জান্নাতুল ফেরদৌসী: চায়ের রাজধানী বলে খ্যাত মৌলভীবাজারে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের ফলে বদলে গেছে চা বাগানের চিত্র। সবকটি বাগানে সবুজ কচি পাতার সমারোহ আর উৎপাদান ভালো হওয়ায় বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে চা উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা। গত বছর এখানে দীর্ঘস্থায়ী বন্যায় মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয় চা উৎপাদন। কিন্তু চলতি বছরের এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া পরিমিত বৃষ্টিপাতে প্রাণ ফিরে পায় চা বাগানগুলো। পাহাড়ের ভাজে ভাজে সবুজের গালিচায় মোড়ানো চা বাগান। এই সব বাগানের কচি পাতা সংগ্রহ করে কারখানায় আনেন শ্রমিকরা। পরে সেগুলোকে বিভিন্ন মেশিনের সাহায্যে প্রক্রিয়াজাত করা হয়।
চা শ্রমিক জানান, বৃষ্টি হওয়ায় চা-বাগানে নতুন পাতা বের হয়েছে। আগে বৃষ্টি কম হতো। এবার বৃষ্টি হওয়ায় পাতাও বেড়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবার চা বাগানে সামান্য রোগবালাই দেখা দিলেও শুরু থেকেই উৎপাদনে ভালো অবস্থানে রয়েছে মৌলভীবাজার। এরকম বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলেও মনে করেন তারা।
মৌলভীবাজার রাজনগর মাথিউড়া চা বাগানের ম্যানেজার মো. জাফর ইকবাল বলেন, এই অঞ্চলে যতগুলো বাগান রয়েছে, সবগুলোতে ভাল ফলন হয়েছে। এতে করে গত বছরের যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল। সেটা এবার ছড়িয়ে যাবে। সূত্র: সময় টিভি,
মৌলভীবাজার শ্রীমঙ্গল টি-স্টেটের পরিচালক আজিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, চা-বাগানে ফাস্ট অ্যান্ড ডিজিজের কারণে চা উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটেছে। তবে, আশাকরি আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এই বিপর্যয় কেটে যাবে।
শ্রীমঙ্গলে দেশের দ্বিতীয় চা নিলাম কেন্দ্রের কার্যক্রম সোমবার (১৪ মে) আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। মৌলভীবাজারের চা বিশেষজ্ঞ আজিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, ৭০-৭৫ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হয়। এটা চট্টগ্রাম পাঠাতে খরচ হয় প্রায় ৩-৪ কোটি টাকা। এই টাকা সাশ্রয় হবে।
বাগান মালিকদের দেয়া তথ্য মতে, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সিলেট অঞ্চলের ১শ’ ৪৫টি চা বাগান থেকে প্রতিবছর অন্তত ৭ কোটি কেজি চা উৎপাদন হয়।
মৌলভীবাজারের ৯৩টি চা বাগানে প্রত্যক্ষভাবে কাজ করছেন প্রায় ৫৫ হাজার শ্রমিক। বাংলাদেশ চা বোর্ডের হিসাব মতে, ২০১৭ সালে সারাদেশে ৭ কোটি ৯০ লাখ কেজি চা উৎপাদন হয়। সম্পাদনা: আনিস রহমান
আপনার মতামত লিখুন :