শিরোনাম

প্রকাশিত : ১৯ মে, ২০১৮, ০৭:১৩ সকাল
আপডেট : ১৯ মে, ২০১৮, ০৭:১৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আসিয়ান জোটভুক্ত দেশে ঘনিষ্ঠতায় এগিয়েছে বাংলাদেশ

তরিকুল ইসলাম, কূটনৈতিক প্রতিবেদক : চলতি বছরের শুরুটা ঢাকার কূটনীতিকদের জন্য খানিকটা চাপের ছিলো। ঘনঘন ভিভিআইপি সফরের প্রটোকল আর সময় সূচি নিয়েই ব্যাস্ত সময় কাটাতে হয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে। আসিয়ান জোটভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কর দিকে নজর দেওয়াটাই ছিলো ঢাকার মূল উদ্দেশ্য একই সঙ্গে রোহিঙ্গা সংকটে দেশগুলোর সমর্থন আদায়ের চেষ্টাতো আছেই।

সে সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একাধিক দেশ সফর আর বিভিন্ন দেশের নীতি নির্ধারকদের বাংলাদেশ সফরে ছিলো আসিয়ানেরর কাছে বাংলাদেশকে উপস্থাপন। আর এ করণেই আসিয়ান জোটভুক্ত দেশে ঘনিষ্ঠতায় বাংলাদেশ এগিয়েছে বলেই মনে করছেন দায়িত্বশীল কূটনীতিকরা। একই সঙ্গে তারা বলছেন, এতে করে জোট সদস্য দেশের কাছে বাংলাদেশের গ্রহণ যোগ্যতা যেমন বেড়েছে, তেমনি ঢাকার অবস্থান আরো সুসংহত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর আগে ২০১৫ ও ২০১৭ সালে দু’বার ইন্দোনেশিয়া সফরে যান এবং উভয় সময়ে তিনি সে দেশের প্রেসিডেন্টকে ঢাকা আসার আমন্ত্রণ জানান। এরই প্রেক্ষিতে গত ২৭-২৮ জানুয়ারি ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো ঢাকা সফরে আসেন। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষে দিকে আসেন ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট ট্রান দেই কোয়াং।

গত বছরের শেষদিকে প্রধানমন্ত্রী আসিয়ানের আরেকটি দেশ কম্বোডিয়া সফর করেন। ফেব্রুয়ারিতে ইতালি ও ভ্যাটিক্যান সফওে যান। এর পর মার্চে সিঙ্গাপুর সফর করেন প্রধানমন্ত্রী। এপ্রিল মাসে কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলনে যোগদিতে লন্ডন যান শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর এসব সফরে হাই প্রোফাইল বৈঠকগুলোতে সম্পর্ক উন্নয়ণের পাশাপাশি রোহিঙ্গা ইস্যুতে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা, মুক্তবানিজ্য সুবিধা এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিদেশীদের বিনিয়োগ বড়াতে ছিলো নানান প্রচেষ্টা।

যার সুফল এরই মধ্যে বাংলাদেশ পেতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা। তিনি বলেন, মিয়ানমার আসিয়ানের সদস্য হওয়ায় রোহিঙ্গা ইস্যুতে অপর সদস্য দেশগুলোর সমর্থন আমাদের জন্য জরুরী ছিলো। এ ছাড়া যাদের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য ঘাটতি ছিলো তাদের সঙ্গেও নতুন আলোচনার পথ তৈরি হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়