ওমর শাহ: ‘পবিত্র রমজানের শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে একজন মানুষ হয়ে উঠতে পারে প্রকৃত মু’মিন। স্বচ্ছ পানির মতো বহিয়ে দিতে পারে তার আমলের দরিয়া। সকল বৈষম্য দূর করে সমাজে প্রতিষ্ঠা করতে পারে শান্তি ও শৃঙ্খলা। দান সদকা ও যাকাত আদায়ের মাধ্যমে গরিবদের মুখে ফুটাতে পারে নির্মল হাসি। এর মাধ্যমে আমাদের হয়ে উঠতে হবে প্রকৃত মুমিন।’ পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষ্যে দৈনিক আমাদের অর্থনীতিকে এসব কথা বলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ পরিচালক, কামেল পীর ও তেজগাঁও রেলওয়ে স্টেশন জামে মসজিদের খতিব ড. মুশতাক আহমদ।
তিনি বলেন, এ মাসকে কাজে লাগিয়ে আমাদের জীবন ধারায় পরিবর্তন আনা একান্ত প্রয়োজন। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ও রাসুল (সা.) নির্দেশিত পথেই রমজানকে উদযান করতে হবে। রমজান নিয়ে বাড়াবাড়ি ও ছাড়াছাড়ি কাম্য নয়। কারও কারও জীবনে রমজানে পুণ্যের বদলে, পাপ ও বক্রতাও বেড়ে যায়। এটা নিশ্চয়ই একটি আত্মিক পরাজয়। এটা নিশ্চয় শয়তানের ক্রীড়া, যার বিরূপ প্রভাব ব্যক্তি ও সমাজের উপর পড়তে বাধ্য।
ড. মুশতাক আরও বলেন, সিয়াম-সাধনা ও ইবাদতের মাধ্যমে মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি ও নৈকট্য লাভের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাসও এটি। ইসলামের পঞ্চভিত্তির তৃতীয় ভিত্তি রোজা। প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্ক মুসলমান নর-নারীর প্রতি মাহে রমজানের রোজা পালন ফরজ। একজন মুসলিমের জন্য নামাজের মতোই ফরজ রমজান মাসের রোজা পালন করা। মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘হে মুমিনরা তোমাদের প্রতি আমি মাহে রমজানের রোজাকে ফরজ করেছি যেমন ফরজ করেছিলাম তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মতদের প্রতি। এতে আশা করা যায় যে, তোমরা তাকওয়া বা খোদাভীতি অর্জন করতে পারবে।’ (সূরা বাকারা, আয়াত-১৮৩) অন্যত্র বলা হয়েছে, ‘অবশ্যই আমি এ কুরআনকে লাইলাতুল কদরে নাজিল করেছি। আপনি জানেন লাইলাতুল কদর কী? তা হচ্ছে এমন রাত যা হাজার মাস থেকে উত্তম।’ (সূরা কদর আয়াত ১-৩)।
সূত্র: দৈনিক আমাদের অর্থনীতি
আপনার মতামত লিখুন :