গুম করেছেন, থানায় বন্দী করেছেন, টিয়ারশেল ছুঁড়ে আহত করেছেন, রাবার বুলেটে রাতুলদের বুক ঝাঁঝরা করেছেন এবং ষড়যন্ত্রকারীদের দ্বারা হামলাও করেছেন। পেরেছেন কি ছাত্র আন্দোলন বন্ধ করতে? না, পারবেন না। ছাত্ররা হারতে শিখেনি। সেটা তো ইতিহাসই শিক্ষা দেয়। ইতিহাসের পাতায় ৫২, ৬২, ৭১, ৯০ লিখে রাখবেন। আর এই সনাতন পদ্ধতিতে ছাত্রদের দমাতে আসবেন, তা তো হয়না। হে বাংলাদেশ, শুনে রাখো- ‘ছাত্ররা কখনো অযৌক্তিক দাবিতে আন্দোলন করে না। ওরা যুগে যুগে অন্যায় আর বৈষম্যের বিরুদ্ধেই সোচ্চার হয়। ওদের দমাতে এসো না। তাহলে নিজেরাই পুঁড়ে ছাই হয়ে যাবে।’
হে প্রিয় মাতৃভূমি, দয়া করে সুকান্তের আঠারো বছরের যৌবনে টগবগে তারুণ্যের পিছনে লেগো না। এরা দুঃসহ সাহসী, জ্বলে পুঁড়ে মরে ছারখার হবে; তবুও মাথা নুয়াবে না। এরা সালাম, বরকত আর রফিক জব্বারের প্রতিচ্ছবি। অকুতোভয় বীর সৈনিকেরা যুগে যুগে নুরু, রাশেদ, মামুন, ফারুক হয়ে ফিরে আসে। তুমি ওদের কাপুরুষ ভেবো না, যারা কি না নিঃস্বার্থে মাতৃভূমির সাথে বেঈমানি করে। ওরা মুজিবের স্বপ্নের বাংলা গড়ার কারিগর। ওরা অমর, ওরা মানুষের হৃদয়ে বাঁচে। ওদের বাঁচতে দাও। ওদের বৈষম্যের আগাছা তুলতে দাও। ওদের পৃথিবীর ঝঞ্ঝাট মুছতে দাও। সাহস থাকলে কেউ আপনাকে হারাতে পারবে না।
পরিচিতি : যুগ্ম আহবায়ক, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ, শাবিপ্রবি/ মতামত গ্রহণ : নৌশিন আহম্মেদ মনিরা / সম্পাদনা : জাফরুল আলম
আপনার মতামত লিখুন :