আবু সাঈদ ফাহিম: আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সেফটি স্টান্ডার্ড কমপ্লায়েন্সে উন্নতি হওয়ায় বাংলাদেশের পাইলটরা কাজ পাবেন চীনে। সংস্থাটির র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের স্কোর ৭৭ পার হওয়ায় উপমহাদেশের অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি। তবে চীনের বাজার ধরতে পাইলট প্রশিক্ষণের সক্ষমতা বাড়ানোর তাগিদ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
ইন্টারন্যাশনাল সিভিল অ্যাভিয়েশন অর্গানাইজেশনের র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের স্কোর ছিলো ষাটের নিচে। সে কারণেই চীনে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারতো না দেশের কোনো এয়ারলাইন্স। কাজের সুযোগ ছিলো না পাইলট-কেবিন ক্রুদেরও।
সম্প্রতি র্যাংকিং স্কোর সত্তুর ছাড়ানোয় চীনের গুয়াংজোতে ফ্লাইট চালু করতে পেরেছে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স। অনুমতির অপেক্ষায় রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমানসহ আরো তিন এয়ারলাইন্স। আইকাও সেফটি স্টান্ডার্ড কমপ্লায়েন্সে বাংলাদেশের পেছনে রয়েছে রাশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, কাতার ও ভারত।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (পরিচালক) চৌধুরী মো. জিয়াউল কবির বলেন, আমাদের যে পাইলটরা আছেন, আমাদের যে কেবিন ক্রুরা আছেন বা অন্যান যারা সার্টিফিকেট ধারীরা আছেন তারা এখন থেকে চায়নার মার্কেটে এপ্লাই করতে পারবে। এইদিকে ওরা ওদের যে সমস্ত এয়ারলাইন্স অপারেট আছে তাদের কে তারা ইন্টিমেট করে দিয়েছে।
অভিজ্ঞ বৈমানিকেরা সেখানে চলে গেলে দেশীয় এভিয়েশনে সংকট দেখা দেবে বলেও মনে করছে ফ্লাইং একাডেমি।
গ্যালাক্সি ফ্লাইং একডেমি প্রধান নির্বাহী এ টি এম নজরুল ইসলাম বলেন, চীনের মার্কেটে আমরা যদি ঢুকতে পারি সেটা বাংলাদেশের জন্য একটা বিরাট ভালো একটা হ্যাল্পফুল হবে। তবে সে সাথে আর একটা জিনিস কিন্তু মনে রাখাতে হবে, বাংলাদেশের কিন্তু পাইলট সংকট হয়ে যাবে।
তবে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বলছে, পাইলট প্রশিক্ষণের সক্ষমতা বাড়াতে সব রকম সহযোগিতা করতে প্রস্তুত তারা।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (পরিচালক) চৌধুরী মো. জিয়াউল কবির আরো বলেন, নতুন স্কুলগুলো যাতে নতুন ভাবে সাজতে পারে নতুন নতুন রুলস এবং রেগুলেশন তৈরি হচ্ছে। পাশাপাশি আমাদের বর্তমানে যেটা আছে সেটাও চলছে এবং লোকজনকে আমরা উৎসাহি করার চেষ্টা করছি যাতে তারা এই মিশন সেক্টরের দিকে আসে।
পাশপাশি ফ্লাইং একাডেমিগুলোর প্রশিক্ষণ খরচ কমাতে তেলের দামে সামঞ্জস্য আনার চেষ্টা চলছে বলেও জানিয়েছে বেবিচক।
চীনের বাজারে প্রতি বছর প্রয়োজন প্রায় ৫ হাজার পাইলটের। সেখানে বাংলাদেশের তিনটি একাডেমি মিলে তৈরি করছে মোট ২৫ জন পাইলট। সক্ষমতা না বাড়িয়ে চীনের বাজারে কতটুকু সুবিধা করতে পারবে বাংলাদেশ। সূত্র: ইনডিপেনডেন্ট টিভি
আপনার মতামত লিখুন :