শিরোনাম
◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ জাতিসংঘে সদস্যপদ প্রস্তাবে মার্কিন ভেটোর নিন্দা ফিলিস্তিনের, লজ্জাজনক বলল তুরস্ক ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক

প্রকাশিত : ১৬ মে, ২০১৮, ০৯:২৯ সকাল
আপডেট : ১৬ মে, ২০১৮, ০৯:২৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

খালেদার জামিন বিষয়ে রায় আজ

ডেস্ক রিপোর্ট : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া জামিনাদেশের বিরুদ্ধে করা আপিলের ওপর রায় ঘোষণা করা হবে আজ বুধবার। রায় ঘোষণার জন্য মামলাটি আপিল বিভাগের আজকের কার্যতালিকার এক নাম্বারে আছে।

এরআগে মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ রায় ঘোষণার জন্য বুধবার দিন ধার্য করেন।

তবে এই রায় ঘোষণার জন্য গতকাল মঙ্গলবারই দিন ধার্য ছিল। কিন্তু রায়ের জন্য ধার্য তারিখে অ্যাটর্নি জেনারেলের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল আরো শুনানি নিয়ে রায় ঘোষণার জন্য নতুন দিন বুধবার ধার্য করেন আদালত।

গতকাল সকাল ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে খালেদা জিয়ার জামিনের বিরোধীতা করে আরো কিছু মামলার উদাহরণ (রেফারেন্স) আদালতে উপস্থাপনের জন্য একদিন সময় চেয়ে আবেদন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত বলেন, আগামীকাল একজন ব্রাদার জাজ (বেঞ্চের চার বিচারকের একজন) থাকবেন না।

এরপর প্রধান বিচারপতি অন্য বিচারকদের সঙ্গে আলাপ করে অ্যাটর্নি জেনারেলকে বলেন, বই - পুস্তক নিয়ে সাড়ে এগারটায় আসেন। অ্যাটর্নি জেনারেল ১২টায় রাখার আবেদন করলে আদালত সময় বাড়িয়ে তাকে দুপুর ১২টায় শুনানি করতে আসতে বলেন।

গতকাল শুনানিতে জামিনের বিরোধীতা করে অন্য মামলার উদাহরণ (রেফারেন্স) দেন অ্যাটর্নি জেনারেল। যাতে তিনি আদালতকে দেখান যে, হাইকোর্ট জামিন দিলেও আপিল বিভাগ তা বাতিল করেছিল। তাই খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া জামিনও বাতিল করা হোক।

অ্যাটর্নি জেনারেলের বক্তব্যের বিরোধিতা করে খালেদা জিয়ার পক্ষে বক্তব্য দেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। তিনি বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেলের দেয়া রেফারেন্স সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলের। অন্য সময়ে হাইকোর্ট লঘুদণ্ডের (শর্ট সেন্টেন্স) ক্ষেত্রে জামিন দেয়ার পর এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগ হস্তক্ষেপ করার উদাহরণ অ্যাটর্নি জেনারেল ও দুদক দিতে পারবে না। তাই খালেদা জিয়ার জামিন বহাল রাখা হোক।

দুইপক্ষের বক্তব্য শুনে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা আপিলের ওপর রায় ঘোষণার জন্য বুধবার দিন ধার্য করে দেশের সর্বোচ্চ আদালত।

এই মামলায় আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন, মওদুদ আহমেদ ও খন্দকার মাহবুব হোসেন।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, আর দুদকের পক্ষে শুনানি করেন খুরশিদ আলম খান।

গত ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেন আপিল বিভাগ। দুই সপ্তাহের মধ্যে সরকার, দুদক ও আসামিপক্ষকে আপিলের সারসংক্ষেপ দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। খালেদা জিয়ার জামিনের বিরুদ্ধে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিল গ্রহণ করে এ আদেশ দেওয়া হয়। গত ১৫ মার্চ খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে লিভ টু আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুর্নীতি দমন কমিশন।

এর আগে গত ১৪ মার্চ খালেদা জিয়ার হাইকোর্টের দেওয়া চার মাসের জামিন স্থগিত করতে লিভ টু আপিল দায়েরের জন্য দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষকে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চার মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার জামিন মঞ্জুর করে ওই আদেশ দেন।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় কারাগারে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানি শেষ হয়। গত ২২ ফেব্রুয়ারি একই বেঞ্চ খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। এছাড়া এই মামলায় নিম্ন আদালতের দেওয়া অর্থদণ্ড স্থগিত করা হয়। পাশাপশি নিম্ন আদালতের নথি ১৫ দিনের মধ্যে উচ্চ আদালতে পাঠাতে বিচারিক আদালতকে (ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-৫) নির্দেশ দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন নিম্ন আদালত। এ মামলার অপর আসামি খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বাকি পাঁচজনকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের মোট ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা জরিমানাও করা হয়। সূত্র : প্রিয়.কম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়