রাজেকুজ্জামান রতন : নির্বাচন কমিশন তার স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করেছে, মতামত নিয়েছেন কীভাবে আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু করা যায়। বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে তারা সংলাপ করেছে। কিন্তু কোন মতটা গ্রহণ করেছে কমিশনের আচরণে তা স্পষ্ট হচ্ছে না। নির্বাচন কমিশন নিজের জায়গায় স্পষ্ট ও সৎভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানটি করার ঘোষণা বারবার দিচ্ছেন। আমার মতে, এটা ঘোষণার উপর নির্ভর করে না, নির্ভর করে পদক্ষেপের ওপর। আমরা বলেছিলাম, কালো টাকার প্রভাবমুক্ত নির্বাচন করার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন কি ভূমিকা রাখবে, কীভাবে রাখবে? নির্বাচনে পেশীশক্তির প্রভাব বন্ধ করার জন্য কমিশন কী উদ্যোগ নেবে কিংবা নির্বাচনকে ধর্মীয় প্রভাবমুক্ত করার ক্ষেত্রে তারা কী ভাবছে? সাম্প্রদায়িকতাকে বন্ধ করার ক্ষেত্রে তারা কি করবে?
জাতীয় নির্বাচন নিয়ে তাদের রোড ম্যাপ আমরা দেখতে চেয়েছিলাম। তার একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি বারবার ব্যক্ত করেছেন কিন্তু তা বাস্তবায়নের তাদের প্রস্তুতি কতটুকু জনগণের কাছে খুব একটা দৃশ্যমান হয়নি। দুই একটা সিটি করপোরেশন নির্বাচন তারা করেছে কিন্তু মনে রাখবেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচন হচ্ছে স্থানীয় সরকার নির্বাচন। এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচন আর জাতীয় নির্বাচনের মধ্যে একটা গুণগত পার্থক্য রয়েছে। জাতীয় নির্বাচনের মধ্যদিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বদল হয়। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে তা হয় না। ফলে আমরা মনে করি, জাতীয় নির্বাচন প্রাক্কালে নির্বাচন কমিশন সেই সক্ষমতা অর্জন করেছে তার কিছু প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করলেই হবে না, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তারা কী ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছেন সেটাও দেখাতে হবে।
পরিচিতি : কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, বাসদ
আপনার মতামত লিখুন :