্রাপ্ত মামলায় স্থায়ী জামিন চাইবেন ড. ইউনূস ◈ ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরছে কর্মজীবী মানুষ ◈ স্বাস্থ্যখাতে নতুন অশনি সংকেত অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স: স্বাস্থ্যমন্ত্রী  ◈ কৃষি খাতে ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে তিন  বছরে সাড়ে ৩৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ ◈ বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.১ শতাংশ: এডিবি ◈ বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে বিজিপির ১৪ সদস্য ◈ ৬০ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলার তালিকা প্রকাশ করুন: মির্জা ফখরুলকে ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত : ২০ মে, ২০১৮, ০৩:৫২ রাত
আপডেট : ২০ মে, ২০১৮, ০৩:৫২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

খুলনার সিটি নির্বাচন হয়েছে পেশী শক্তির দাপটে: রুহিন হোসেন প্রিন্স

খুলনার সিটি নির্বাচনে টাকার খেলা এবং পেশী শক্তির দাপটের উপর দিয়েই নির্বাচন হয়েছে। একটা হিসাব করে দেখলে দেখা যায়, ২২ দিনে প্রতিদিন ২০০-৩০০ টাকা দিতে গেলে কী পরিমাণ টাকার খেলা ছিল। সেটা দেশের মানুষই বুজতে পেরেছে। আমাদের নতুন সময়ের সাথে আলাপকালে এসব মন্তব্য করেন সিপিবির সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স।

তিনি বলেন, আমি একটা তথ্য দেই তাহলে দ্বিতীয় তথ্যের আর দরকার হবে না। ৩১ টা ওয়ার্ড ছিল। খোঁজ নিয়ে দেখা যাবে, প্রতিদিন ১৫০-২০০ ভাড়াটে ওয়ার্কার তারা নামিয়েছে। দলীয় কর্মীর বাহিরে এই কাজ করেছে প্রায় প্রতিদিন ১৫-২০ হাজার নানা ধরনের মানুষ। খুলনা ছাড়া খুলনার বাহিরেও নির্বাচনের ক্যাম্প ছিল। নির্বাচন দূর থেকে দেখে মনে হবে একটা ভালো ভোট হয়েছে, কিন্তু এটা ভালো ভোট বলে মানতে পারছি না। ভোট যেদিন হয়েছে সেদিন সকালে আমরা খবরে দেখেছি, নানা জায়গায় নানা ধরনের কারসাজির চেষ্টা চলছে এবং বিভিন্ন জায়গায় জটলা ছিল। আমি বলি, সরকারী দলের নামধারীদের দখলদারিত্বের দৌরাত্মে নির্বাচনকে আমরা দেখতে পেলাম। কিন্তু উপরি চেহারা যেটা দেখছি, ভেতরটা কিন্তু আসলেই তা নয়।

তিনি আরও বলেন, আমি সবচেয়ে বেশী আশ্চর্য হলাম, নির্বাচন কমিশনের সচিবের বক্তব্যে। ফেয়ার ভোট হলে আমার বিবেচনায় ভোট আরো বেশী পরত। মানুষের মধ্যে কিন্তু আগ্রহ ছিল। নির্বাচন কমিশন বলেছে, এটা ভালো নির্বাচন হয়েছে। এটাই যদি ভালো নির্বাচন হয়ে থাকে, তাহলে আমি সচিব সাহেবকে অনুরোধ করবো। আমি জানি না আপনি কোন দেশ থেকে আসছেন। বাংলাদেশের জিয়াউর রহমানের আমলেও আমরা দেখেছি এ ধরনের কারসাজির নির্বাচন এবং এরশাদের আমলেও আরো খারাপ নির্বাচন দেখেছি।

মানুষের ভোট দেওয়ার আগ্রহ চলে গেল সকাল থেকেই। বিভিন্ন অঞ্চল ও মহল্লায় ভোট দেওয়া যাবে না। আমার দলে যে প্রার্থী ছিল তার শাশুড়ি বৃদ্ধা মহিলা, ভোট দিতে যাওয়ার আগে তাকে চিনে নাই। তাকে বলতেছে, ‘খালাম্মা আপনার ভোট দেওয়া হয়ে গেছে, আপনি চলে যান’। এই রকম খারাপ অবস্থা হয়েছে এবং তাকে ১০০ টাকা দিয়ে বলেছে, এই নিন খালাম্মা রিকশা ভাড়া। এ অবস্থায় মহিলা যখন চিল্লাপাল্লা শুরু করেছে। তখন করার তো কিছু নাই, আপনার ভোট তো দেওয়া হয়ে গেছে। এ রকম অনেকের ক্ষেত্রেই হয়েছে এবং দুপুরের পরে  অনেক জায়গায়ই ভোট দেবার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। তা না হলে এই ভোটের পরিমাণ আরও বেশী হত বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

সম্পাদনা : জাফরুল আলম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়