জিয়াউদ্দিন রাজু: সম্মেলন শেষ হওয়ার পর এখনো কমিটি ঘোষণা করা হয়নি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের। আর কমিটি ঘোষণা না করায় পদপ্রত্যার্শীদের মধ্যে বিরাজ করছে এক ধরনের হতাশা। এদিকে অভিযোগ রয়েছে প্রার্থীদের নামে নানা অপপ্রচারের। যে কারণে বিভিন্ন উপজেলা, জেলা, বিশ্ববিদ্যালয় ও কেন্দ্রীয় নেতা কর্মীদের চেহারায় হতাশার ছাপ চোখে পড়ছে। তবে যোগ্য, মেধাবি ও ত্যাগি নেতৃত্বের আশা করেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
বিভিন্ন জেলার নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, যোগ্যতা ও ত্যাগের পরিচয় দিয়েও দীর্ঘ প্রায় ২৪ বছর বরিশাল অঞ্চল থেকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক পদ পায়নি। আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে পুনরায় ক্ষমতায় আনতে ফরিদপুর-বরিশাল অঞ্চল থেকে কেন্দ্রে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক করার বিকল্প নেই বলে মনে করছেন অনেকেই। তবে অঞ্চল নয় যোগ্যতা ও মেধার ভিত্তিতে কমিটি করা হলে অবশ্যই এই দুই অঞ্চল সবার চেয়ে এগিয়ে থাকবে এমনটি জানিয়েছেন এই দু’অঞ্চলের নেতাকর্মীরা।
বরিশাল অঞ্চলের নেতাকর্মীরা বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ইতিহাসে বৃহত্তর বরিশাল ও ফরিদপুর অঞ্চলের ভূমিকা এ সংগঠনে রয়েছে। বরিশাল অঞ্চলের সাবেক ছাত্র নেতারই বর্তমানে আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। কিন্তু এই দুই এলাকার নেতাকর্মীর সংগঠনটিতে যোগ্যতা ও ত্যাগের পরীক্ষায় সফলতার সাথে উত্তীর্ণ হলেও বর্তমান সময়ে প্রাপ্তিতে তারা অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে।
এই দিকে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদ এস এম জাকির হোসেন বলেছেন, নতুন কমিটি দিতে কিছু দিন সময় লাগতে পারে, তবে কমিটি কবে হবে কেউ জানেন না। কিন্তু পূর্বে দেখা যায় সম্মেলনের দ্বিতীয়দিন নতুন কমিটি ঘোষিত হয়েছে।
এই দিকে বিভিন্ন জেলায় ছাত্রলীগের পদপত্যাশীদের আলোচনায় রয়েছে, বরিশাল অঞ্চল থেকে কেন্দ্রীয় কৃষি শিক্ষা সম্পাদক বরকত হোসেন হাওলাদার, আইন সম্পাদক আল নাহিয়ান খান জয়, উপ-আপ্যায়ন সম্পাদক আরিফুজ্জামান আল ইমরান, সহ-সম্পাদক আরিফুল ইসলাম সোহাগ, খাদিমুল বাসার জয়।
ফরিদপুর অঞ্চল থেকে কেন্দ্রীয় সহসভাপতি আরেফিন সিদ্দিক সুজন, শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক গোলাম রাব্বানী, কর্মসূচি ও পরিকল্পনা সম্পাদক রাকিব হোসাইন।
চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে সহসভাপতি হাবিবুর রহমান সুমন, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক মাজাহার শামীম, উপ আন্তর্জাতিক সম্পাদক এইচ এম তাজউদ্দীন, উপ স্কুলছাত্র সম্পাদক সৈয়দ আরাফাত, উপ স্কুলছাত্র সম্পাদক খাজা খায়ের সুজন।
উত্তরবঙ্গ থেকে কেন্দ্রীয় কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক রাকিবুল হাসান, সদস্য রেজোয়ানুল করিম চৌধুরী শোভন, উপ-আইন সম্পাদক হোসেন সাদ্দাম, সহসম্পাদক রাকিবুল ইসলাম ঐতিহ্য, মুহসীন হলের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সানী।
ছাত্রলীগের কমিটিতে সিন্ডিকেটের অভিযোগের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী নিজেই ছাত্রলীগের কমিটিতে হাত দেন। প্রার্থী হতে পারে এমন সকলের বিষয়ে তিনি গোয়েন্দাদের মাধ্যমে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করেন। তবুও একে অন্যের সাথে পাল্লা দিয়ে কাজ করছে। তবে উভয় সন্ডিকেটের একটি বড় অংশ বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চলের হলেও কেউই চায়না ফরিদপুর ও বরিশাল কেন্দ্রে আসুক।
আপনার মতামত লিখুন :