আমিন মুনশি: পবিত্র মাহে রমজান বিষয়ে কুরআনুল কারীমে অসংখ্য আয়াত নাযিল হয়েছে। একাধিক আয়াতের মাধ্যমে রোজার ভিন্ন ভিন্ন বিধান আলোচনা করা হয়েছে। নিম্নে কুরআনের আলোকে মাহে রমজানের তাৎপর্য তুলে ধরা হলো,
পবিত্র কুরআন নাজিলের মাস: ‘রমযান মাস- যার মধ্যে কুরআন নাযিল করা হয়েছে লোকেদের পথ প্রদর্শক এবং হিদায়াতের সুস্পষ্ট বর্ণনারূপে এবং সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারীরূপে।’ (আল-বাকারা : ১৮৫) “সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে, মাসটিতে উপস্থিত হবে সে যেন তাতে সিয়াম পালন করে” (সূরা আল-বাকারাহ : ১৮৫) সংযম এবং সংশোধনের মাস: “হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হলো যেভাবে তা ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর। যাতে তোমরা সংযমী হও। (সূরা বাকারা, আয়াত-১৮৩) ‘যে সংশোধিত হলো, সেই সফলকাম হলো।’ (সূরা আল-আ’লা, আয়াত-১৪)
রোজার মাসে কেউ অসুস্থ হলে করণীয়: ‘নির্দিষ্ট কয়েক দিন (রোজা ফরজ)। তবে তোমাদের মধ্যে যে অসুস্থ হবে কিংবা সফরে থাকবে, তাহলে অন্যান্য দিনে সংখ্যা পূরণ করে নিবে। আর যাদের জন্য তা কষ্টকর হবে, তাদের কর্তব্য ফিদয়া- একজন দরিদ্রকে খাবার প্রদান করা। অতএব যে স্বেচ্ছায় অতিরিক্ত সৎকাজ করবে, তা তার জন্য কল্যাণকর হবে। আর সিয়াম পালন তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা জান’ (সূরা বাকারা, আয়াত-১৮৪) ‘আর যে লোক অসুস্থ কিংবা মুসাফির অবস্থায় থাকবে সে অন্য দিনে গণনা (রোজা) পূরণ করবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান; তোমাদের জন্য জটিলতা কামনা করেন না; যাতে তোমরা গণনা পূরণ কর। আর তোমাদের হেদায়েত দান করার কারণে তোমরা আল্লাহ তাআলার মহত্ত্ব বর্ণনা কর। যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ১৮৫)
রোজাদারের জন্য ক্ষমা ঘোষণা: ‘সিয়াম পালনকারী পুরুষ ও নারী, নিজেদের লজ্জাস্থানের হিফাজতকারী পুরুষ ও নারী, আল্লাহর অধিক জিকিরকারী পুরুষ ও নারী, তাদের জন্য আল্লাহ প্রস্তুত করে রেখেছেন ক্ষমা ও মহাপুরস্কার’। (সূরা আহযাব, আয়াত-৩৫) রোজার কাফফারা আদায়ের সম্পর্কে: কিন্তু যে তা পাবেনা, সে লাগাতার দু’মাস সিয়াম পালন করবে, একে অপরকে স্পর্শ করার পূর্বে। আর যে (এরূপ করার) সামর্থ্য রাখে না সে ষাটজন মিসকিনকে খাবার খাওয়াবে। এ বিধান এ জন্য যে, তোমরা যাতে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান আন। (সূরা মুজাদালা, আয়াত-০৪)
আপনার মতামত লিখুন :