লিহান লিমা: প্রিন্স হ্যারি। ব্রিটিশ রাণী এলিজাবেথের নাতি, ধনী, প্রভাবশালী এবং রাজমুকুটের উত্তরসূরী। শনিবার হ্যারির সঙ্গে সাবেক বলিউড অভিনেত্রী মেগান মার্কেলের বিয়ে ভেঙে দিয়েছিল হাজার বছরের রাজকীয় ঐতিহ্য।
উইন্ডসর ক্যাসেলের সেন্ট জর্জ চ্যাপেলে নিজের ইতিহাস নিজেই সৃষ্টি করেছেন আফ্রো-আমেরিকান অভিনেত্রী, নারীবাদী ও মানবাধিকারকর্মী মেগান। উইন্ডসর ক্যাসেলের সেন্ট জর্জ চ্যাপেলে ৩৬ বছরের মেগান বিয়ে বন্ধনে জড়ান ৩৩ বছরের হ্যারির সঙ্গে।
মেগান আসার পূর্ব মূহুর্ত পর্যন্ত হ্যারিকে বেশ উদ্বিগ্ন ও অস্থির দেখাচ্ছিল। তবে মেগান ছিলেন বেশ শান্ত ও প্রাণবন্ত। নববধূকে প্রথম দেখামাত্রই হ্যারি বলে উঠলেন, ‘তোমার অসাধারণ লাগছে, তোমাকে মনে পড়ছিল’। বিয়ে পড়ানোর সময় একে অপরের হাত ধরে রেখেছিলেন। যা সাধারণত রাজদম্পতিদের দেখা যায় না। আর্চবিশপ শপথ পড়ানোর সময় সঙ্গীকে ‘মান্য’ করার যে প্রতিশ্রুতি তা মেগানের পছন্দ অনুসারে বলা হয় নি।
এর আগে প্রিন্সেস ডায়নাও প্রিন্স চালর্সকে ‘মান্য’ করবেন, শপথ থেকে এই অংশটি বাদ দিয়ে পড়েছিলেন। বিয়ের পর ‘ডাচেস অব সাসেক্স’ মেগানকে রীতি ভেঙ্গে আংটি পরিয়ে দেন নতুন ‘ডিউক অব সাসেক্স’ হ্যারি। বিয়ে পরবর্তীতে রাণীর দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে রীতি ভেঙে ভাষণ দেয়ার কথা রয়েছে মেগানের।
এর আগে ধ্রব সাদা এবং বাহুল্যহীন পোশাকে নববধূকে বহন করা গাড়ি থেকে নামতে দেখা যায় মেগানকে। মেগানের ্ওড়নায় কমন্ওয়েলথভুক্ত সবদেশের ফুলের নকশা খচিত ছিল। মাথায় ছিল ১৯৩২ সালে রানী মেরির পরা টায়রা। ঐতিহ্য অনুসারে শ্বশুর প্রিন্স চার্লসকে কনের হাত ধরার সম্মান দিয়েছিলেন মেগান। তবে অর্ধেক পথ নিজেই হেঁটে এসেছিলেন। মেগানের পোশাক তৈরি করেছিলেন ব্রিটিশ ডিজাইনার ক্ল্যারি ওয়েট।
আপনার মতামত লিখুন :