শিরোনাম
◈ চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৭ মে, ২০১৮, ০৯:২৩ সকাল
আপডেট : ১৭ মে, ২০১৮, ০৯:২৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

লাক্স তারকারা কে কোথায়?

বিনোদন ডেস্ক : ২০০৫ সাল থেকে শুরু হয় প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান ‘লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার’। এই প্রতিযোগিতার
মাধ্যমে দেশের সংস্কৃতি অঙ্গন অনেক নতুন মুখ পেয়েছে। তাদের অনেকেই নিজের যোগ্যতার অবদান রাখছেন সৌন্দর্য, মেধা আর অভিনয়ে। যারা সেরা সুন্দরী নির্বাচিত হয়েছেন, তারা এখন কেমন আছেন? কে কী করছেন? তা জানাতেই এ প্রতিবেদন।

২০০৫ সালে এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে মিডিয়ায় যাত্রা শুরু করেন শানারেই দেবী শানু। সে বছর চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর থেকেই তিনি অভিনয়ে রেখে চলেছেন সফলতার স্বাক্ষর। বর্তমানে শানু ধারাবাহিক ও খন্ড নাটকে অভিনয় নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। আসরের প্রথম ও দ্বিতীয় রানার আপ হন যথাক্রমে নাবিলা হাসান ও পিংকি। দুজনেই এখন মিডিয়ার আড়ালে রয়েছেন।

২০০৬ সালে অনুষ্ঠিত হয় লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টারের দ্বিতীয় আসর। এতে বিজয়ীর মুকুট পরেন জাকিয়া বারী মম। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর পরই তিনি অভিনয় করেন ‘দারুচিনি দ্বীপ’ চলচ্চিত্রে। হুমায়ূন আহমেদের লেখা উপন্যাস অবলম্বনে এটি পরিচালনা করেন তৌকীর আহমেদ। ক্যারিয়ারের প্রথম চলচ্চিত্রেই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন মম। বর্তমানে চলচ্চিত্র ও টিভি মিডিয়ায় সমানতালে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।

আসরের প্রথম ও দ্বিতীয় রানার আপ হন যথাক্রমে বিন্দু ও বাঁধন। দুজনেই টিভি মিডিয়ায় দাপটের সঙ্গে কাজ করেছেন। শাকিব খানের নায়িকা হিসেবে বড়পর্দায় বিন্দুর অভিষেক হয়। কিন্তু বিয়ের পর মিডিয়ার আড়ালে চলে যান এই অভিনেত্রী। বাঁধন সম্প্রতি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। ‘দহন’ নামের ছবিটিতে তার বিপরীতে দেখা যাবে সিয়াম আহমেদ ও পূজা চেরিকে। ওই আসরেরই আরও দুই আলোচিত মুখ রুমানা মালিক মুনমুন ও অপর্ণা ঘোষ। মুনমুন জনপ্রিয়তা পেয়েছেন উপস্থাপনার মাধ্যমে আর অপর্ণা টিভি নাটক ও চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন।

২০০৭ সালে লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন হন বিদ্যা সিনহা মিম। এর পরই জনপ্রিয় নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের পরিচালনায় ‘আমার আছে জল’ ছবিতে অভিনয় করেন। প্রথম ছবিতেই তিনি দর্শকের হৃদয় জয় করেন। এর পর মিম ব্যস্ত হয়ে পড়েন নাটক ও বিজ্ঞাপন নিয়ে। যদিও বর্তমানে বড়পর্দার নায়িকা হিসেবেই দেখা যায় তাকে। ‘জোনাকীর আলো’ ছবিতে অনবদ্য অভিনয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ মিম অর্জন করেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। আসরের প্রথম ও দ্বিতীয় রানার আপ হন যথাক্রমে আলভী ও ফারিয়া। দুজনেই ছোটপর্দায় নিয়মিত অভিনয় করেছেন। ফারিয়া বর্তমানে মালয়েশিয়ায় পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় শোবিজে তাকে খুব কম দেখা যাচ্ছে। আলভী নিয়মিতই টিভি নাটকে অভিনয় করছেন।

২০০৮ সালে লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার হন চৈতী। এর পর তিনি অভিনয় করেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুনের জনপ্রিয় উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ছবি ‘মধুমতি’তে। প্রথম ছবিতে অভিনয় করে দর্শকপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি। বর্তমানে চৈতী অভিনয় করছেন নাটক ও টেলিছবিতে। আসরের প্রথম ও দ্বিতীয় রানার হন আপ যথাক্রমে সৈয়দা উম্মে তাজ্জি ও রেবেকা সুলতানা দীপা। দুজনেই মিডিয়ার আড়ালে রয়েছেন।

২০০৯ সালে চ্যাম্পিয়ন হন মেহজাবিন চৌধুরী। বর্তমানে শোবিজের অন্যতম আলোচিত মুখ তিনি। আসরের প্রথম ও দ্বিতীয় রানার আপ হন যথাক্রমে মৌনতা খান ঈশানা ও সাদিকা পারভীন স্বর্ণা। দুজনেই নিয়মিত অভিনয় করে যাচ্ছেন টিভি নাটকে। এই আসরের শীর্ষ পাঁচে থাকা অর্ষা ও ঊর্মিলাও ছোটপর্দার পরিচিত দুই নাম।

২০১০ সালে লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টারের মুকুট অর্জন করেন মাহবুবা ইসলাম রাখী। অল্প কিছু নাটক ও বিজ্ঞাপনে কাজ করেই দর্শকপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি। বর্তমানে রাখী পড়াশোনার জন্য দেশের বাইরে রয়েছেন। আসরের প্রথম ও দ্বিতীয় রানার আপ হন যথাক্রমে মৌসুমী হামিদ ও মেহরিন ইসলাম নিশা। দুজনই টিভি মিডিয়ার পরিচিত মুখ। এ ছাড়া শীর্ষ পাঁচে থাকা টয়াও মিডিয়ার আলোচিত নাম। গ্রামীণফোনসহ বেশ কিছু পণ্যের মডেল হয়ে তিনি আলোচিত হয়েছেন।

প্রতিযোগিতার সপ্তম আসরের (২০১২) চ্যাম্পিয়ন সামিয়া সাঈদ। ধারাবাহিক ও খন্ড নাটকে অভিনয় করছেন সমানতালে। আসরের প্রথম ও দ্বিতীয় রানার আপ হন যথাক্রমে প্রসূন আজাদ ও সামিহা খান। এর মধ্যে প্রসূন নিয়মিত হলেও সামিহাকে মিডিয়ায় খুব একটা দেখা যায় না।
প্রতিযোগিতার অষ্টম আসর অর্থাৎ ২০১৪ সালে বিজয়ী হন নাদিয়া আফরিন মীম। বর্তমানে ধারাবাহিক ও খন্ড নাটকে তিনি অভিনয় করছেন নিয়মিত। আসরের প্রথম ও দ্বিতীয় রানার আপ হন যথাক্রমে নাজিফা তুষি ও নীলাঞ্জনা নীলা। বিজ্ঞাপনের মডেল হওয়ার পাশাপাশি দুজনেই অভিনয় করেছেন বড়পর্দায়।

চার বছর বিরতির পর ‘দেখিয়ে দাও অদেখা তোমায়’ ক্যাম্পেইনে অনুষ্ঠিত লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার ২০১৮। এতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন পাবনার মেয়ে মিম মানতাসা। নিজের প্রথম নাটকে সহশিল্পী হিসেবে তিনি পাচ্ছেন গায়ক ও অভিনয়শিল্পী তাহসানকে। শিগগিরই এই নাটকের শুটিং শুরু হবে। আসরের প্রথম ও দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছেন যথাক্রমে সারওয়ার আজাদ বৃষ্টি ও সামিয়া অথৈ। সূত্র : আমাদের সময়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়