আনন্দ মোস্তফা: ইরানের পরমাণু চুক্তি নিয়ে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আলোচনার পরও চুক্তির ভবিষ্যৎ সম্পর্কে নিশ্চয়তা দিতে পারছে না ইউরোপ। একইসঙ্গে ওয়াশিংটনের সঙ্গে সংঘাত এড়িয়ে ইউরোপ কীভাবে নিজস্ব সিদ্ধান্ত কার্যকর করবে, সেই বিষয়ও এখনো স্পষ্ট নয়।
খবরে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাতিল করার পর ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ইউরোপ, চীন ও রাশিয়া এই চুক্তি চালু রাখার সদিচ্ছা প্রকাশ করলেও বাস্তবে তা সম্ভব হবে কিনা, তাও স্পষ্ট নয়। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভাদ জরিফ বেইজিং ও মস্কো সফর করে ব্রাসেলসে এসে সেই সম্ভাবনা খতিয়ে দেখার চেষ্টা করলেন। গত মঙ্গলবার জার্মানি, ফ্রান্স ও ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তথা ইইউ শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এই মর্মে আশ্বাস পেলেও কোনো নিশ্চয়তা আদায় করতে পারলেন না।
যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়া পরমাণু চুক্তি চালু রাখা কত কঠিন হবে, মার্কিন প্রশাসন এর মধ্যেই তা স্পষ্ট করে দিয়েছে। ব্রাসেলসে পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের ঠিক আগে ইরানের উপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে ওয়াশিংটন। সে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর তার আওতায় রয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র এককভাবে ইরানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ চাপালে সেই ধাক্কা হয়তো সামলানো সম্ভব। কিন্তু ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক রাখলে বিদেশি কোম্পানিগুলিকেও সেই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনলে ইউরোপের পক্ষে কঠিন পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। ডয়চে ভেলে
আপনার মতামত লিখুন :