শিরোনাম
◈ পাবনায় হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সব সম্পত্তি দিয়ে দেবো (ভিডিও) ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না: সুপ্রিমকোর্ট ◈ তীব্র গরমে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা আরও ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা ◈ সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত ◈ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে, পতন অনিবার্য: রিজভী  ◈ সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম নালিশের রাজনীতি করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত : ১৭ মে, ২০১৮, ০৫:৫১ সকাল
আপডেট : ১৭ মে, ২০১৮, ০৫:৫১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি নিয়ে মরতে চাই’

ডেস্ক রিপোর্ট : স্বাধীনতার ৪৭ বছর পেরিয়ে গেলেও মুক্তিযোদ্ধা হয়েও স্বীকৃতি মেলেনি মাগুরার আব্দুর রাজ্জাক শেখের। বয়সের ভারে নুয়ে পড়ে এখন তিনি কর্মক্ষম। তাই ভিক্ষা করে জীবন চালান। তার বর্তমান বয়স ৯৫। বাঁচতে চান আরও কয়দিন, কিন্তু তার আগে তিনি মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি চান। তিনি চান সরকারি যে সাহায্য আসবে তার ছেলে মেয়ে যেন তা নিয়ে চলতে পারে। এই বয়সে আর ভাতা দিয়ে তার কোনও কাজ নেই।

দিনে দু’বেলা খাবারের জন্য ভিক্ষা করতে হয় রাজ্জাক শেখকে। তার ছেলেমেয়েও খুব একটা বেশি আয় করতে পারেন না। যাই আয় করে তা দিয়ে তারা নিজেরাই চলতে পারেন না। তাই অনেক সময় অনাহারে দিন কাটাতে হয় রাজ্জাক শেখকে। মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি না পাওয়ায় তার ভাগ্যে জোটেনি মুক্তিযোদ্ধা ভাতা। আব্দুর রাজ্জাকের বাড়ি মাগুরা সদর উপজেলা নিজনান্দুয়ালি গ্রামে। তিনি যুদ্ধ করেছেন শৈলকুপা অঞ্চলে। এই অঞ্চলকে মুক্তিযুদ্ধের সময় সেক্টর ৮ বলা হতো।

রাজ্জাক শেখের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য যাচাই করে দেখা যায়, প্রাথমিক একটি তালিকায় মাগুরার মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ১২৫ নম্বরে ছিল। শৈলকূপা উপজেলা কমাণ্ডার মো. মনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত প্রত্যয়ন পত্র রয়েছে তার কাছে। এর পাশপাশি জেলা ডেপুটি ইউনিট কমান্ডার এবং যুদ্ধকালীন কমান্ডার গোলাম রইচ, মুক্তিযোদ্ধা প্রশিক্ষণ শিবির রানাঘাট ভারতের আনসার কমান্ডার গোলাম মোস্তফা এবং তার সহযোগী মুক্তিযোদ্ধাদের স্বীকারপত্র রয়েছে তার কাছে। অথচ কোনও স্বীকারোক্তি তাকে সরকারিভাবে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি মেলাতে পারেনি।
১৯৯৩ সালে ১৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আব্দুল আহাদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়পত্র সরবরাহ করা হয় আব্দুর রাজ্জাককে। যার নম্বর- ১১০৪৭।

আব্দুর রাজ্জাক জানান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রহমত আলী মন্টুর নেতৃত্বে ঝিনাইদহের শৈলকুপার আলফাপুর,কুমিরাদহ,আবাইপুর এলাকায় যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।

সম্প্রতি তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ডাকে যুদ্ধে গেছি। ভারতের বনগাঁ কাঁঠালবাগান এলাকায় প্রশিক্ষণ শেষে শৈলকুপা এসে যুদ্ধে যোগ দেই। আমার কমান্ডার আমারে চেনে। আমার কাছে তাদের কাগজ আছে। কিন্তু আমি আজ পর্যন্ত স্বীকৃতি পাই নাই। কোনও ভাতা পাই নাই। দিন আনি দিন খাই। আমার পোলা মাইয়া যা কামায় অইডা তাদেরই হয় না। যদি একটু সুযোগ সুবিধা পাইতাম পোলামাইয়াগো রে ঠিক মতো মানুষ করতে পারতাম। এখন তো বয়স প্রায়ই শেষ। এখন ভাতা পাইলেও কয়দিন আর বাচুম। তবে মরার আগে স্বীকৃতি নিয়া মরতে চাই।’
রাজ্জাক সম্পর্কে জানতে চাইলে শৈলকুপা উপজেলার বর্তমান কমান্ডার কোরবান মাস্টার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন,আব্দুর রাজ্জাকের কথা শুনেছি। একটা বিষয় অবশ্যই মনে রাখা দরকার যে একজন কমান্ডারের নিচে অনেকেই যুদ্ধ করেছে। সবার কথা মনে রাখা দুরূহ ব্যপার। তাই নিজে থেকে কমান্ডারদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়গুলোর সুরাহা করা উচিত। দেশে অনেকবার গেজেট হয়েছে। উনি সেইসময় কারও সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। হয়তো তিনি জানতেনও না। পরে আবার যখন সরকার আপিলের সুযোগ দিলো তখন তার ব্যাপারে যা করা দরকার করা হয়েছে। দেখা যাক কী হয়। তিনি অবশ্যই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন বলেই তার কমান্ডার রহমত আলী মন্টু তাকে স্বীকৃতিপত্র দিয়েছেন। সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়