ডেস্ক রিপোর্ট : গত বছরের পর এ দিনটিতে এই তিনজনের একত্রিত হওয়ায় পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য রাজনীতি হয়ে উঠেছে সরগরম।
শেখ হাসিনার সফরসূচি নিয়ে কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপদূতাবাস জানায়, বাংলাদেশ ভবন ও আসানসোলে কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় বাদে সম্পূর্ণ সফরসূচি ঢাকা থেকে তারা পায়নি। তাই এ বিষয়ে নির্দিষ্টভাবে কিছু জানাতে পারবে না।
তবে দুই প্রধানমন্ত্রীর রাজ্য সফর নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনের তৎপরতা দেখে ও সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে যা জানা যাচ্ছে তা হলো- ২৫ মে কলকাতা বিমানবন্দরে পৃথক সময়ে অবতরণ করবেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে হেলিকপ্টার করে পৃথকভাবে শান্তিনিকেতন যাবেন তারা।
সেখানে বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন করবেন দুই প্রধানমন্ত্রী। তারা সময় দেবেন বিশ্বভারতী বিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানেও। এরপর লাঞ্চের পর বদ্ধদ্বারে দেশের সমস্যা নিয়ে হবে একান্ত বৈঠক। সেখানে দুই রাষ্ট্রের প্রধান ছাড়া তৃতীয় কারও না থাকার সম্ভাবনা বেশি। সম্ভবত শান্তিনিকেতনে যোগ নাও দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পরে সেদিনই কলকাতায় ফিরে আসবেন শেখ হাসিনা। সেখান থেকে তিনি যাবেন নেতাজী ভবনে। সেই রাত থাকবেন কলকাতায়ই। অপরদিকে, বিশ্বভারতী থেকে সরাসরি ফিরে যাবেন নরেন্দ্র মোদী।
পরদিন ২৬ মে আসানসোলে কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশে রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে তাকে দেওয়া হবে ডিলিট সম্মাননা। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর হেলিকপ্টারে আসানসোল থেকে ফিরবেন কলকাতা। ফিরেই সেখান থেকে যাবেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মভিটা জোড়াসাঁকোতে। পরে কলকাতাতেই ইফতার শেষ করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী।
দুই রাষ্ট্র নায়কের শান্তিনিকেতনে একান্ত আলাপচারিতায় যে বিষয় দু’টি বিশেষ গুরুত্ব পেতে পারে তা হলো- পানিবণ্টন ইস্যুতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দীর্ঘ টানাপোড়েন। বাংলাদেশ তিস্তার ন্যায্য হিস্যা পেতে নয়াদিল্লির সঙ্গে সমঝোতা করতে চাইলেও বারবার তাতে বাধ সাধছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া সম্প্রতি মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে নয়াদিল্লির সঙ্গে যোগাযোগ আরও বেড়েছে ঢাকার। রোহিঙ্গাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসন জোড়ালোভাবে নিশ্চিত করাই থাকতে পারে বৈঠকের মূল লক্ষ্য।
এ বিষয়ে কলকাতার অধ্যাপক ইমানুল হক বলেন, তিস্তা বাংলাদেশের ন্যায্য প্রাপ্তি ও রোহিঙ্গারা যাতে নিজ বাসভূমি ফিরে পান এবং স্বমর্যাদায় তারা নিজের দেশে বাস করতে পারেন। তাই বৈঠকের জন্য শান্তিনিকেতনকে বেছে নেওয়া খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। তবে দুই দেশের মধ্যে আরও শান্তি ফিরে আসাটা খুবই জরুরি, এও উল্লেখ করেন তিনি।
একই জের টেনে কলকাতার সাংবাদিক মোহাম্মদ সাদউদ্দিন বলেন, তিস্তা চুক্তির জন্য ভারত সরকার রাজি থাকলেও পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজি না হওয়ার কারণে বারবার পিছিয়েছে এটি। তবে আমি মনে করি, পশ্চিমবঙ্গে যে সরকার ক্ষমতায় থাকুক না কেনো, তিস্তা চুক্তি হওয়াটা দরকার। এর ফলে দুই দেশের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সামাজিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলে আমি মনে করি। সূত্র : বাংলা নিউজ
আপনার মতামত লিখুন :