কেএম হোসাইন : প্লে-অফ নিশ্চিত হওয়ায় দিল্লির সাথে চেন্নাইয়ের ম্যাচটি ছিল জিতলে গ্রুপ পর্বে শীর্ষে থেকে এলিমিনেটরে যাওয়ার সুযোগ। কিন্তু দিল্লির কাছে হেরে সমস্যা বাড়াল ধোনির সুপারকিংস।
ঘরের মাঠে ধোনিরা ম্যাচ হারল ৩৪ রানে। টি-টোয়েন্টিতে বড় ব্যবধানে এই হারের ফলে টপ টু থেকে ছিটকে যেতে পারে চেন্নাই। শেষ ম্যাচ হারলে চেন্নাইয়ের পয়েন্ট দাঁড়াবে ১৬। শনিবার নাইটরা হায়দরাবাদকে হারালে দীনেশরাও ১৬ পয়েন্টে শেষ করবে। সে ক্ষেত্রে নেট রান রেটের বিচারে ধোনিদের টপকে দুই নম্বরে চলে আসতে পারে নাইটব্রিগেড।
ধোনিদের নেট রান রেট এখন +০.২২০, আর নাইটরা সেখানে -০.০৯১। নাইটদের সঙ্গে এক ব্যবধান থাকলে ভালো, না হলে নাইটদের কাছে ২ নম্বর স্থানটা খোয়াতে হতে পারে। অঙ্কের এই ফারাক ১৪ ম্যাচের পর পাল্টে গেলে তিন বা চারে শেষ করতে হতে পারে ধোনিদের। সে ক্ষেত্রে পয়েন্ট তালিকায় আট নম্বরে থাকা দিল্লির কাছে এই হারকেই দুষতে হবে।
বরফ শীতল মাথায় ধোনি অবশ্য অঙ্কের এসব সমীকরণ মিলাতে আগ্রহী নন। ম্যাচ হারলেও হাসি মুখেই বলে গেলেন, আমরা ম্যাচ বাই ম্যাচ ভাবছি। দলকে পয়েন্ট টেবলের দিকে নজর না দিয়ে খেলতে বলেছিলাম। ভুলক্রুটিগুলো অবশ্যই পরের ম্যাচে শুধরে নিতে হবে। দলের বোলিং নিয়ে একটু ঘষামাজা প্রয়োজন বলেই মনে করছেন ধোনি।
১৬৩ রান টার্গেট তাড়া করতে নেমে এদিন শুরুটা ভালোই করেছিল চেন্নাই। পাওয়ার প্লে-তে কোনও উইকেট না হারিয়ে রায়ডু-ওয়াটসনরা ৪৪ রান তোলেন। দুই ওপেনার ফিরে যেতেই দিল্লির বোলারদের সামনে মাথা নোয়ায় সুপারকিংস। মিডল অর্ডারে রায়না ১৫, স্যাম বিলিংস ১ রানে ডাগআউটে ফেরেন। লামিচানে ও অমিত মিশ্র'র স্পিন আক্রমণের সামনে ২৩ বলে ১৭ রানের বেশি করতে পারেন ধোনি।
জাদেজা ১৮ বলে ২৭ রানের ইনিংস খেলে চেষ্টা করলেও শেষরক্ষা হয়নি। দিল্লি ম্যাচ জেতে ৩৪ রানে। দুটি করে উইকেট পেয়েছেন অমিত ও ট্রেন্ট বোল্ট, একটি করে উইকেট লামিচানে ও হার্সাল প্যাটেলের। এদিন প্রথমে ব্যাট করে পন্তের ৩৮ ও বিজয় শংকরের ৩৬ রানে ভর করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬২ রান তোলে ডেয়ারডেভিলস।
আপনার মতামত লিখুন :