শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৯ মে, ২০১৮, ০৭:০৯ সকাল
আপডেট : ১৯ মে, ২০১৮, ০৭:০৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সময়ের আগেই শেষ হচ্ছে কক্সবাজার বিমানবন্দরের কাজ

ডেস্ক রিপোর্ট : আর্ন্তজাতিক পরিমণ্ডলে সংযোগ স্থাপনে প্রস্তুত হয়ে উঠছে ব্রিটিশ আমলে নির্মিত কক্সবাজার বিমানবন্দর। এরই মধ্যে উন্মুক্ত হয়েছে দেড় থেকে দুইশ ফুট প্রস্থের ৯ হাজার ফুট দীর্ঘ রানওয়ে। এই রানওয়ে দিয়েই ওঠানামা করছে বোয়িং ৭৩৭-এর মতো সুপরিসর বিমান। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রায় ৯০ শতাংশ কাজই শেষ হয়েছে। লাইটিংসহ রানওয়ে সম্প্রসারণের বাকি কিছু কাজ শেষ হলেই বিদেশি বিমান চলাচল শুরু হবে এই বিমানবন্দর দিয়ে। একটি আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরের যে কক্সবাজারবাসী দেখে আসছেন, তা এর মধ্য দিয়েই পূরণ হতে যাচ্ছে।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, গত বছরের ৬ মে কক্সবাজার টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক উদ্বোধন করতে কক্সবাজার আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেদিন তিনি কক্সবাজার বিমানবন্দরে অবতরণ করেছিলেন বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজে। ওই দিনই বোয়িং বিমান চলাচল কার্যক্রম শুরু হয় কক্সবাজারে।

নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা জনান, কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে ছিল ৬ হাজার ৭৭৫ ফুট। সেই রানওয়ের দৈর্ঘ্য বাড়িয়ে ৯ হাজার ফুট করা হয়েছে। এর প্রস্থও বাড়ানো হয়েছে। এখন মহেশখালী চ্যানেলের দিকে এক হাজার ফুট রানওয়ে, এয়ারিফিল্ড লাইটিং সিস্টেম, ফায়ার ফাইটিং যানবাহন ও যোগাযোগের জন্য আধুনিক কিছু যন্ত্রপাতি স্থাপনের কাজ বাকি। সব মিলিয়ে বাকি আছে ১০ শতাংশের মতো কাজ। সেই কাজ শেষ হলেই বিদেশি ফ্লাইটের চলাচলের জন্য সম্পূর্ণ তৈরি হবে কক্সবাজার বিমানবন্দর।

কক্সবাজার বিমান বন্দরের এই উন্নয়ন প্রকল্পে কর্মরত মীর আকতার হোসাইন লিমিটেডের প্রকল্প কর্মকর্তা মানিক কুমার বিশ্বাস বলেন, এরই মধ্যে এই বিমানবন্দরকে সম্পূর্ণরূপে একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে গড়ে তোলার ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আমরা আশা করছি, আগামী এক মাসের মধ্যেই বাকি কাজ শেষ করা সম্ভব হবে। তখন যেকোনো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারবে আমাদের বিমানবন্দর।

স্থানীয়রা বলছেন, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্যক্রম পূর্ণোদ্যমে শুরু হলে পর্যটন শিল্পে এক ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। শুধু তাই নয়, এমন একটি বিমানবন্দরের স্বপ্ন কক্সবাজারবাসীর দীর্ঘদিনের। সেই স্বপ্নও পূরণ হবে।

কক্সবাজার বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক এ কে এম সাইদুজ্জামান বলেন, খুব অল্প সময়ের মধ্যেই বাকি কাজ শেষ হয়ে যাবে। বিদেশ থেকে কিছু সরঞ্জাম আনা বাকি রয়েছে। সেগুলো স্থাপন হলেই সব কাজ শেষ।

জানা গেছে, ২০১৫ সালের মাঝামাঝিতে শুরু হয় কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণের কাজ। ২০১৮ সালের জুনে এই কাজ শেষ শেষ হওয়ার কথা ছিল। বাংলাদেশ ও কোরিয়ার দুইটি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থাকা ৬শ ৬২ কোটি টাকার এই কাজ নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হতে যাচ্ছে বলে জানান সাইদুজ্জামান। সূত্র : সারাবাংলা

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়