শিরোনাম
◈ নির্বাচনি ইশতেহারের আলোকে প্রণীত কর্মপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের আহবান শিল্পমন্ত্রীর  ◈ প্রচণ্ড গরম থেকেই ঘটতে পারে মানবদেহের নানা রকম স্বাস্থ্য ঝুঁকি ◈ অবশেষে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি  ◈ ইসরায়েল পাল্টা হামলা করলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে জবাব দেবে ইরান: উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ মিয়ানমারের আরও ১০ সেনা সদস্য বিজিবির আশ্রয়ে ◈ সয়াবিনের দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত বিএনপির ◈ কেউ যেন নিরাপত্তাহীনতায় না থাকি, আইনের শাসনে জীবনযাপন করি: ড. ইউনূস ◈ মা, স্ত্রী ও দুই ছেলে নিয়ে ঢাকা ফিরছিলেন রফিক, পথে প্রাণ গেল সবার ◈ স্থায়ী জামিন না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছি: ড. ইউনূসের আইনজীবী

প্রকাশিত : ২০ মে, ২০১৮, ০৪:৫৮ সকাল
আপডেট : ২০ মে, ২০১৮, ০৪:৫৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

২৫ হাজার কোটি প্রকল্প নিয়ে কাশ্মীরে নরেন্দ্র মোদী

নূর মাজিদ: কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা জুড়ে ভারত ও পাকিস্তানি সেনাদের মাঝে তীব্র সংঘর্ষের একদিন পরেই তার নির্ধারিত সফরে শনিবার কাশ্মীরে পৌঁছেছেন। শুক্রবারের ঐ সংঘর্ষে দুইপক্ষে অন্তত ৯ জন বেসামরিক নাগরিক এবং ১ ভারতীয় সেনা সদস্য নিহত হয়েছিলেন। তবে, মোদির এই সফরকে কেন্দ্র করে সমগ্র কাশ্মীর জুরেই সকল আধা-সামরিক এবং সামরিক বাহিনীর সদস্যরা পূর্ণসতর্কাবস্থায় রয়েছে।

সফরের শুরুতেই মোদী ৩৩০মেগাওয়াতের কৃষ্ণগঙ্গা জলবিদ্যুৎ প্রকল্প উদ্বোধন করেন। মূলত ৮৬৪ মিলিয়ন ডলার বা ৫৭৮৩ কোটি ভারতীয় রুপি ব্যয়ে নির্মিত এই প্রকল্প উদ্বোধন করতেই মোদির কাশ্মীরে আগমন। তবে ঝিলম নদীর প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে এই সমস্ত ভারতীয় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের তীব্র বিরোধিতা করেছে পাকিস্তান। ইতোপূর্বে দুই দেশের যৌথ সিন্ধু নদী কমিশনের বৈঠকেও তারা এই বিষয়টি নিয়ে তাদের ঘোর আপত্তির কথা জানিয়েছে।

প্রকল্পটি উদ্বোধনকালে নরেন্দ্র মোদি বলেন, কাশ্মীরি তরুণদের ছোড়া প্রতিটি পাথর এই অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি। তবে আমাদের সরকার জম্মু-কাশ্মিরের অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য ২৫ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এর মাঝে কার্গিল-লেহ ও শ্রীনগরকে সংযুক্তকারী ১৪কিলোমিটার দীর্ঘ জোজিলা সুড়ঙ্গ অন্যতম প্রধান প্রকল্প।

তবে সমালোচকদের দাবী কাশ্মীরের উন্নয়ন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পরিকল্পনা বৈষম্যমূলক। মূলত কৃষ্ণনগর জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদিত বিদ্যুৎ সুবিধা পাবে জম্মুর মতো অঞ্চল যেখানে মুসলিমদের সংখ্যা কম। আবার জোজিলা টানেলের মতো প্রকল্পগুলি মূলত কেন্দ্রীয় সরকারের নিজস্ব স্বার্থেই তৈরি করা হচ্ছে। চীন বা পাকিস্তানের সঙ্গে যেকোন যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে এই সমস্ত অঞ্চলে ভারতীয় সামরিক বাহিনী এই টানেল ব্যবহার করে সামরিক সরঞ্জাম পরিবহন করতে পারবে। -দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়