রবিন আকরাম : খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে নিজের ফেসবুক ও একটি দৈনিক পত্রিকার অনলাইনে লিখেছেন সাপ্তাহিক পত্রিকার সম্পাদক গোলাম মোর্তুজা। সেখান থেকে কিছু লেখা তুলে ধরা হলো।
তিনি লিখেছেন- পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে মনে হয়েছে বিএনপি প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু এককভাবে নির্বাচন করছেন। তাকে কেউ সহযোগিতা করছেন, তেমন কাউকে নির্বাচনের মাঠে খুঁজে পাওয়া যায়নি। কেন্দ্রীয় নেতা গয়েশ্বর রায়কে সমন্বয়কারী করা হয়েছিল। তার উপস্থিতি দৃশ্যমান ছিল না। তিনি আদৌ সমন্বয়ের কিছু করেছেন বলে মনে হয়নি। নিয়ম অনুযায়ী এলাকার বাইরের কারও পক্ষে শেষ সময় পর্যন্ত সমন্বয় করাও সম্ভব না। সেক্ষেত্রে প্রয়োজন ছিল স্থানীয় কোনো নেতাকে সমন্বয়ের দায়িত্ব দেওয়া। কিন্তু বিএনপির পক্ষ থেকে তা করা হয়নি। ফলে সমন্বয়হীনতা প্রকট হয়ে উঠেছিল।
নজরুল ইসলাম মঞ্জুর নির্বাচনী সমন্বয়কারী কোথায় থাকলেন, কী করলেন- তা গণমাধ্যম বা বিএনপি নেতা- কর্মীরা বুঝতে পারেননি।
মঞ্জুকে সহযোগিতা না করার কারণ হিসিবে গোলাম মোর্তুজা মনে করেন- খুলনায় ২০১৩ সালের নির্বাচনে বিজয়ী মেয়র মনিরুজ্জামান মনিকে মনোনয়ন কেন বিএনপি দিলো না, তা ভোটার বা কর্মী- সমর্থকদের বোঝাতে পারেনি। মনি মেয়র নির্বাচিত হয়ে নিপীড়ন- নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। বিএনপি কর্মী- সমর্থকদের একটা সহানুভূতি ছিল তার প্রতি। মনি ও তার সমর্থকরা এবারের নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী মঞ্জুর পক্ষে কাজ করেননি। মনি নীরব থেকেছেন। তার অনুসারী অনেকে ভেতরে ভেতরে তালুকদার আবদুল খালেকের পক্ষে কাজ করেছেন।
কাউন্সিলর প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রেও বিএনপির দুর্বলতা পরিলক্ষিত হয়েছে। বিদ্রোহী প্রার্থী ছিল, যারা মেয়রের পক্ষে কাজ করেননি। দলীয় মনোনয়ন পাওয়া কাউন্সিলর প্রার্থীরা মেয়র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেননি।
জামায়াতের ভোটও পুরোপুরি ভাবে পক্ষে নিতে পারেনি বিএনপি। বিশেষ করে বাগের হাট-৩ রামপাল- মোংলা আসনে জামাতের অবস্থান শক্তিশালী। এটা তালুকদার আবদুল খালেকের আসন। এই আসনে জামায়াত সব সময় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকে, আওয়ামী লীগের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। তালুকদার আবদুল খালেক এই আসনে নির্বাচন না করলে, জামায়াতের সুবিধা হয়। নেপথ্যে জামায়াতের সঙ্গে তালুকদার আবদুল খালেকের এই কেন্দ্রীক একটা সমঝোতা হয়েছে বলে জানা যায়। ফলে জামায়াতের ভোট মঞ্জু পাননি, পেয়েছেন খালেক। ডেইলি স্টার
আপনার মতামত লিখুন :