জান্নাতুল ফেরদৌসী : রমজানের শুরুতেই রাজধানীর বাজারে দ্রব্য নিয়ে বিশৃঙ্খলা, সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে না প্রায় কিছুই। বিভিন্ন বাজারে ১০০ টাকা ছুঁয়েছে শসা ও গাজরের কেজি। পাশাপাশি কিছুটা বেড়েছে মরিচের দাম। সেই সঙ্গে সব সবজিই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। ৫০ টাকার নিচে কোনো সবজির কেজি মিলছে না। বাজার নজরদারিতে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যর্থতার কারণেই প্রতিদিন পকেট কাটা যাচ্ছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।
রাজধানীর বাজারে একমাত্র গরু আর খাসির মাংস ছাড়া আর কোনো পণ্যই সরকারের বেধে দেয়া দামে বিক্রি হচ্ছে না। রমজানের অজুহাতে ব্রয়লার বা দেশি মুরগী দুটোর দামই চড়া। পেঁয়াজের দাম কমলেও মানছেন না বিক্রেতা। সবজির বাজারেও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি।
দেশি গরুর মাংস ৪৫০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে সিটি করপোরেশন। বিদেশি হলে এর দাম আরো কম। খাসির মাংস ৭২০। তবে দেশি -বিদেশি গরুর মাংসের পার্থক্য করা বা ছাগলের মাংস চেনা ক্রেতার জন্য সহজ কাজ নয়।
ব্রয়লার মুরগীর নির্ধারিত দাম ১৪২ টাকা কেজি। কিন্তু এর দাম ১৬৫ টাকা পর্যন্ত রাখছেন বিক্রেতারা। দেশি মুরগী ৫০০ টাকা কেজি। সোনালী ৩০০ টাকা। তবে বিক্রেতা অস্বীকার করলেও বাজার জুড়েই দেশি মুরগীর খাঁচায় সোনালী জাতের মুরগী দেখা গেছে।
২ দিন আগে সর্বশেষ বাজার দর হালনাগাদ করা হয়েছে মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে। তবে এই দামের সাথে বাজার পরিস্থিতির কোন মিল নেই। একই ছাদের নিচে কেউ পেঁয়াজ বিক্রি করছেন ৪৫ টাকা কেজি। কেউ ৪০, কেউ ৫০।
তাজা সবজির নাম করে কেউ দেশি শসা ও পটল বিক্রি করছেন ১০০ টাকা কেজি। বেগুন ৮০ টাকা। ঢেড়স ৬০। পাকা টমেটো ও করলার দাম নতুন করে কিছুটা বেড়েছে। ৪০-৫০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া টমেটোর দাম বেড়ে হয়েছে ৬০-৭০ টাকা। করলা বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৪৫-৫০ টাকা।
দামের এ উত্তাপ শাকেও লেগেছে। লাল শাক, সবুজ ডাটা শাক, পাট শাক, কলমি শাক বিক্রি হচ্ছে ১০-১৫ টাকা আটি, যা আগের সপ্তাহে ছিল ৫-১০ টাকা আটি। আর ২০-২৫ টাকা আটি বিক্রি হওয়া পুইশাক ও লাউ শাক বেড়ে হয়েছে ৩০-৩৫ টাকা।
ব্যবসায়ী বলছেন, রোজা, রোজার কারণেই এখন সব ধরনের সবজির দাম কিছুটা বেশি। রোজা চলে গেলে হয়তো সব সবজির দাম কমে যাবে। শসা ও বেগুনের দাম রোজার পর অবশ্যই কমবে। তবে রোজার ভেতর এ দু'টি পণ্যের দাম কমার সম্ভাবনা নেই। সূত্র: ডিবিসি নিউজ টিভি, জাগো নিউজ
আপনার মতামত লিখুন :