শিরোনাম
◈ দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েল ফসফসরাস বোমা হামলা ◈ ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতদের ৬ জন একই পরিবারের ◈ গাজীপুরের টঙ্গি বাজারে আলুর গুদামে আগুন ◈ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনোয়ারুল হক মারা গেছেন ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শনিবার ঢাকা আসছেন ◈ দুই এক পশলা বৃষ্টি হলেও তাপদাহ আরো তীব্র হতে পারে  ◈ এথেন্স সম্মেলন: দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনায় সম্মিলিত প্রয়াসের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ◈ কেএনএফ চাইলে আবারও আলোচনায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে: র‌্যাবের ডিজি ◈ ওবায়দুল কাদেরের হৃদয় দুর্বল, তাই বেশি অবান্তর কথা বলেন: রিজভী ◈ মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৬ মে, ২০১৮, ০৮:৩৭ সকাল
আপডেট : ১৬ মে, ২০১৮, ০৮:৩৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ইভিএমে ‘আনন্দের’ ভোট

নিজস্ব প্রতিবেদক: খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট দেওয়ার অভিজ্ঞতায় দারুণ খুশি ভোটাররা; ঝামেলা ছাড়া সহজে ভোট নিতে পেরে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন নির্বাচনী কর্মকর্তারাও।

চার লাখ ৯৩ হাজার ৯৩ জন ভোটারের শহর খুলনায় এবার ভোট হচ্ছে ২৮৯ কেন্দ্রে। সকাল ৮টায় শুরু হওয়া এই ভোট একটানা চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

নির্বাচন কমিশন তাদের নতুন ইভিএমে ভোট নিচ্ছে সোনাপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পিটিআইয়ের জসিম উদ্দিন হোস্টেলের অস্থায়ী কেন্দ্রে। এর মধ্যে প্রথম কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ৯৯ জন, আর দ্বিতীয় কেন্দ্রে ১ হাজার ৮৭৯ জন।

জসিম উদ্দিন হোস্টেলের অস্থায়ী কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর বেরিয়ে এসে হাফিজ মীর নামের এক ভোটার বললেন, “বোতামে চাপ দিয়েই ভোট দেওয়া যায়, এটা খুব আনন্দের। খুব ভালো লেগেছে, কোনো সমস্যা হয়নি।”

৫৭ বছর বয়সী কাজী তাহমিনা বেগম আগে অনেকবার সিল মেরে ভোট দিয়েছেন। এবার ইভিএমে ভোট দিয়ে পুরো প্রক্রিয়াটি তার অনেক বেশি সহজ মনে হয়েছে।

সোনাপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর তিনি বলেন, আগে ভোটার নম্বর খুঁজে পেতে সমস্যা হত। এবার আঙুলের ছাপ দিয়ে পরিচয় বেরিয়ে এসেছে সহজেই।

“এরপর গোপন বুথে গিয়ে বোতাম চেপে ভোট দিলাম। কালো বোতাম চাপলে প্রার্থীর তালিকা চলে আসে। সবুজ বোতাম চেপে ভোট দিলাম। কত সহজ!”

জীবনে প্রথমবার ভোট দিতে এসে সেটা ইভিএমেই দিয়েছেন সোনাপোতা এলাকার গৃহিনী মরিয়ম মহুয়া। নির্বাচন কমিশনের মহড়ায় আগের দিনই এ যন্ত্রে ভোট দেওয়ার নিয়ম শিখেছিলেন তিনি।

মহুয়া বলেন, “যাওয়ার পর আঙুলের ছাপ নিল, তারপর আমার সবকিছু চলে আসল। পরে বুথে গিয়ে ভোট দিলাম। কোনো সমস্যা হয়নি। ব্যবস্থাটা মোটামুটি খারাপ না, অনেক ভালো।

ইভিএমে ভোট নেওয়ায় ঝামেলা অনেক কম বলে স্বস্তি প্রকাশ করলেন সোনাপাতা প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মামুনুর রশিদ।

তিনি বলেন, সকালে ভোটারের উপস্থিতি কম ছিল। তবে পরে বেড়েছে। ভোটারদের বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি। কাউকে ভোট না দিয়ে ফেরত যেতে হয়নি।

অবশ্য বয়স্ক এবং প্রযুক্তিতে একেবারে অনভিজ্ঞদের ক্ষেত্রে সময় একটু বেশি লাগছে বলে জানান প্রিজাইডিং অফিসার।

ইসির একটি টেকনিক্যাল টিম ইভিএমে ভোট নিতে সহযোগিতা দিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, পুরো কেন্দ্র সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় রাখা হয়েছে। ভোটারদেরকে স্ক্রিনে ভোটের নির্দেশনাও দেখানো হচ্ছে।

প্রিজাইডিং অফিসার জানান, আঙুলের ছাপ নেওয়ার পর স্ক্রিনে ভোটারের ছবি ভেসে ওঠে বলে পোলিং এজেন্টরাও সন্তুষ্ট। কারও পরিচয় নিয়ে কারও সংশয় থাকছে না।

সোনাপোতা কেন্দ্রের মহুয়ার মতো রোহেল খানও এবারই প্রথম ভোট দিয়েছেন এবং সেটা ইভিএমে।

জসিম উদ্দিন হোস্টেলের অস্থায়ী কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর তিনি বলেন, কীভাবে ভোট দিতে হবে, মেশিনেই বলে দেওয়া হচ্ছে। সুন্দরভাবে ভোট দিয়েছি, কোনো সমস্যা হয়নি।

এই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মামুন সরকার বলেন, কোনো সমস্যা নাই, সবকিছু স্মুথলি চলছে। ভোটাররাও স্বচ্ছন্দে ভোট প্রদান করছেন।সূত্র: বিডি নিউজ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়