খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যে মামলাগুলো দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে রাজনৈতিক প্রক্রিয়া বা রাজনৈতিক দূরভিসন্ধি রয়েছে। বেশকিছু ঘটনা মিলিয়ে এটাই আমরা প্রমাণ পেয়েছি। আমাদের নতুন সময়ের সাথে আলাপকালে এসব মন্তব্য করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রায়ই একটি তথ্য জোর দিয়ে বলা হয়, আরাফাত রহমান কোকোর মরদেহ যখন বাংলাদেশে আসল এবং খালেদা জিয়া রড ও বালুর ট্রাকের মধ্যে ৯২ দিন গৃহবন্দির পরে যখন মরদেহ দেশে আসলো, তখন প্রধানমন্ত্রী দেখা করতে গিয়েছিলেন এবং দেখা করতে পারেননি। যেভাবে পরিবেশ পরিস্থিতির কারণে হোক, তিনি বিক্ষুব্ধ হয়েছিলেন এবং কষ্টও পেয়েছিলেন বলেছেন। কিন্তু ওখান থেকে ফেরার পথে গণভবনের পথে আর ফিরে আসতে পারেননি। এর মধ্যে টেলিভিশনে দেখলাম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ৮টি বাস পোড়ানোর মামলা দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে রাজনৈতিক চরিত্রটা প্রকাশিত হতে শুরু হয়ে গেল।
তিনি বলেন, মামলাগুলো সাধারণত প্রস্তুত করা থাকে। অজ্ঞাতনামা যে মামলা থাকে ওইগুলোর মধ্যে একটা নাম ঢুকিয়ে দিলেই হয়। সেখানে যাকে খুশি পুলিশ দিতে পারে। আর যদি এটা উচ্চ মহলের কোন নির্দেশ থাকে, তাহলে পুলিশের আরও সুবিধা হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে আমি সকল পুুলিশের কথা বলছি না। আর তারেক রহমানের মামলায় যে বিচারপতি বেকসুর খালাস দিয়েছিলেন, সেই বিচারক কিন্তু এখন নিরাপত্তার কারণে পরিবারসহ দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। এমনকি তার চাকরিও চলে গেল এবং দুদকের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সম্পাদনা : জাফরুল আলম
আপনার মতামত লিখুন :