তরিকুল ইসলাম : রেহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ-মিয়ানমার পারিদর্শন শেষে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে মূখ খুললো জাতিসংঘে নিযুক্ত বৃটিশ রাষ্ট্রদূত ক্যারেন পিয়ার্স। নিরাপত্তা পরিষদের শুণানিতে তিনি মিয়ানমার সরকারকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেওয়াসহ দেশটিতে জাতিসংঘর সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করার আহবান জানিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে সংস্থাটিতে নিযুক্ত ঢাকার একটি কূটনৈতিক সূত্র।
নিরাপত্তা পরিষদে জাতিসংঘে নিযুক্ত বৃটিশ রাষ্ট্রদূত ক্যারেন পিয়ার্স বলেছেন, সম্প্রতি নিরাপত্তা পরিষদ সদস্যরা বাংলাদেশ-মিয়ানমার সফর করে এসেছেন। যেখানে আমি নিজেও গিয়েছিলাম। মিয়ানমারে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা যেসব রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেছেন তাদের জীবন এখন হুমকিতে রয়েছে। মিয়ানমারের পক্ষ থেকে তাদেরকে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এটা সত্যিই উদ্বেগ জনক। আমি আশা করি এ বিষয়ে মিয়ানমার সরকার জরুরি ভিত্তিতে ব্যাখ্যা দেবে।
রাখাইনে যে পরিস্থিতি দেখেছি সেটা এর আগে কখনো দেখি নি। শরণার্থীরা সেখানে কি পরিমাণ প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়েছে, সরকার কি অবস্থায় ছিল, জাতিসংঘ সেখানে কি পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে তা দেখে আমি অত্যন্ত বিস্মিত। আকাশ থেকে আমরা ব্যাপক ধ্বংস দেখতে পেয়েছি। বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের যাওয়াটা এটাই বড় কারণ। সেখানের দৃশ্য সেটাই প্রমাণ করে। দেশটির সরকাররকে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সক্ষমতা বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে তাদেরকে সহায়তা করতে জাতিসংঘের সুযোগ করে দিতে হবে।
তিনি বলেন, এ ধরণের পরিস্থিতি সমাধানে এক্ষণি পদক্ষেপ গ্রহণ করাটা জরুরী। এ প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘকে জড়িত করা উচিত। কারণ বিশ্বে এটিই একটিমাত্র প্রতিষ্ঠান যাদের এত বড় ভয়াবহতায় সহায়তা দেয়ার সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবসনে স্থায়ী সমাধানে যেতে হবে মিয়ানমারকে। ইউইএইচআরডির উন্নয়ন পরিকল্পনা সম্পর্কে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা জানতে পেরেছেন। এ পরিকল্পনায় বেসরকারি পর্যায়ে অর্থায়ন করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে আমার ধারণা বেসরকারি অর্থায়নের ঝুঁকি রয়েছে। রোহিঙ্গাদের অংশগ্রহণ ছাড়া যাই করা হোক তাতে বাস্তুচ্যুত হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়। এটা কোনো সমাধান নয়।
আপনার মতামত লিখুন :