শিরোনাম
◈ সয়াবিন তেলের দাম লিটারে বাড়লো ১০ টাকা  ◈ নির্বাচনি ইশতেহারের আলোকে প্রণীত কর্মপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের আহবান শিল্পমন্ত্রীর  ◈ প্রচণ্ড গরম থেকেই ঘটতে পারে মানবদেহের নানা রকম স্বাস্থ্য ঝুঁকি ◈ অবশেষে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি  ◈ ইসরায়েল পাল্টা হামলা করলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে জবাব দেবে ইরান: উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ মিয়ানমারের আরও ১০ সেনা সদস্য বিজিবির আশ্রয়ে ◈ সয়াবিনের দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত বিএনপির ◈ কেউ যেন নিরাপত্তাহীনতায় না থাকি, আইনের শাসনে জীবনযাপন করি: ড. ইউনূস ◈ মা, স্ত্রী ও দুই ছেলে নিয়ে ঢাকা ফিরছিলেন রফিক, পথে প্রাণ গেল সবার

প্রকাশিত : ১৫ মে, ২০১৮, ০৬:৫৩ সকাল
আপডেট : ১৫ মে, ২০১৮, ০৬:৫৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বগুড়ার বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা আইসিটি বিষয়ে সুফল পাচ্ছে না

আবু সাঈদ ফাহিম: বিশ্ব চ্যালেঞ্জ ও প্রযুক্তিগত জ্ঞান বৃদ্ধির লক্ষে বর্তমানে বাংলাদেশে ৬ষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণীতে ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি’ বিষয়টি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে জেলায় জেলায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ল্যাব চালু করা হলেও বগুড়ার বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এর সুফল পাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা। শিক্ষকদের অদক্ষতা, ক্লাস না হওয়া, ল্যাবের জন্য অবকাঠামো না থাকা এবং ব্যবহারিক নম্বর স্কুল শিক্ষকদের হাতে থাকাই এর প্রধান কারণ হিসেবে দেখছেন শিক্ষা কর্মকর্তা।

বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার গমির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবটি বন্ধ রয়েছে কয়েক মাস ধরে। ঘরে মাকড়োসার জাল, ডেস্কে ধুলোর আস্তর পড়ে গেছে। ল্যাবে ল্যাপটপ নেই একটিও। অফিসে ট্রাংকের মধ্যে রাখা হয়েছে ১৩টি ল্যাপটপ বাকি চারটির সদুত্তর নেই শিক্ষকের কাছে।

সারিয়াকান্দি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে তিন ধরনেরই ল্যাব আছে। কিন্ত ক্লাসরুমে গিয়ে জানা গেলো ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির নব্বইভাগ ছাত্রীর ল্যাবে যাবার সুযোগ হয়নি। একইভাবে গাবতলী উপজেলার কদমতলী এবং বগুড়া সদরের ফাঁপোর উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেলো শিক্ষার্থীদের আইসিটি শিক্ষার চরম দুরবস্থার চেহারা।

এক শিক্ষার্থী বলেন, 'একদিন শিখিয়েছে। পরে আবার শেখাবে বলেছে।'

আরেক শিক্ষার্থী বললো, আমি ক্লাস সেভেনে পড়ি। আমাদের কম্পিউটার ক্লাস এখনও শুরু হয়নি। কবে শুরু হবে সেটাও আমরা জানি না।'

শিক্ষার্থীরা সঠিকভাবে আইসিটি শিক্ষা না পাওয়ার কারণ হিসেবে শিক্ষকরা দুষলেন বিদ্যালয় বন্ধ থাকা, শিক্ষার্থী সংখ্যা বেশি হওয়া এবং শিক্ষকদের উন্নত প্রশিক্ষণের অভাবকে।

এক শিক্ষক বলেন, 'এইচএসসি পরীক্ষার কারণে ১৫ দিন বন্ধ আছে। তাছাড়া মাঝে মাঝে আমাদের এখানে ক্লাস হয়।

আরেক শিক্ষক বলেন, 'অনেক ছাত্র কিন্তু সময় অনেক কম পাই। যেটুকু পাওয়ার কথা সেটুকু হয়তো তারা শিখতে পারছে না।'

ব্যাবহারিক পরীক্ষার নম্বর স্কুল শিক্ষকদের হাতে থাকায় এবং সহজে পুরো নম্বর অর্জন করতে পারায় আইসিটির প্রতি মনোযোগী হচ্ছে না শিক্ষার্থীরা।

বগুড়া জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গোপাল চন্দ্র সরকার বলেন, 'যদি শিক্ষকদের যথাযথ প্রশিক্ষণ, অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং পাবলিক পরীক্ষায় নম্বর প্রদানে যদি কড়াকড়ি অর্পণ করা হয় তাহলে এই সুফলটি আমরা অর্জন করতে পারবো বলে আমি মনে করি।'

বগুড়ায় ৬৫টি বিদ্যালয়ে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব, ৫৮টি বিদ্যালয়ে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল এবং ১৩টি বিদ্যালয়ে আইসিটি লার্নিং সেন্টারের মাধ্যমে কম্পিউটার ল্যাব তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি ল্যাবের জন্য উন্নতমানের  ১৭ থেকে ২১টি  ল্যাপটপ ও ডেস্কটপ দেয়া হয়েছে। এর সাথে প্রজেক্টর, প্রিন্টার্স স্ক্যানার , সাউন্ড সিস্টেমসহ আনুষঙ্গিক উপকরণও রয়েছে।  সূত্র: সময় টিভি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়