বাংলাদেশের একটি প্রধান সামাজিক সমস্যা হচ্ছে মাদক। দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অবাধে ছড়িয়ে পড়ছে মাদকের বিস্তার। আর এটি অবশ্যই একটি জাতির জন্য হুমকিস্বরূপ। মাদক ক্যাম্পাসগুলোর শুধু ব্যক্তিসত্ত্বাকেই ধ্বংস করছে না বরং পড়াশোনার পরিবেশও নষ্ট করছে। একজন ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর বিভিন্ন কারণে মাদকের নেশায় জড়িয়ে পড়ছে। তার মধ্যে প্রধান কারণ হচ্ছে, মাদকের সহজলভ্যতা। আবার কেউ অতি উৎসাহী হয়ে সঙ্গদোষে প্রতিকূল পরিবেশের সাথে খাপ খাইতে না পেরে মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ছে। অনেকেই আবার বিভিন্ন হতাশায় পড়ে মাদক গ্রহণ করা শুরু করে।
সবচেয়ে বড় কথা হলো, ক্যাম্পাসগুলোতে মাদকের সহজলভ্যতা কীভাবে আসে এবং এই ক্ষেত্রে প্রশাসনের নিরব ভূমিকা সত্যিই দুশ্চিন্তার বিষয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে রাতের বেলায় যখন ছাত্র-ছাত্রীদের রাত জেগে পড়াশোনা করার কথা; তখন তারা মদ, গাঁজা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। হলগুলোতে মাদক সেবনের স্থান হিসেবে অনেকেই বেছে নেয়। আবার কখনো হলের ছাদ কিংবা নির্জন জায়গাগুলোতেই ঝাঁপটি মেরে বসে পড়ে এসব সেবনকারীরা। আবার নাকি অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে এইসবের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা ও আছে!
এমন কথাও শোনা যায়। মাদকের এই ভয়াবহ নেশা থেকে উত্তরণের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনার পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষা অর্জন এবং অসৎ সঙ্গ ত্যাগ করা প্রয়োজন। ক্যাম্পাসে মাদকের ভয়াবহ বিস্তার রোধে বিশ্ববিদ্যলয়ে প্রশাসনের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখনই মাদকের এই ভয়াবহ নেশা দূর করতে না পারলে জাতির শ্রেষ্ঠ মেধাবী সন্তানরা জাতিকে যতদূর না এগিয়ে নিয়ে যাবে, তার থেকে বেশী অধঃপতনে ঠেলে দিবে।
পরিচিতি : শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়/ মতামত গ্রহণ : তাওসিফ মাইমুন/ সম্পাদনা : জাফরুল আলম
আপনার মতামত লিখুন :