ডেস্ক রির্পোট: যে খাবার নিজে খাবেন না, নিজের পরিবারের সামনে পরিবেশন করতে পারবেন না, সে খাবার ক্রেতার কাছে বিক্রি না করার আহ্বান জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, প্রথমে আমরা সচেতন করব, কিন্তু পরবর্তী ধাপে যদি কাজ না হয় তবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ঢাকার অনেক ইফতার বিক্রেতারা অ্যাপ্রোন ও হ্যান্ড গ্লাভস পরেন। আগামীতে আরও সচেতন হবেন।
গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘রমজান মাসের নিরাপদ খাদ্যের আলোকে ইফতার’- শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবীর ভূঁইয়া, বারডেম হাসপাতালের প্রিন্সিপাল অ্যান্ড হেড অব নিউট্রিশন শামসুন নাহার নাহিদ (মহুয়া), বিসেফ ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আনোয়ার ফারুক প্রমুখ।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, মানুষ অস্বাস্থ্যকর খাবার পছন্দ করে না। বর্তমানে অস্বাস্থ্যকর খাবার কমে গেছে। চাহিদা যত কমবে ব্যবসায়ীরা তত স্বাস্থ্যসম্মত ইফতার তৈরি করবে। এছাড়া হোটেল-রেস্টুরেন্ট মালিক, ফল বিক্রেতাসহ স্ট্রিট ফুডের দোকানিদের নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে সচেতনতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণও করেছি।
তিনি বলেন, বাইরের খাবারে অনেক সমালোচনা করি। কিন্তু আমাদের ঘরে তৈরি খাবারগুলো স্বাস্থ্যসম্মত কিনা-সেদিকেও আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। ঘরে যিনি খাবার তৈরি করেন তিনি ঠিকমতো হাত ধুয়েছেন কিনা-সেদিকে নজর দিতে হবে। এছাড়া আপনার সন্তানকে ক্ষতিকর ফাস্টফুড থেকে দূরে রাখতে হবে।
সেমিনারে ‘রমজানে স্বাস্থ্যসম্মত ইফতার’ বিষয়ে একটি পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশন তুলে ধরেন এফএও ফুড সেফটি প্রোগ্রামের সিনিয়র ন্যাশনাল অ্যাডভাইজার প্রফেসর শাহ্ মুনির হোসেন। প্রেজেন্টেশনে তিনি অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণের কারণে ডায়েরিয়াসহ নানা রোগের সংক্রমণ হয় বলে উল্লেখ করেন। সূত্র: সংবাদ
আপনার মতামত লিখুন :