বিশ্বব্যাপী তাপসী হযরত রাবেয়া বসরী (রহ.) এর নামের সাথে সাথে তাঁর ওস্তাদ হযরত হাসান বসরী (রহ.) এর নামটাও চলে আসে। তিনি ছিলেন নবী পরিবারের লালিত-পালিত। তার লালন-পালন করার ক্ষেত্রে উম্মুল মুমিনীন হযরত উম্মে সালামা (রা.) এর অবদান সবচেয়ে বেশি। ১৪ বছর বয়সে তিনি হযরত আলি (রা.) এর হাতে বাইয়াত হন। এরপর তিনি বসরায় নগরীতে চলে আসেন। সেখানে তিনি কোরআন ও সুন্নার শিক্ষা সবাইকে দিতে থাকেন। তিনি ছিলেন সুবক্তা, তাঁর আলোচনার সময় হাজার হাজার লোকের সমাগম হতো।
যেহেতু নবী পরিবারে তিনি লালিত-পালিত হয়েছেন সে কারণে তাকেও নবী পরিবারের গোলাপ বলা হয়। তিনি বলতেন তাকওয়া ও পরহেযগারী দ্বীনের ভিত্তি। দুনিয়ার মোহ আল্লাহ ও রাসূল থেকে মানুষকে দূরে ঠেলে দেয়। তিনি তার শিষ্য। মা রাবেয়া বসরী (রহ.) কে সর্বোচ্চ ইলমে মারেফাতের শিক্ষা দিয়ে ছিলেন। তিনি সকাল সন্ধায় কিভাবে রাব্বুল আল আমিনের দরবারে সমর্পিত হতে হয় এই কৌশলটা তাঁর শিষ্যদের জানিয়ে দিতেন। ছোট একটি ঘটনা দ্বারা এই মহা পুরুষের বিনয় তুলে ধরা হলো। একদিন তিনি বসরার একটি মসজিদের ছাদে বসে ছিলেন, হঠাৎ করে তাঁর চোখ থেকে কয়েক ফোঁটা চোখের পানি এক পথিকের শরীরে পড়ে গেল।
পথিক জানতে চাইলেন এটা কি কোন নাপাক পানি? হাসান বসরী (রহ.) উপর থেকে উত্তর দিলেন, হ্যা এক গুনাগারের চোখের পানি তোমার শরীরে পড়ে গেছে। তুমি অপবিত্র হয়ে গেছো, গোসল করে পবিত্র হয়ে যাও। তাঁর নাম রেখেছেন আমিরুল মোমিনিন হযরত ওমর ফারুক (রহ.) তিনি হযরত হাসান বসরী (রহ.) কে নিজের সন্তানের মতো আদর করতেন। এই মহা পুরুষ যখনই কোন কবরস্থানে যেতেন তখনই ফরিয়াদ করতেন, হে রাব্বুল আল-আমিন এই কবরে আসার আগে তোমার খাঁটি গোলাম হিসেবে আমাকে তালিকাভুক্ত কর ও কবরের আযাব থেকে আমাকে রক্ষা করো। এই মহা পুরুষের প্রতি আমাদের লাখো সালাম।
লেখক : কলামিস্ট/ সম্পাদনা : জাফরুল আলম
আপনার মতামত লিখুন :