ইমরুল শাহেদ : মধ্যরাতে সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া আদেশ অনুসারে ভারতের কর্নাটকে রাজ্য সরকার গঠিত হয়েছে। কিন্তু মধ্যরাতে দেওয়া উচ্চাদালতের এটাই প্রথম আদেশ নয়। ভারতের আইনী কার্যক্রমে এমনি আরও অনেক উদাহরণ রয়েছে।
১৯৮২ সালে বিচারপতি ওয়াইভি চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ মধ্যরাতের আদেশে রঙ্গ-বিল্লার ফাঁসি রহিত করেন। ১৯৮৫ সালে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এলএম থাপার জামিন আবেদনের শুনানি হয় মধ্যরাতে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল কট্টর এফইআরএ আইনের আওতায়। প্রধান বিচারপতি ইএস ভেংকাট্রামিয়া ঘুম থেকে জেগে তার জামিন আদেশ দেন।
১৯৯২ সালের ৬ ও ৯ ডিসেম্বর অযোধ্যার বাবরি মসজিদ ভাঙ্গার শুনানি হয় বিচারপতি এমএন ভেংকাটাচালিয়ার বাসভবনে। পরে তিনি হয়েছিলেন ভারতের প্রধান বিচারপতি। বেঞ্চ আদেশ দিয়েছিল যাতে গোলযোগপূর্ণ এলাকায় পরিস্থিতি শান্ত রাখা হয়।
১৯৯৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে উত্তর প্রদেশ সরকারের জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের আদেশ দেওয়া হয় মধ্যরাতেই। কে বেশি জনপ্রিয় - কল্যাণ সিং নাকি জাগাদাম্বিকা পাল - এই নিয়ে ভোটাভুটিতে কল্যাণ সিংয়ের সরকার টিকে যায়।
২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে নয়দার নিথারির ধারাবাহিক খুনে অভিযুক্ত সুরিন্দর কলির মামলার উচ্চাদালতে শুনানি হয় মধ্যরাতেই। এই শুনানিতে তার ফাঁসি স্থগিত করা হয়।
২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে বিচারপতি এমওয়াই ইকবাল ভারতের স্থানীয় সময় রাত সাড়ে এগারটার দিকে মঙ্গললাল বারেলার ফাঁসির আদেশ স্থগিত করে আদেশ দেওয়া হয়। অ্যাডভোকেট কলিন গনসালভেজ বিকাল চারটার দিকে ১৬ জনের ফাঁসির খবর শুনতে পেয়ে একটি আবেদন নিয়ে ছুটে যান ভারতের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি পি সাথাশিবমের বাসভবনে। তিনিই বিচারপতি ইকবাল মামলাটির শুনানির জন্য বলেন।
১৯৯৩ সালের মুম্বাই বিস্ফোরণ মামলায় ফাঁসির সাজা পাওয়া ইয়াকুব মেননের ফাঁসি কার্যকর জরুরি ভিত্তিতে একদিন পিছানো হয় মধ্যরাতের আদেশের মাধ্যমেই। পরদিন ভোর ছয়টায় তার ফাঁসি কার্যকর হয়। দি ইন্ডিয়ান আওয়াজ
আপনার মতামত লিখুন :