এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির, সুন্দরবন: সুন্দরবনে অভিযান চালিয়ে বনদস্যু কাজল বাহিনীর কবল থেকে ৭ জেলেকে উদ্ধার করেছে র্যাব-৮। সোমবার রাত পৌনে ১০টার দিকে শ্যামনগরের মালঞ্চ নদী সংলগ্ন এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।
র্যপিড এ্যাকশান ব্যাটালিয়ন র্যাব-৮ জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে সুন্দরবনে সক্রিয় গুটি কয়েক বাহিনী বেশ কিছু জেলেকে মুক্তিপনের দাবিতে অপহরণ করে বলে একাধিক সংবাদ মাধ্যমে প্রচার হয়। এ পরিস্থিতিতে চলমান মৎস্য আহরণ মৌসুমে জলদস্যু বনদস্যুদের অপতৎপরতা বন্ধে এবং অপহ্নত জেলেদের উদ্ধারে গত ১৪ মে সকাল থেকে র্যাব-৮, বরিশাল জোরালো ভাবে সম্ভাব্য স্থান সমূহে ধারাবাহিক বিশেষ অভিযান শুরু করে। নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা কালে আনুমানিক পৌনে ১০টা দিকে বনের তুষখালী নদী সংলগ্ন পীরখালী নামক স্থানে পৌছালে নদীর মাঝখানে একটি জলযানে কয়েকজন সন্দেহভাজন লোক দেখতে পাই। র্যাব সদস্যরা কৌশল অবলম্বন করে তাদের কাছাকাছি পৌছালে সন্দেহভাজন দস্যুরা র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের জিম্মায় থাকা অপহৃত ৭জন জেলেকে নদীতে ফেলে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে আভিযানিক দলের সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে ভাসমান অবস্থায় দস্যুদের অপহৃত ৭ জেলেকে উদ্ধার করে র্যাব হেফাজতে নেয়।
উদ্ধারকৃত জেলেরা হচ্ছে, মুন্সিগঞ্জের কুলতলী এলাকার মোঃ মনতেজ খানের ছেলে মোঃ আব্দুর রাশিদুল ইসলাম খাঁ (৩০), মনু মন্ডলের ছেলে বিষ্ণ মন্ডল (২২), মুন্সিগঞ্জ মত্থরাপুর জেলে পাড়ার মোঃ জেহের আলী গাজীর ছেলে মোঃ মাসুম বিল্লাহ গাজী (২৫), মুন্সিগঞ্জ সাধুপাড়ার ফনি মন্ডলের ছেলে রমেশ মন্ডল (২০), মৃত সুধীর সরকারের ছেলে জয়দেব কুমার সরকার (৩৫), ফকির মন্ডলের ছেলে পরিতোষ কুমার মন্ডল (৩৩), ও দেবেন সানার ছেলে বিশ্বনাথ সানা (২৭)। জেলে উদ্ধারের অভিযানকালে কোন প্রকার গুলি বিনিময় বা মুক্তিপন আদায়ের ঘটনা ঘটেনি বলেও জানায় র্যাব সদস্যরা।
অভিযান শেষে র্যাব হেফাজতে থাকা জেলেদের মাধ্যমে জানা যায়, জেলেরা বনদস্যু কাজল বাহিনীর একটি আস্তানায় তাদের আটক রেখেছিলো। র্যাব-৮ এর আভিযানিক দল উদ্ধার হওয়া জেলেদের স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান ও স্থানীয় বকুলসহ অন্যান্য স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের উপস্থিতিতে অপহৃত জেলেদের নিজ নিজ অভিভাবকদের নিকট হস্তান্তর করেন।
আপনার মতামত লিখুন :