ডেস্ক রিপোর্ট : কানাডায় শহর এবং গ্রামের চার লাখ মানুষের ওপর একটি গবেষণায় দেখা গেছে, শহরের চেয়ে প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলে বসবাস করা মানুষ আট গুণ বেশি সুখী। সুখের মাত্রা নির্ণয়ে সচরাচর যেসব মানদণ্ড ব্যবহার করা হয়, এ গবেষণায়েও সে রকম ১০টি মানদণ্ড প্রয়োগ করা হয়। এসব মানদণ্ডের ওপর শহর ও গ্রামের মানুষকে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করা হয়। এসব প্রশ্নের ভিত্তিতে উভয় পক্ষ গড়ে যে পয়েন্ট পেয়েছে, এর ভিত্তিতে গবেষকরা বলছেন, শহরের চেয়ে গ্রামের মানুষ নিজেদের জীবনযাপন নিয়ে প্রায় আট গুণ বেশি সুখী।
গবেষকরা জানান, গ্রামের চেয়ে শহরের মানুষের মাসিক আয় বেশি। স্বাস্থ্যসেবাও তুলনামূলক ভালো। শিক্ষাব্যবস্থাসহ অন্য অনেক সুযোগ-সুবিধাও শহরের বাসিন্দারা বেশি ভোগ করে। এরপরও শহরের মানুষ গ্রামের মানুষের চেয়ে অনেক কম সুখী।
গবেষকরা জানান, সুখের এ তারতম্যের পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম কারণ শহরের ‘বিচ্ছিন্নতা’ আর গ্রামের ‘সামাজিক বন্ধন’। গবেষকদলের প্রধান বলেন, শহরের বাসিন্দাদের অসুখী হওয়ার অন্যতম কারণ হলো, তারা একে অন্য থেকে বিচ্ছিন্ন। বন্ধু কিংবা স্বজনদের সঙ্গে তাদের সাক্ষাৎ হয় না বললেই চলে। আর এই বিচ্ছিন্নতা নানা ধরনের সমস্যার সৃষ্টি করে। অন্যদিকে গ্রামের মানুষের মধ্যে সামাজিক বন্ধন অনেক শক্তিশালী।
বিষয়টি বৈজ্ঞানিকভাবে বিশ্লেষণ করেছেন গবেষকরা। তাঁরা বলেন, মানুষ যখন বিচ্ছিন্ন থাকে, তখন মস্তিষ্কে এমন সব হরমোনের নিঃসরণ বেশি ঘটতে থাকে, যেগুলো ভয় ও হতাশা বাড়ায়। সূত্র : কালের কণ্ঠ
আপনার মতামত লিখুন :