বাংলাদেশের যে কোন উৎসব, সেটা ধর্মীয় হোক আর সামাজিক হোক এই উৎসবকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীরা জিনিস-পত্রের দাম বাড়ায়। জনগণের উৎসবকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীদের দাম বাড়ানোর উৎসব সৃষ্টি হয়। রোজার মাসকে সবাই বলে যে, এটা একটা সংযমের মাস। কিন্তু এই মাসে আমরা দেখি যে, ব্যবসায়ীদের পণ্যমূল্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কোন সংযম থাকে না। এটা দীর্ঘদিন ধরে হয়ে আসছে। এর ফলে রোজার মাসে যে সমস্ত পণ্য বেশি লাগে, তার মধ্যে যেমন ছোলা, আমাদের যা প্রয়োজন তার তিনগুণ বেশি মজুদ আছে ।
চিনি, যা আমাদের প্রয়োজন তার দেড় গুণের বেশি মজুদ আছে। আমাদের সবজির বাজারে প্রচুর সবজি আছে। খেজুর অনেক বেশি আমদানি হচ্ছে । বাজারে কোন কিছুরই সংকট নেই । তারপরে যে মূল্যবৃদ্ধি, এটা হলো ব্যবসায়ীদের উৎসবকে কেন্দ্র করে মুনাফা অর্জন করার অশুভ প্রবণতা। সরকারের এ ক্ষেত্রে চূড়ান্ত দায়িত্বহীনতা এবং অবহেলা রয়েছে। অনেক আগেই বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, রোজার মাসে পণ্যের মূল্য বাড়ানো সহ্য করা হবে না । বাণিজ্যমন্ত্রীর এ কথায় ব্যবসায়ীরা রোজার আগেই পণ্যের দাম একবার বাড়িয়েছে ।
যখন দেখলো যে, বাণিজ্যমন্ত্রীর এ কথা তেমন কার্যকরী হচ্ছে না, তেমনি করে ব্যবসায়ীরা রোজার আগেই দাম বাড়াতে শুরু করলো । গত তিন দিনের মধ্যে কী এমন হলো যে, অর্থনৈতিক এবং ভৌগলিক অথবা আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটলো যে, ৪০ টাকার বেগুণ ৭০ টাকা হয়ে গেছে। ফলে এই মূল্য বৃদ্ধি কোন ধরনের অর্থনৈতিক নিয়মের মধ্যে পড়ে না। এটার একমাত্র নিয়ম হচ্ছে যে কোন উৎসবেই জনগণকে জিম্মি করে অতিরিক্ত মুনাফা আদায় করা ।
পরিচিতি : কলামিস্ট ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বাসদ/ মতামত গ্রহণ : নৌশিন আহম্মেদ মনিরা / সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ
আপনার মতামত লিখুন :