শিরোনাম
◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ ভেটোর তীব্র নিন্দা,মার্কিন নীতি আন্তর্জাতিক আইনের নির্লজ্জ লংঘন : ফিলিস্তিন ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো

প্রকাশিত : ১৭ মে, ২০১৮, ১০:০১ দুপুর
আপডেট : ১৭ মে, ২০১৮, ১০:০১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রীর অপছন্দের দুটি পত্রিকা

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বেশির ভাগ গণমাধ্যমের কাছ থেকে কাঙ্ক্ষিত সহযোগিতা তিনি পাননি। উল্টো তাঁর বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ে সমালোচনা বেশি হয়েছে বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলের অত্যাচার নিয়ে তেমন লেখালেখি হয় না বলেও অভিযোগ সরকারপ্রধানের। দুটি পত্রিকা অপছন্দ করেন প্রধানমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা।

পত্রিকার নাম উল্লেখ না করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জানেন, দুটি পত্রিকা আমি পড়িও না, রাখিও না। আমার গণভবনে ঢুকতেও দিই না। দরকার নেই আমার। কাজের মধ্য দিয়েই জনগণই জেনে নেবে। কাজের মাধ্যমেই আমি থাকব। আওয়ামী লীগ থাকলে কী হয় আর না থাকলে কী হয়, তা দেশের মানুষ বোঝে।’ তাঁকে সব সময় সমালোচনার মধ্যে থাকতে হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সে অনুযায়ী বিএনপির নির্যাতনের কথা গণমাধ্যমে উঠে আসেনি।সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের মতে এ দুটি পত্রিকা হচ্ছে ডেইলি স্টার ও প্রথম আলো।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘কত পত্রিকা আমাদের বিরুদ্ধে লিখেছিল, কিন্তু কী দুর্নীতি প্রমাণ করতে পেরেছে? যারা এসব কথা লিখেছে, তাদের কী করা উচিত? এটাই কি সংবাদপত্রের স্বাধীনতা? আমি বলেছিলাম, কোথায় দুর্নীতি হয়েছে, তা প্রমাণ করতে। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক প্রমাণ করতে পারেনি। কানাডার ফেডারেল কোর্ট বলেছে, এসব বানোয়াট।’

বাংলাদেশ নিজের টাকায় পদ্মা সেতু করছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন অনুযায়ী দেশ নিজের পায়ে নিজের মাটিতে দাঁড়িয়েছে। এ সময় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট প্রসঙ্গে বিভিন্ন সমালোচনার জবাব দেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘কত কথাই তো তারা বলে। নিজেদের মাথায় ঘিলু-টিলু কম থাকলে কত কথাই তো তারা বলতে পারে। সাবমেরিন নিয়েও অনেক কথা শুনতে হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতুর স্প্যান ওঠার পর পত্রিকায় লেখা হলো। সেই কথা শুনে একজন বলে ফেললেন, জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু বানানো হচ্ছে, কেউ ওই সেতুতে উঠবেন না। আমি দেখব, সেতু হওয়ার পর তারা ওই সেতুতে ওঠেন কি না।’

যারা স্যাটেলাইট সম্পর্কে কিছুই বোঝে না, তারা ক্ষমতায় গেলে দেশের কী উন্নয়ন হবে, সে সম্পর্কে প্রশ্ন রাখেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রার কাছে পৌঁছে গেছে বলে জানান শেখ হাসিনা। এ ছাড়া তৃণমূল থেকে যেন উন্নয়ন হয়, সে লক্ষ্যে কাজ করছেন বলে জানান তিনি। সাংবাদিকরা যেন দেশের মানুষের কল্যাণ আর উন্নয়নের কাজগুলো তুলে ধরেন, সে অনুরোধ করেন শেখ হাসিনা।এ সময় স্বাধীনতা নিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবে দেওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি করেন প্রধানমন্ত্রী।

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে দেশে কী ধরনের পরিস্থিতি হয়, সে স্মৃতি মনে করতে বলেন শেখ হাসিনা। স্বাধীনতার চেতনায় বাংলাদেশ গড়ে উঠবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি। ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে কেমন দেখতে চান, সে পরিকল্পনার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রতিটি গ্রাম, প্রতিটি ইউনিয়নের মানুষ নাগরিক সুবিধা ভোগ করবে এমন পরিকল্পনা করছেন বলে জানান। আর এ ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়