শিরোনাম
◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না: সুপ্রিমকোর্ট ◈ তীব্র গরমে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা আরও ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা ◈ সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত ◈ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে, পতন অনিবার্য: রিজভী  ◈ সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম নালিশের রাজনীতি করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের ◈ বুশরা বিবিকে ‘টয়লেট ক্লিনার’ মেশানো খাবার খাওয়ানোর অভিযোগ ইমরানের ◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী

প্রকাশিত : ১৯ মে, ২০১৮, ০৯:১২ সকাল
আপডেট : ১৯ মে, ২০১৮, ০৯:১২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পাটের বীজের দায়িত্ব নেবে কিনা খাতিয়ে দেখবে বিজেআরআই

মতিনুজ্জামান মিটু : পাট বীজের দায়িত্ব আবার নেয়া যাবে কিনা তা খতিয়ে দেখবে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট। বিষয়টি নিয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মিটিং এ বসবেন বিজেআরআই কর্মকর্তারা। সম্প্রতি কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের এক প্রস্তাবনার ব্যাপারে গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক ড. মো. মনজুরুল আলম বলেন, সচিব মহোদয় পাট বীজের দায়িত্বের বিষয়ে যে প্রস্তাবনা দিয়েছেন তা আমরা খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেব। কি প্রেক্ষাপটে কেন ১৯৮৮ সালে পাটের বীজের দায়িত্ব বিজেআরআই থেকে বিএডিসি (বাংলাদেশ এগ্রিকালচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন) তে স্থানান্তর হয়েছিল তা পর্যালোচনা করা হবে। বিষয়টি নিয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মিটিং এ বসবো আমরা।

সম্প্রতি রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউস্থ বিজেআরআই সম্মেলন কক্ষের এক অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ আক্ষেপ করে বলেছিলেন, পাটের বীজ অন্য জায়গা থেকে আমদানী করেই এদেশে পাট উৎপাদন করতে হয়। ৬২০০ মেট্রিক পাট বীজ আমদানির অনুমতি দিয়েছি। দূ:খের বিষয় হচ্ছে; যে দেশে পাট নিয়ে এতো স্বপ্ন দেখা হয়, সেই দেশে অন্য জায়গা হতে বীজ আমদানি করে পাট উৎপাদন করতে হয়। পাট বীজের দায়িত্ব কেন বিএডিসিতে গেল জানিনা। সক্ষমতা থাকলে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিজেআরআই) পাট বীজ ফেরত আনার চেষ্টা করতে পারে। আমি সহযোগিতা করবো।

বিজেআরআই সূত্রে জানা যায়, ১৯৭৬ সালে বিজেআরআই এ পাট বীজ উইং স্থাপিত এবং ১৯৮৮ সালে বিএডিসি’র কাছে হস্তান্তরিত হয়। ১৯৭৫ সাল থেকে এদেশে পাট বীজের আমদানী নির্ভরতা শুরু হয়ে ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে। সেই সঙ্গে চোরা পথে হু হু করে ঢুকতে থাকে ভারতীয় নি¤œমানের পাটের বীজ। ক্রমাগত প্রতারণার শিকার হতে থাকেন এদেশের পাট চাষিরা, ক্ষতিগ্রস্থ হয় দেশ। পাকিস্তান আমলে এমনকি বাংলাদেশ হওয়ার পর ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত এদেশে উৎপাদিত বীজ দিয়েই এখানকার পাটের সব জমিতে পাট চাষ সম্ভব হতো। সে সময় আমদানি এবং চোরাপথে ভারত থেকে কোনো পাটের বীজ এখানে আসতো না। বর্তমানে বৈধ এবং অবৈধ পথে জিআরও৫২৪ এবং সোনালিকাসহ ভারতের নানা ধরণের পাটের বীজ এদেশে এসে থাকে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজেআরআই এর দুইজন কর্মকর্তা একই সুরে বলেন, পাকিস্তান আমলে এমনকি বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরেও এখানে পাট বীজের কোনো সংকট ছিল না। সে সময় পাটই ছিল এদেশের সর্বোচ্চ বৈদেশিক অর্থ উপার্জন বা অর্থকরি ফসল। পাট বীজ উইং এর দায়িত্ব বিএডিসিকে দেয়া ভুল না সঠিক ছিল তা বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করলে সহজেই বোঝা যায়। কাগজে কলমে ১৯৮৮ সালে বিজেআরআই হতে পাট বীজ উইং বিএডিসিতে হস্তান্তরের কথা থাকলেও প্রকৃত অর্থে ১৯৮৬ সালে বিএডিসিতে চলে যায় পাট বীজ উইং। দিনাজপুরের নসিপুরের ৮০০ একর এবং মেহেরপরের চিতলার ৪০০ একর জমিতে ছিল বিজেআরআই এর পাট বীজ উইং এর বীজ উৎপাদন খামার। ওই সব থামার ফিরিয়ে দিয়ে প্রয়োজনীয় সংস্থাপনের ব্যবস্থা করলে অবশ্যই বিজেআরআই দেশের পাট বীজের দয়িত্ব নিতে সক্ষম।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়