শিরোনাম
◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে

প্রকাশিত : ১৬ মে, ২০১৮, ০৯:২৬ সকাল
আপডেট : ১৬ মে, ২০১৮, ০৯:২৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রতিদ্বন্দ্বীদের ধরাশায়ী করতে ফেসবুক লড়াইয়ে ছাত্রলীগ নেতারা

ডেস্ক রিপোর্ট : ছাত্রলীগের জাতীয় সম্মেলন শেষ হয়েছে। কিন্তু, এখনো চলছে টানটান উত্তেজনা। কমিটি হচ্ছে, হবে করে যত সময় গড়াচ্ছে, উত্তেজনার পারদ চড়ছে। বাড়ছে পক্ষ-বিপক্ষের নোংরামিও। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের আলোচিত প্রার্থীদের চরিত্র হননেও পিছপা হচ্ছে না একই মিছিলের সাথীরা। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রবেশ করতেই চোখে পড়ে ছাত্রলীগের আলোচনা-সমালোচনা।

প্রার্থীদের নাম-পরিচয় থেকে শুরু করে পারিবারিক পরিচয়, রাজনৈতিক জীবন ও ব্যক্তিগত জীবনের কিছু থাকছে না একান্ত, সবই এখন ঘুরছে ফেসবুকে।

সম্মেলনে প্রার্থী হওয়ার পর থেকে অনেকের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ফেসবুকে এই নোংরা লড়াই শুরু হয়। সর্বশেষ ১১-১২ মে সম্মেলন শেষে শীর্ষ প্রার্থীদের নিয়ে চলছে আলোচনা।

এসব প্রার্থীদের একাডেমিক অবস্থা, রাজনৈতিক পরিচয়, গঠনতন্ত্রের সমর্থন করে না এমন যোগ্যতা শুধু নয়, আগের দু’তিন পুরুষের জীবনও উঠে এসেছে নোংরামিতে। এগুলো নিয়ে অনলাইন পোর্টালে নিউজ হচ্ছে, যা শেয়ার করছেন ছাত্রলীগেরই নেতাকর্মীরা।

কেউ কেউ আবার ফেসবুকের নেতিবাচক প্রচার বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েও স্ট্যাটাস দিচ্ছেন। সব মিলিয়ে ভার্চ্যুয়াল মিডিয়ার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এখন ছাত্রলীগের কমিটি।

ফেসবুকে দেয়া স্ট্যাটাসগুলোর দেয়া তথ্য থেকে অছাত্র, মাদকাসক্ত, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, ব্যবসায়ী, বিবাহিত, নারী কেলেঙ্কারি, পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ডে ভিন্ন আদর্শসহ নানা অভিযোগ উঠে এসেছে।

প্রিন্সের বিরুদ্ধে এন্তার অভিযোগ

জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নতুন কমিটির সভাপতি/সম্পাদক প্রার্থী। তাকে নিয়ে একাধিক অনলাইন পোর্টালে করা নিউজ বিভিন্নজন শেয়ার দিচ্ছেন।

এতে বলা হয়, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স ২০০৮ সাল পর্যন্ত ছাত্রদলের মিছিলে অংশ নেন। ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শেখ আবদুল আলিম খোকন তার আপন ভগ্নিপতি।

এ ছাড়া মোতাহার হোসেনের নামে ঢাবির রেজিস্ট্রার ভবনে টেন্ডারবাজি ও ক্যাম্পাসের অস্থায়ী দোকানগুলোতে চাঁদাবাজির অভিযোগ আছে। ইতোমধ্যে রেজিস্ট্রার ভবন থেকে কয়েক কোটি টাকা চাঁদা নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

এ ছাড়া ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর কয়েকটি ফ্ল্যাটের মালিক বনে যাওয়ার কাহিনী ক্যাম্পাসে সবার মুখে মুখে ঘুরছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান (ক্রিমিনোলজি) বিভাগের সেমিস্টার পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় বিভাগীয় চেয়ারম্যান, নীল দলের শিক্ষক ও জিয়া হলের প্রভোস্ট ড. জিয়া রহমানকে নানাভাবে হয়রানি করেন প্রিন্স।

তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সান্ধ্যকালীন একটি কোর্সে ভর্তি হওয়া সত্ত্বেও সান্ধ্যকালীন শিক্ষাব্যবস্থা পদ্ধতি বন্ধ করে দেয়ার কথা বলে নিজেকে ক্লিন রাখার চেষ্টা করেছেন। সাউথ বাংলা ব্যাংকসহ আরও বেশ কয়েকটি ব্যাংকে তার বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থের লেনদেন এবং এফডিআর রয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

গার্মেন্টস ব্যবসায়ী বায়েজিদও হতে চান সভাপতি!

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বায়েজিদ আহমেদ খান ছাত্রলীগের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী। তাকে নিয়েও চলছে অনলাইনে চুলচেরা বিশ্লেষণ।

ইতোমধ্যে প্রকাশ হয়েছে, মিরপুরের নীরা গার্মেন্টসের মালিক বায়েজিদ। একজন গার্মেন্টস ব্যবসায়ীর হাতে ছাত্রলীগ নিরাপদ কিনা এমন প্রশ্নও করছেন দলের নেতাকর্মীরা।

বায়েজিদের বিরুদ্ধে বিদ্যুৎভবন, শিক্ষাভবন, সড়কভবন, খাদ্যভবন ও পূর্তভবনসহ নানা ভবনে তার মালিকানাধীন ‘বিএকে কনস্ট্রাকশন’র মাধ্যমে ঠিকাদারি হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। ঢাকা দক্ষিণের সব টেন্ডারে তার একক আধিপত্য। তার ঠিকাদারির বিভিন্ন ফাইল অনলাইন দুনিয়ায় একাকার।

এই ঠিকাদারি নিয়ে ২০১৭ সালে শিক্ষাভবন এলাকায় সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘর্ষে বায়েজিদ সশস্ত্র ছিলেন। এসব নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রতিবেদনও হয়েছে সে সময়।

ঢাকা দক্ষিণজুড়ে বায়েজিদের চাঁদাবাজির স্বর্গরাজ্য। তিনি বিবাহিত বলেও তথ্য আছে। বিবাহিত জীবন যাপন করলেও সম্প্রতি তার সঙ্গে উঠতি মডেলের ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। ওই মডেলের সঙ্গে তার বিয়েরও গুঞ্জন শোনা গেছে, যা একটি নিউজ পোর্টালে খবর হলে তিনি ফেসবুকে প্রতিবাদ জানান।

এ ছাড়া তার আদর্শ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। প্রতিপক্ষের দাবি, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া এলাকার মাদ্রাসায় পড়ার সময় শিবির করা বায়েজিদ ঢাকা এসে বনে যান ছাত্রলীগ। তৎকালীন ঢাকা দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক আনিসুজ্জামান রানার হাত ধরে ছাত্রলীগে তার অভিষেক হয়। প্রথমে হয়ে যান নগরের সাংগঠনিক সম্পাদক। এরপর নানাজনকে ধরে সভাপতিও হন।

এরপর আর বায়েজিদকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। সভাপতি হয়েই আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে যান তিনি। কয়েকটি ব্যাংকে তার অর্থ থাকার পাশাপাশি রাজধানীর বাড্ডায় ১১ একর জায়গা, নারায়ণগঞ্জের ভুলতায় ও পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় নামে-বেনামে জায়গা আছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

বিভিন্ন সূত্র দাবি করেছে, বায়েজিদের দুটি গাড়ি- একটি হায়েস ও একটি বিএমডব্লিউ রয়েছে। তোপখানা রোডে নিজস্ব অফিস। ইউসিবি ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংকে তার কোটি কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পরিবর্তনের হাতে এসেছে।

কোটা সংস্কারে থেকেও নেতা হতে চান ইমরান!

গত সম্মেলনে ছাত্রলীগের আপ্যায়ন বিষয়ক উপ-সম্পাদক হন আরিফুজ্জামান আল ইমরান। এই যে কেন্দ্রীয় নেতা বনে গেলেন, তারপর থেকে কর্মীরা তার টিকিটি পর্যন্ত ছুঁতে পারতেন না। এবারের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণার আগ পর্যন্ত রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় ছিলেন। এ ছাড়া কোটা সংস্কার আন্দোলনের মুখপাত্র নুরুল হক নুরের সঙ্গে তার ঘনিষ্ট ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা গেছে। নিজে কোটা সংস্কার আন্দোলনের রসদ জুগিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

এ ছাড়া ঢাবির মহসিন হলে ইয়াবাহ ব্যবসার সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রক ইমরান। ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান নাদিম, ইমরানের আপন বড় ভাই। নাদিম ও ইমরানের প্রভাব খাটিয়ে তার আপন ফুফাতো ভাই রায়হান পাথরঘাটা উপজেলায় মাদক ব্যবসা ও ধর্ষণসহ নানাবিধ অপকর্মে লিপ্ত। তার বিরুদ্ধে প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়েছে সংবাদপত্রে। বর্তমানে রায়হান এক তরুণীকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় তিন দফা রিমান্ড শেষে কারাগারে আছেন।

ইমরানের বাবা বরগুনা-২ আসনরে বিএনপির সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম মনির ঘনিষ্ট সহচর। মনি ২০০১ পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নামে জাতীয় সংসদে নিন্দা প্রস্তাব আনেন।

এ ছাড়া শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক গোলাম রাব্বানী, ত্রাণ ও দুর্যোগ সম্পাদক ইয়াজ আল রিয়াদ, আইন সম্পাদক আল নাহিয়ান খানের বিরুদ্ধেও রয়েছে অভিযোগের পাহাড়।
শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক গোলাম রাব্বানী ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে বিতর্কিত মেয়র প্রার্থী আদম তমিজি হকের গণসংযোগ কর্মকর্তা। তার হাতিরপুলে সেলুন ও বিল বোর্ডের ব্যবসা আছে। তিনি ফেনসিডিল ও ইয়াবায় আসক্ত এবং বর্তমানে ক্যাম্পাসে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলনে উস্কানি দেয়ার অভিযোগ আছে।

ফেসবুক ও সোসাল মিডিয়ায় ছাত্রলীগের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণায় সর্বদা তৎপর গোলাম রব্বানী। ছাত্রলীগে তিনি ফেসবুক নেতা বা ফেসবুক সেলিব্রিটি হিসেবে পরিচিত। তার বাবার বিরুদ্ধে জামায়াতের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে তিনি সব জায়গায় তার বাবার নাম এড়িয়ে নানার নাম ব্যবহার করে থাকেন। তার বাবা দুর্নীতির দায়ে বর্তমান সরকারের আমলে চাকরিচ্যুত হন।

ত্রাণ ও দুর্যোগ সম্পাদক ইয়াজ আল রিয়াদ ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার হাজারিগঞ্জ হামিদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্র ছিলেন। রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় থাকলেও কেন্দ্রীয় নেতা হওয়ার পর থেকে নগরভবন ও বিদ্যুৎ ভবনে ঠিকাদারি ব্যবসায় নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন। ঢাকা শহরের নীলক্ষেত এবং চাঁনখারপুল এলাকা তার চাঁদাবাজির এরিয়া বলে কথিত আছে।

অভিযোগ রয়েছে রিয়াদ কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের ইন্ধন জুগিয়েছেন। সংঘর্ষের সময় ছাত্রলীগের নেতারা নির্ঘুম মাঠে থাকলেও তিনি গা-ঢাকা দিয়েছিলেন। বর্তমানে তার ছাত্রত্ব নেই। বিভিন্ন সময় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বর্তমানে তিনি বিবাহিত বলেও গুঞ্জন রয়েছে।

আইন সম্পাদক আল নাহিয়ান খান জয়ের পরিবারের বেশিরভাগ সদস্য বিএনপি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিনি ২০১০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর আপন ফুফাতো ভাই কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আদনান আলম বাবু ওরফে সরপো বাবুর হাত ধরে ছাত্রদলের রাজনীতিতে জড়ান।

নাহিয়ানের বাবা আবদুল আলিম খান ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সংসদ নির্বাচনে বাবুগঞ্জ থেকে বিএনপির ডামি প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন এবং এখন পর্যন্ত তিনি স্থানীয় বিএনপির রাজনীতিতে অর্থের যোগানদাতা।

নাহিয়ানের চাচাতো ভাই কামরুল হাসান হিমু বাবুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এবং তিনি গত উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ছিলেন। নাহিয়ানের ভাগ্নে রুশো স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের বর্তমান যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। নাহিয়ানও নগরভবন, বিদ্যুৎভবন ও পিডব্লিউডিতে নিয়মিত ঠিকাদারি করেন।

এ ছাড়া সহ-সভাপতি আরেফিন সিদ্দিক সুজন ও সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকুল পাঠান সেতুর বিরুদ্ধেও নানা অভিযোগ এসেছে অনলাইনে। এসব তথ্যের সত্যতা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে কাগজপত্র পাওয়া যাচ্ছে অনলাইনে।

অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে পরিবর্তন ডটকমকে তারা নিজেদের বিরুদ্ধে আসা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন।

তাদের দাবি, সম্মেলন উপলক্ষে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা থাকায় একটি কুচক্রী মহল ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে এসব অপপ্রচার করছেন।

ফেসবুকে এসব নোংরা প্রচার নিয়ে ছাত্রলীগের একাধিক নেতা ফেসবুকে লিখেছেন, ছাত্রলীগের মতো একটা অর্গানাইজড ও ঐতিহ্যবাহী সংগঠনকে পাড়ার সংগঠন বানিয়ে ফেলা হয়েছে। আদর্শের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে ব্যক্তি স্বার্থকে।

তাদের ভাষ্যে, কোন চক্রবদ্ধ গোষ্ঠী এটা করেছে বা কাদের কারণে ছাত্রলীগ এই পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে, তা জাতি জানে। আজ যখন নেত্রী নিজেই ছাত্রলীগকে আদর্শিক ধারায় আনার জন্য দায়িত্ব নিয়েছেন, তখন এরা আবার সক্রিয়। মাঠে কোনো প্রার্থীর নাম শোনা গেলেই তার বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ হয়ে নেমে যান।

তবে ছাত্রলীগের অভিভাবক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবচেয়ে যোগ্য, আদর্শিক এবং ভালো ছেলেদের বেছে নিয়েই তার প্রিয় সংগঠনের দায়িত্ব দিবেন বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন নেতারা। সূত্র : প্রিয়.কম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়