শিরোনাম
◈ বাংলাদেশ ব্রাজিল থেকে ইথানল নিতে পারে, যা তেলের চেয়ে অনেক সস্তা: রাষ্ট্রদূত ◈ যুক্তরাষ্ট্র সরে এলে বিশ্বরাজনীতিতে নেতৃত্ব দেবে কে: বাইডেন ◈ মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠালো বিজিবি ◈ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৬৪ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ◈ বর্ধিত ভাড়ায় ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু ◈ বাড়ছে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি ◈ আরও তিন মামলায় জামিন পেলেন মামুনুল হক ◈ সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯ ◈ তাপপ্রবাহে উচ্চ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শিশুরা,  বাড়তি সতর্কতার পরামর্শ ইউনিসেফের ◈ মন্ত্রী ও এমপিদের নিকটাত্মীয়রা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ওবায়দুল কাদের 

প্রকাশিত : ১৭ মে, ২০১৮, ০১:২২ রাত
আপডেট : ১৭ মে, ২০১৮, ০১:২২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস বৃহস্পতিবার

আবুল বাশার নূরু: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যা, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩৮তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল বৃহস্পতিবার। ১৯৮১ সালের ১৭ মে দীর্ঘ ছয় বছর নির্বাচন জীবন কাটিয়ে দেশের মাটিতে এসেছিলেন শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নরঘাতকরা ইতিহাসের সবচেয়ে নৃশংসতম হত্যাকা-ের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধুর দু’কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকার কারণে সৌভাগ্যক্রমে ঘাতকের হাত থেকে রক্ষা পান। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর চরম বৈরী পরিবেশের মুখে পড়ে আওয়ামী লীগ। কারাগারের অভ্যন্তরে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়। অসংখ্য আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। ভাঙ্গণের মুখে পড়ে দলটি। আওয়ামী লীগের ঐক্য ধরে রাখার পাশাপাশি দলটির নেতাকর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করতে ১৯৮১ সালের ১৪, ১৫ ও ১৬ ফ্রেরুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় কাউন্সিলে শেখ হাসিনাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। সে সময় তিনি নির্বাসন জীবন কাটাচ্ছিলেন।

আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরেন শেখ হাসিনা। সেদিন রাজধানী ঢাকা মিছিলের শহরে পরিণত হয়। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ঢাকা শহর মিছিলে-স্লোগানে প্রকম্পিত হয়। প্রচ- ঝড়-বৃষ্টি লক্ষ লক্ষ মানুষের মিছিলকে গতিরোধ করতে পারেনি। কুর্মিটোলা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ও শেরেবাংলা নগর পরিণত হয় জনসমুদ্রে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে এক নজর দেখতে সারা বাংলাদেশের মানুষের সেদিনের গন্তব্য ছিল রাজধানী ঢাকা। স্বাধীনতার অমর স্লোগান, ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু ধ্বনিত প্রকম্পিত হয় বাংলার আকাশ-বাতাস। জনতার কণ্ঠে বজ্রনিনাদে ঘোষিত হয়েছিল ‘হাসিনা তোমায় কথা দিলামÑপিতা হত্যার বদলা নেব’। ‘শেখ হাসিনার আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম’। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের দৃঢ় অঙ্গীকার, বঙ্গবন্ধুহত্যা ও জাতীয় চার নেতা হত্যার বিচার, স্বৈরতন্ত্রের চির অবসান ঘটিয়ে জনগণের হৃত গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা, সার্বভৌম সংসদীয় পদ্ধতির শাসন ও সরকার প্রতিষ্ঠার শপথ নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনা।

বঙ্গবন্ধু হত্যার পর বাংলাদেশে ফিরে আসার দিন থেকে শেখ হাসিনার দীর্ঘ সংগ্রাম জীবন শুরু হয়। বাংলার মানুষের হারিয়ে যাওয়া অধিকার পুনরুদ্ধার করতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি বারবার স্বৈরাচারের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করেছেন তিনি।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণের পর দীর্ঘ ৩৭ বছরের রাজনৈতিক জীবনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বৈরশাসনের অবসান, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, বাঙালির ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা, বাংলাদেশের মানুষের জীবনের মানন্নোয়ন করে এক সময়ের মঙ্গা কবলিত, দুর্ভিক্ষ জর্জরিত বাংলাদেশ আজ সারাবিশে^ একটি আত্মমর্যাদাশীল ও উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত হয়েছে। খাদ্যে স্বয়ংস্পূর্ণতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর খুনি ও একাত্তরের নরঘাতক মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্য সম্পাদন এবং রায় কার্যকর করা হয়েছে। দেশরতœ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারাবিশে^ বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, সততা, মেধা, দক্ষতা ও গুণাবলিতে সমসাময়িক বিশে^র অন্যতম সেরা রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন।

শেখ হাসিনার দীর্ঘ ৩৭ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের এ পথচলা কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না, ছিল কণ্ঠকাপূর্ণ ও বিপদসংকুল। গণমানুষের মুক্তির লক্ষ্যে আন্দোলন সংগ্রাম করার অপরাধে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলাসহ তাঁকে বারবার ঘাতকদের হামলার শিকার ও কারা নির্যাতন ভোগ করতে হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়