ওমর শাহ: আকাশে শাবানের ২৯ তম চাঁদ। পাড়া মহল্লায় আজ রমজানের চাঁদ দেখার মেলা বসবে। উচ্ছ্বাস বয়ে যাবে রোজাপ্রেমীদের মন ভূবনে। চাঁদ দেখার এ সংস্কৃতি পালন করবে বিশ্ব মুসলিম। আমাদের নবী মুহাম্মদ সা. চাঁদ দেখে রোজা রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন। তবে এটা সকল মুসলিমদের ওপরই ফরজ নয়। প্রত্যেক এলাকায় কিছু মানুষ বা রাষ্ট্রীয়ভাবে চাঁদ দেখলেই এ নির্দেশ পালন হয়ে যাবে।
নবী (সা.) বলেন, চাঁদ দেখা রোযা রাখ এবং চাঁদ দেখে রোযা খতম কর। যদি ২৯ শাবান চাঁদ দেখা না যায় তাহলে শাবানের ত্রিশ দিন পূর্ণ কর। (সহীহ বুখারী ও মুসলিম) হযরত আয়েশা (রা) বলেন, নবী (স) শাবান মাসের দিনগুলো ও তারিখগুলো যেমন চিন্তা ভাবনা ও হিসেবে করে মনে রাখতেন, অন্য কোনো মাসের তারিখ এতো যত্ন সহকারে মনে রাখতেন না, তারপর তিনি রমযানের চাঁদ দেখে রোযা রাখতেন। (আবু দাউদ)
অপর হাদিসে এসেছে, হজরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘(রমজান মাসের) চাঁদ না দেখা পর্যন্ত তোমরা রোজা রেখো না। আর (শাওয়াল মাসের) চাঁদ না দেখা পর্যন্ত তোমরা ইফতার (রোজা শেষ) করো না। আকাশ মেঘলা থাকার দরুন যদি চাঁদ তোমাদের থেকে গোপন থাকে তবে (শাবান) মাসের দিনগুলো পূর্ণ করবে।’ অপর বর্ণনায় রয়েছে, নবী করিম (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘মাস কখনও ২৯ রাতেও (দিনে) হয়। সুতরাং চাঁদ দেখা না পর্যন্ত রোজা রাখবে না। যদি মেঘলা আকাশ থাকার কারণে চাঁদ তোমাদের থেকে গোপন থাকে, তবে (শাবান মাস) ৩০ দিন পূর্ণ করবে।’ (বোখারি ও মুসলিম)। এ হাদিসের আলোকে বলা যেতে পারে, রোজা পালন এবং রোজা ভঙ্গ করার বিষয়টি সম্পূর্ণ চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল।
শাবান মাস সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সা.) সুস্পষ্ট ধারণা প্রদান করে গেছেন। এ মাস কখনও ২৯ আবার কখনও ৩০ দিনে হতে পারে। তবে রমজান ও জিলহজ মাস একই বছরে (উভয় মাস) ২৯ দিনে হবে না। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার সমবেত লোকরা চাঁদ দেখতে ও দেখাতে লাগল। তখন আমি গিয়ে রাসুলুল্লাহ (সা.) কে সংবাদ দিলাম যে, আমি চাঁদ দেখেছি। এতে রাসুল (সা.) রোজা রাখলেন এবং লোকদের রোজা রাখতে আদেশ করলেন।’ (আবু দাউদ ও দারেমি)।
আপনার মতামত লিখুন :