হ্যাপী আক্তার : সিরাজগঞ্জে আউটসোর্সিংয়ের নামে গ্রাহকদের প্রায় ৪০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যে চক্রের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তাদের বেশির ভাগই খাজা ইউনুছ আলী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। প্রতারকদের আটক ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করছেন গ্রাহকরা। তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।
শিক্ষা জীবন শেষ হতে না হতেই হয়ে যাবে কোটিপতি তবে এজন্য ফাঁদ পেতে ছিলেন খাজা ইউনুছ আলী বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন বিভাগের ৪ শিক্ষার্থী। লক্ষ্য ছিল জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। অভিযুক্ত আব্দুল আলিম, সুজন, তোফায়েল ও কামার আহম্মেদ বেলকুচি উপজেলার মিতুয়ানি গ্রামের বাসীন্ধা।
গ্রাহকরা বলছেন, অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার কৌশল হিসেবে গত বছরের মাঝামাঝির শুরুতে ‘টাচ আর্ন’ নামের একটি ওয়েবসাইট শুরু করে খাজা ইউনুছ আলী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষার্থী ও সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের ছাত্র মোবারক।
এই সাইটে অ্যাকাউন্ট খুললে প্রতিদিন অন্তত দুই ডলার আয়ের প্রলোভন দেখায় তারা। প্রতিটি হিসাব খুলতে ৬ হাজার ৪০০ টাকা জমা দেয় গ্রাহকরা। অনেকেই খুলেছেন একাধিক হিসেবও।
প্রতারণার শিকার প্রায় ৪৩ হাজার গ্রাহকের মধ্যে বেশির ভাগই শিক্ষার্থী। তার বলছেন, চক্রটির টাগের্টই ছিল বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের সম্পৃক্ত করা। আস্থা বাড়াতে চুক্তিও করা হত গ্রাহকদের সাথে।
দীর্ঘদিন চক্রটি সক্রিয় থাকলেও প্রলোভনে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে কিছুই জানায়নি শিক্ষার্থীরা।
খাজা ইউনুছ আলী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক তাহেরুল আলম বলেছেন, যারা অভিযোগ করছে তারাও সমান অপরাধী। তাদের টাকা নিয়ে প্রতারকরা লাপাত্তা হয়েছে বলে তারা আজকে সজাগ হয়েছে।
খাজা ইউনুছ আলী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মো. নাসিরুজ্জামান বলেছেন, টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়টি আমরা জানা নেই। তবে লোক মুখে ও সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই প্রতারণার বিষয় জেনেছি।
গত ১২মে এই প্রতারণার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ একজন গ্রাহক মামলা করেছে। জড়িতদের আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশ।
সিরাজগঞ্জ এনায়েতপুর থানার ওসি রাশেদুল ইসলাম বিশ্বাস বলেছেন, যদি প্রতারকদের সনাক্ত করা যায় অথবা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয় তাহলে অবশ্যই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সূত্র : যমুনা টিভি
আপনার মতামত লিখুন :