শিরোনাম
◈ দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েল ফসফসরাস বোমা হামলা ◈ ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতদের ৬ জন একই পরিবারের ◈ গাজীপুরের টঙ্গি বাজারে আলুর গুদামে আগুন ◈ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনোয়ারুল হক মারা গেছেন ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শনিবার ঢাকা আসছেন ◈ দুই এক পশলা বৃষ্টি হলেও তাপদাহ আরো তীব্র হতে পারে  ◈ এথেন্স সম্মেলন: দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনায় সম্মিলিত প্রয়াসের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ◈ কেএনএফ চাইলে আবারও আলোচনায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে: র‌্যাবের ডিজি ◈ ওবায়দুল কাদেরের হৃদয় দুর্বল, তাই বেশি অবান্তর কথা বলেন: রিজভী ◈ মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৮ মে, ২০১৮, ০৪:৫১ সকাল
আপডেট : ১৮ মে, ২০১৮, ০৪:৫১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

৭৫ বছরে পা দিলেন দেশ প্রেমিক কমরেড

মো. মাইদুল ইসলাম প্রধান : ১৯৬৩ সালে ডাকসু ভিপি, প্রাক-মুক্তিযুদ্ধ ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃত, ঊনসত্তরের গণ অভ্যুত্থানের অন্যতম নায়ক, মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অগ্রদূত, স্বাধীনতা বিরোধী জামাত-শিবিরের আতঙ্ক, বলিষ্ঠ পার্লামেন্টারিয়ান, কৃষক-শ্রমিকের ভরসার অপর নাম, মেহনতি মানুষের সংগঠন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি, ঢাকা-৮ আসনের সম্মানিত সংসদ সদস্য ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী, বর্তমানের সমাজকল্যাণমন্ত্রী কমরেড রাশেদ খান মেনন এমপি’র ৭৫তম শুভ জম্মদিন। হাতে গোনা যে কয়জন জীবিত আইকোন রাজনৈতিক নেতা দেশকে নি:স্বার্থ ভালোবাসা ও ত্যাগের বিনিময়ে উন্নয়নের অভীষ্ট লক্ষে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন নিঃসন্দেহে রাশেদ খান মেনন তাদের মধ্যে অন্যতম।

১৯৪৩ সালের ১৮ মে তাঁর পিতা মরহুম স্পীকার, বিচারপতি আব্দুল জব্বার খান এর ফরিদপুরে চাকুরির সুবাদে সেখানেই জন্ম নেন এই মহান মানুষটি। মূলত: তার পিতৃভূমি বৃহত্তর বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার বাহেরচর ক্ষুদ্রকাঠি এলাকায়।

ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে লেখালেখি, গবেষণা, পত্রিকার সম্পাদনাসহ লেখালেখির প্রায় সকল ক্ষেত্রেই বিচরণ করেছেন তিনি। ধনাঢ্য পরিবারের সদস্য হয়েও তিনি বেছে নেন দেশের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের সাধারণ হাতগুলিকে। তার নিত্য সঙ্গী দেশের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষগুলিই। সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ে কৃষক-শ্রমিকের পাশে নিয়ে তপ্ত রোদে, খাল-নদী পাড়ি দিয়ে ছুটে চলেছেন বছরের পর বছর। সকলের জন্য সমতা ও ন্যায্যতা, পিছিয়ে পড়া সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নই তাকে অবিরাম ভাবায়িত করে। একারণে সেই ছাত্র জীবন থেকেই তিনি সমাজতান্ত্রিক মূল্যবোধে আকৃষ্ট। নেতৃত্ব তার সহজাত গুণাবলীর বৈশিষ্ট্য। সেই ষাটের দশকেই তিনি তুখোড় ছাত্র নেতা। এরপর বাষট্টির আইয়ুব বিরোধী সামরিক শাসন ও শিক্ষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তিনি ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে চলে আসেন। ১৯৬৩-৬৪ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) এর ভিপি ও ৬৪-৬৭ সালে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নির্বাচিত হন।

বাষট্টি সালে নিরাপত্তা আইনে প্রথম কারাবন্দী হওয়ার পর ’৬৯ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময় ও বিভিন্ন মেয়াদে নিরাপত্তা আইন, দেশরক্ষা আইন ও বিভিন্ন মামলায় কারাবরণ করেন। ’৬৪-এর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা প্রতিরোধে ছাত্র সমাজের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে কুখ্যাত মোনেম খানের আগমনকে বিরোধীতা করতে গিয়ে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কৃত হন ও পরে সুপ্রীম কোর্টের রায়ে ঐ বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হলে জেল থেকে এম.এ পরীক্ষা দেন। ’৬৭-৬৯ জেলে থাকাকালীন অবস্থায় তিনি বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্যে আসেন এবং আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় তিনি ক্যান্টনমেন্টে নীত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত জেলের বাইরে তাঁর যোগাযোগের মাধ্যম হিসাবে কাজ করেন।

ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের পর জেল থেকে ছাড়া পেয়ে তিনি মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বাধীন কৃষক সমিতিতে যোগ দেন ও সন্তোষে ঐতিহাসিক কৃষক সম্মেলনের সংগঠকের ভূমিকা পালন করেন।

স্বাধীনতা উত্তরকালে রাশেদ খান মেনন বিভক্ত কমিউনিস্ট গ্রুপগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (লেনিনবাদী) গঠন করেন এবং নিজে ভাসানী ন্যাপ-এর প্রচার সম্পাদক ও কৃষক সমিতির দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্ব নেন। ১৯৭৩-এ ন্যাপ (ভাসানী)-এর প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল থেকে দু’টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

১৯৭৪-এ ভাসানী ন্যাপ থেকে বেরিয়ে এসে ইউনাইটেড পিপলস পার্টি (ইউপিপি) গঠিত হলে তার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। কিন্তু ১৯৭৮-এ ইউপিপি সামরিক শাসক জেনারেল জিয়াউর রহমানের জাতীয়তাবাদী ফ্রন্টে যোগ দিলে রাশেদ খান মেনন ইউপিপি ত্যাগ করে গণতান্ত্রিক আন্দোলন গঠন করেন এবং ১৯৭৯ সনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এ সময় ওয়ার্কার্স পার্টি নামে পার্টি পুনঃসংগঠিত হয় এবং রাশেদ খান মেনন ওয়ার্কার্স পার্টির সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য হন।

১৯৮২ জেনারেল এরশাদ সামরিক শাসন জারি করলে রাশেদ খান মেনন সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলনে অন্যতম মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। ঐ সামরিক শাসনবিরোধী প্রথম বিবৃতিটি- যা পরবর্তীকালে পনের দল গঠনের ভিত্তি স্থাপন করে তার রচয়িতাও ছিলেন তিনি। ’৮৩-এর মধ্য ফেব্রুয়ারির ছাত্র আন্দোলনের কারণে তাকে অন্যান্য রাজনৈতিক নেতাদের সাথে চোখ বেঁধে সামরিক ছাউনির নির্জন সেলে আটক রাখা হয়।পরে দিনাজপুর জেলে স্থানান্তর করা হয়।

সংসদে তিনি জামাত-শিবিরের মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক তৎপরতা, বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে সশস্ত্র আক্রমণ, সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসী তৎপরতা, বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ-এর কাছে সরকারের নতজানু নীতি, কাঠামোগত সংস্কার, বিশেষ করে পাটকলের কাঠামোগত সংস্কারের নামে পাট শিল্পের ধ্বংস সাধন, মুক্ত বাজার অর্থনীতির নামে লুটপাটের অর্থনীতিক নীতি অনুসরণের এবং দৃঢ় বিরোধীতা, কৃষক, খেতমজুর ও শ্রমজীবী মানুষের স্বপক্ষে দৃঢ় ভূমিকা গ্রহণ করেন। সংসদের বাইরে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আন্দোলন সংগঠিত করতেও তিনি বিশেষ ভূমিকা রাখেন।

এই সব মিলিয়ে রাশেদ খান মেনন সাম্প্রদায়িক-মৌলবাদী গোষ্ঠীর আক্রমণের টার্গেটে পরিণত হন এবং তার বিরুদ্ধে জামাত-শিবিরসহ ধর্মাশ্রয়ী দলগুলোর পক্ষ থেকে আক্রমণাত্মক প্রচারণা শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯২-এর ১৭ আগস্ট নিজ পার্টি কার্যালয়ের সামনে গুলিবিদ্ধ করে তাকে হত্যার চেষ্টা হয়। প্রথমে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল ও পরে লন্ডনে কিংস কলেজে দু’বার অস্ত্রোপচার হলে তিনি জীবনে বেঁচে যান।

২০০১ সালে বিএনপি-জামাত চারদলীয় জোট সরকার গঠন করে দেশব্যাপী সাম্প্রদায়িক তান্ডব শুরু করলে তিনি তার বিরুদ্ধে অন্যান্যদের নিয়ে প্রতিরোধ সংগঠিত করেন। জোট সরকারের প্রশ্রয়ে যে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটে তার বিরুদ্ধেও প্রথম প্রতিরোধ গড়ে তোলে ওয়ার্কার্স পার্টি। বিএনপি-জামাত জোটের দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িক নীতির বিরুদ্ধে প্রথমে এগার দল ও পরে আওয়ামী লীগ, জাসদ, ন্যাপসহ চৌদ্দ দলের আন্দোলন গড়ে তোলেন। চৌদ্দ দলের ৩১ দফা নির্বাচনী সংস্কার ও ২৩ দফা ন্যূনতম কর্মসূচি প্রণয়নে তিনি মুখ্য ভূমিকা রাখেন। ২০০৫ সালের ১৫ জুলাই জননেত্রী শেখ হাসিনা ঐ নির্বাচনী সংস্কারের রূপরেখা তুলে ধরলে তা জাতীয় দাবিতে পরিণত হয়। ২০০৮ সালের ডিসেম্বর নির্বাচনে তিনি ১৪ দলের প্রার্থী হিসেবে ঢাকা-৮ নির্বাচনী এলাকা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এই সংসদের তিনি কার্যউপদেষ্টা কমিটির সদস্য ও শিক্ষামন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ছিলেন। এ ছাড়া সংবিধান সংশোধন সম্পর্কিত বিশেষ কমিটিরও তিনি সদস্য ছিলেন।

এগারই জানুয়ারির পর দেশে জরুরি অবস্থা জারি হলে তার মধ্যেও তিনি সেনানিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বস্তি, রিক্সা, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নামে হাট-বাজার উচ্ছেদ দ্রব্যমূর্ল্যের উর্ধগতি, পাটকল বন্ধ করা, ব্যাংক-বীমাসহ রাষ্ট্রায়ত্ত্ব প্রতিষ্ঠানকে বিশ্বব্যাংকের নির্দেশ অনুযায়ী কোম্পানিতে রূপান্তরিত করে বি-রাষ্ট্রীয়করণের নীতি কার্যকর করা, নারী নীতি স্থগিত করা, চট্টগ্রাম বন্দরকে ব্যক্তি ও বিদেশী ব্যবস্থাপনায় তুলে দেয়া, ফুলবাড়িয়া কয়লা খনিকে এশিয়া এনার্জীর হাতে তুলে দেয়ার ষড়যন্ত্র, ইরাক-আফগানিস্তান ও প্যালেস্টাইনসহ বিশ্বব্যাপী সাম্রাজ্যবাদবিরোধী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তিনি দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করেন।

২০০৮ সালের নির্বাচনে তিনি ঢাকা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। নবম সংসদে তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও কার্যউপদেষ্টা কমিটির সদস্য ছিলেন। এছাড়া সংবিধান সংশোধন বিশেষ কমিটির সদস্য হিসাবে সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনী প্রণয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখেন। আদিবাসী সংসদীয় ককাসের তিনি সভাপতি ছিলেন। ২০১৪ এর ৫ ই জানুয়ারি নির্বাচনের জন্য গঠিত সর্বদলীয় মন্ত্রী সভার তিনি সদস্য ছিলেন এবং ডাক ও তার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। ঐ নির্বাচনে তিনি ঢাকা থেকে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। বর্তমানে তিনি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী।

রাজনৈতিক কর্মকান্ড ছাড়াও গবেষণার কাজ, প্রবন্ধ-নিবন্ধ রচনা, বিশেষ করে জাতীয় দৈনিকসমূহে তার নিয়মিত কলাম লেখায় তিনি নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। তার ঐ কলামসমূহ একত্রিত করে এ পর্যন্ত পাঁচটি বই প্রকাশিত হয়েছে।

ব্যক্তি জীবনে রাশেদ খান মেনন ১৯৬৯-এর মে মাসে তার ছাত্র আন্দোলনের সহকর্মী লুৎফুন্নেছা খান বিউটিকে বিয়ে করেন। লুৎফুন্নেছা খান বিউটি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর পপুলেশন রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং এর সিনিয়র ইন্সট্রাক্টর হিসেবে অবসর নিয়েছেন।

রাশেদ খান মেনন ৬০-এর দশকের সামরিক শাসনবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, শিক্ষা আন্দোলন, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, মুক্তিযুদ্ধ. ৯০-এর গণঅভ্যুত্থানসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী ভূমিকা রাখার জন্য ঢাকা সিটি করপোরেশন ৮ অক্টোবর ২০০৮ সনের রাজধানীর মগবাজার চৌরাস্তা হতে বাংলামটর রোড পর্যন্ত এই সড়কের নাম রেখেছে ‘রাশেদ খান মেনন সড়ক’।

সুপ্রসিদ্ধ পারিবারিক ঐতিহ্যের অধিকারী রাশেদ খান মেনন-এর ভাইদের মধ্যে রয়েছেন স্বনামধন্য কলামিষ্ট সাদেক খান; সাবেক মন্ত্রী, সচিব ও রাষ্ট্রদূত, কিংবদনন্তী কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ, সাবেক মন্ত্রী প্রখ্যাত সাংবাদিক এনায়েতুল্লাহ খান; সাবেক সংস্কৃতিক প্রতিমন্ত্রী বেগম সেলিমা রহমান; মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক শহীদুল্লাহ খান ও প্রবাসী স্থপতি সুলতান মাহমুদ খান (আমেরিকা); প্রসিদ্ধ ফটোগ্রাফার এলেন খান (অস্ট্রেলিয়া) ও ইসলামি চিন্তাবিদ আমানুল্লাহ খান (অস্ট্রেলিয়া)। স্ত্রী লুৎফুন নেসা খান অবসর প্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তা। কন্যা ড. সুবর্ণা খান ক্যান্সার সেলের ওপর পিএইচডি করে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত। পুত্র আনিক রাশেদ খান, ইউনিভাসির্টি অব লন্ডন থেকে আইনে অধ্যায়ন করেছেন।

লেখক: তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়