শিরোনাম
◈ গাজীপুরে হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু  ◈ বিশৃঙ্খলার পথ এড়াতে শিশুদের মধ্যে খেলাধুলার আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ◈ তাপপ্রবাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসও বন্ধ ঘোষণা ◈ সোনার দাম কমেছে ভরিতে ৮৪০ টাকা ◈ ঈদযাত্রায় ৪১৯ দুর্ঘটনায় নিহত ৪৩৮: যাত্রী কল্যাণ সমিতি ◈ অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে বিটিআরসিতে তালিকা পাঠানো হচ্ছে: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ◈ পাবনায় হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সেই সম্পত্তি দিয়ে দেবো (ভিডিও)

প্রকাশিত : ১৯ মে, ২০১৮, ০৪:১৬ সকাল
আপডেট : ১৯ মে, ২০১৮, ০৪:১৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ডায়াবেটিস রোগীর রোজা

মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে পবিত্রতম মাস মাহে রমজান। বছর ঘুরে আবার মুসলমানদের দুয়ারে কড়া নাড়ছে। সকল প্রাপ্ত বয়স্ক মুসলিম নারী-পুরুষ এই সময়ে সিয়াম সাধনার মাধ্যমে মহান আল্লাহ তা’য়ালার নৈকট্য লাভ করতে সচেষ্ট থাকবে। ডায়াবেটিস এমন এক রোগ যা সারা জীবনের সঙ্গী। কিন্তু প্রয়োজনীয় চিকিৎসা এবং শৃঙ্খলাবিধির মধ্যে চলতে পারলে এই রোগ নিয়ে স্বাভাবিক সুস্থ মানুষের মত জীবন পরিচালনা করা যায়। আজকাল এমন কোন পরিবার খুঁজে পাওয়া যাবে না, যে পরিবারে কেউ না কেউ ডায়াবেটিস আক্রান্ত নেই। প্রশ্ন হলো পবিত্র এই মাহে রমজানে এই সকল ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীরা কী রোজা রাখতে পারবেন না। এক কথায় বলতে গেলে বিশেষ কিছু ক্ষেত্র ছাড়া মোটামুটিভাবে অধিকাংশ ডায়াবেটিস রোগীই রোজা রাখতে পারবে।

শুরুতেই আসি কোন ধরনের ডায়াবেটিক রোগীর জন্য রোজা রাখা বিপদজনক হতে পারে। যেমন ডায়াবেটিস আছে সেই সাথে রোগীর অ্যাডভান্সড কিডনি রোগ, হার্টের রোগ, অনেক বেশি সুগার জনিত জটিলতা, ডায়াবেটিক কিটোএসিডসিস হলে, হাইপোগ্লাইসেমিয়া হওয়ার আশঙ্কা থাকলে বিশেষ করে যারা সালফোনাইল ইউরিয়া জাতীয় ওষুধ খান কিংবা ইনসুলিন নেন  এই ধরনের রোগীদের স্বাস্থ্য জটিলতার আশংকার জন্য রোজা না রাখাই ভাল। অনেকক্ষণ খাদ্যদ্রব্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকলে রক্তে সুগারের মাত্রা কমে যেতে পারে, তাকে বলে হাইপোগ্লইসিমিয়া।

এই ধরনের রোগীকে অবশ্যই চলার পথে একটি চকলেট পকেটে নিয়ে বাহিরে যেতে হবে। কখন যদি সে হাইপোগ্লাইসেমিয়ায় আক্রান্ত হয় তখন চকোলেট মুখে দিলেই রোগী স্বাভাবিক হয়ে যাবে। হাইপোগ্লাইসেমিয়া হলে সাধারণত রোগীর কিছু উপসর্গ থেকে সহজেই অনুমান করা যায় যেমন রোগীর বুক ধড়ফড় করে , অতিরিক্ত ঘাম হয়, মাথা ঘোরে, শরীর কাঁপে, চোখে ঝাপসা দেখে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে রোগী জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যেতে পারে।

আবার কিছু কিছু রোগীর কখনও অতিরিক্ত বেড়ে যেতে পারে, বিশেষ করে সেহরী কিংবা ইফতারের পরে এই সমস্যা বেশি হতে পারে। রোগীর রক্তের সুগার অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়াকে হাইপারগ্লাইসিমিয়া বলে। এই ধরনের রোগীদের সাধারণত জিহ্বা শুকিয়ে যায়, মাথা ঘুরে বমি বমি ভাব কিংবা বমি হতে পারে। এই ধরনের লক্ষণ দেখা মাত্র যত দ্রত সম্ভব রক্তের সুগার পরীক্ষা করতে হবে। এবং সাথে সাথে আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক  ওষুধ কিংবা ইনসুলিন গ্রহণ করে অতিরিক্ত সুগার নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।

রোজার সময় প্রত্যেক রোগীকে খাবার ব্যপারে অতিরিক্ত সতকর্তা অবলম্বন করতে হবে। বিশেষ করে যেসকল খাবার অতি দ্রুত রক্তের সুগার বাড়িয়ে দেয় সেসকল খাবার খাদ্য তালিকায় রাখা যাবে না। এই জন্য সবচেয়ে ভাল উপায় হচ্ছে রোজার আগে অবশ্যই আপনার চিকিৎসকের কাছে গিয়ে খাবার এবং ওষুধের ব্যপারে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা গ্রহণ করা। কারণ রোজার সময় আপনার চিকিৎসক অবশ্যই আপনার কিছু ওষুধ পরিবর্তন করে দিবেন কিংবা পরিমানে বাড়িয়ে কমিয়ে দিবেন।

লেখক : চিকিৎসক ও কলামিস্ট/ সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়