শিরোনাম
◈ বিশৃঙ্খলার পথ এড়াতে শিশুদের মধ্যে খেলাধুলার আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ◈ তাপপ্রবাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসও বন্ধ ঘোষণা ◈ সোনার দাম কমেছে ভরিতে ৮৪০ টাকা ◈ ঈদযাত্রায় ৪১৯ দুর্ঘটনায় নিহত ৪৩৮: যাত্রী কল্যাণ সমিতি ◈ অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে বিটিআরসিতে তালিকা পাঠানো হচ্ছে: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ◈ পাবনায় হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সব সম্পত্তি দিয়ে দেবো (ভিডিও) ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু

প্রকাশিত : ১৬ মে, ২০১৮, ০৭:৫৫ সকাল
আপডেট : ১৬ মে, ২০১৮, ০৭:৫৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রোহিঙ্গাদের বাঁচিয়ে রাখাই কঠিন হবে: আশঙ্কা ডব্লিউএফপির

হ্যাপী আক্তার : জাতিগত নিধনের মুখে রোহিঙ্গারা মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসার পর থেকে দেশের পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের সহায়তা করছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা। তবে রোহিঙ্গাদের জন্য সহায়তা কমে এসেছে ইতোমধ্যেই। ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম ডব্লিউএফপি বলছে, আগামী ১০ মাসে রোহিঙ্গাদের খাবারের জন্য লাগবে ২৪৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা। আর ভরপোষণে প্রয়োজন ৯৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা। এ তহবিল সংগ্রহে ব্যর্থ হলে রোহিঙ্গাদের বাঁচিয়ে রাখাই কঠিন হবে বলে আশঙ্কা ডব্লিউএফপির।

ডব্লিউএফপি জানিয়েছে, ১০ মাসের মধ্যে সব রোহিঙ্গাদের ইলেকট্রনিক শপিং সিস্টেম আওতার মধ্যে আনা হবে। রোহিঙ্গারা আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠতে পারে সে বিষয়ের ওপরও তাগিদ তাদের।

মিয়ানমারের রাখাইনে সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে গত বছরের ২৫ আগস্ট থেকে বাংলাদেশে ঢুকতে থাকে রোহিঙ্গারা। তখন জাতিসংঘ হিসাব দেয়, ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৬ মাসে প্রয়োজন ৪৩৪ মিলিয়ন ডলার। দাতাদের কাছ থেকে ৪০০ মিলিয়ন ডলার পাওয়াও যায়। কিন্তু এখন তহবিল নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছে ডব্লিউএফপি। কারণ রোহিঙ্গাদের খাবারের জন্য দরকার ২৪৩ মিলিয়ন ডলার। অথচ আছে মাত্র ৪৫ মিলিয়ন।

বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) আবাসিক প্রতিনিধি ক্রিস্টা রাড বলেছেন, এখনও তহবিলে ২০০ মিলিয়ন ডলারের ঘাটতি রয়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে দীর্ঘমেয়াদে রোহিঙ্গাদের প্রয়োজনীয় দৈন্দিন খাদ্য সরবরাহ করাটা সংকটের মধ্যে পড়বে। তহবিলের জন্য এরই মধ্যে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে। কিন্তু আশানুরুপ সাড়া মিলছে না। এ পরিস্থিতিতে আমরা উদ্বিগ্ন।

সংস্থাটির দাবি প্রথম দিকে ২০টি দেশ রোহিঙ্গাদের সহায়তায় আন্তরিক থাকলেও এখন আগ্রহ অনেক কম। এ অবস্থায় রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণ সরবরাহ ঝুঁকির মুখে পড়তে যাচ্ছে। তবে তহবিল সংগ্রহের বিষয়ে এখনও আশাবাদি সরকার। পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক জানিয়েছেন এরই মধ্যে তহবিল বাড়ানোর কাজ শুরু হয়ে গেছে।

পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক জানান, ডব্লিউএফপি বলছে, রোহিঙ্গাদের খাদ্য সরবরাহে ইলেকট্রনিক শপিং সিস্টেম চালু করা হয়েছে। ১০ মাসের মধ্যে সব রোহিঙ্গা আওতার মধ্যে আসবে। সংস্থাটির তাগিদ এমন প্রকল্প হাতে নেয়া উচিত যেন রোহিঙ্গারা আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠতে পারে। সূত্র : ইন্ডিপেন্ডেট টিভি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়