এম রায়হান চৌধুরী, চকরিয়া (কক্সবাজার): কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাফারি পার্কে বাঘ জুটি নয়ন ও আঁখি দাম্পত্য জীবন শুরু করার কথা ছিল অনেক আগে। কিন’ তারা জুটি বাধার আগেই নিয়তির কাছে হার মানে বাঘিনী আঁখি। আঁখি মারা যাওয়ার পর একাকী হয়ে পড়ে নয়ন। তবে এবার তাঁর একাকিত্ব জীবনের অবসান হয়েছে।
চলতিবছরের মার্চ মাসে নতুন জীবনসঙ্গী হিসেবে নয়ন পেয়েছে প্রাপ্তবয়স্ক বাঘিনী মণিকে। বর্তমানে বাঘ জুটির নতুন দেয়া হয়েছে ‘নয়ন-মণি জুটি’। পার্কের ভেতরে নির্ধারিত বেস্টনীতে তাদেরকে এতদিন আলাদা রাখা হলেও দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে মঙ্গলবার বাঘ জুটি ‘নয়ন-মণি’কে একঘরে ঢুকিয়ে দিয়েছে পার্ক কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাফারি পার্কের বিট কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী।
সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি চিকিৎসক মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, পার্কের বেস্টনীতে দীর্ঘদিন একাকী থাকা পুরুষ বাঘ নয়নের জন্য জীবনসঙ্গী হিসেবে আনা প্রাপ্তবয়স্ক বাঘিনী মনি সুঠাম দেহের অধিকারী। বর্তমানে পার্কের খাঁচায় রাখা হয়েছে নতুন এই অতিথিকে। প্রতিদিন একবার পাঁচ কেজি করে গরুর মাংস খেতে দেওয়া হচ্ছে তাকে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সপ্তাহের একদিন খাবার দেওয়া হয় না।
সাফারি পার্কের বিট কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী জানান, চলতি বছরের ২১ মার্চ প্রায় চারবছর বয়সী প্রাপ্তবয়স্ক বাঘিনী মনিকে আনা হয়েছে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক থেকে। পার্কের নতুন এই অতিথি বেশ হিংস্র প্রকৃতির।
খাঁচার পাশে মানুষ দেখলেই হুঙ্কার ছাড়ছে। তাকে প্রথমদিকে নির্দিষ্ট খাঁচায় রেখে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণে রাখা হলেও সর্বশেষ গত মঙ্গলবার তাকে দেয়া হয়েছে সঙ্গী নয়নের সাথে একঘরে। ওইদিন থেকে নয়নমণি জুটি দাম্পত্য জীবন শুরু করেছে।
ডুলাহাজারা সাফারি পার্কের রেঞ্জ কর্মকর্তা (তত্তাবধায়ক) মোর্শেদুল আলম বলেন, আশা করছি নয়নমণি জুটির দাম্পত্য জীবন শুরুর মাধ্যমে আমরা পার্কে বাঘের বংশবিস্তারে সফল হবো।
আপনার মতামত লিখুন :