শিরোনাম
◈ যুক্তরাষ্ট্র সরে এলে বিশ্বরাজনীতিতে নেতৃত্ব দেবে কে: বাইডেন ◈ মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠালো বিজিবি ◈ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৬৪ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ◈ বর্ধিত ভাড়ায় ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু ◈ বাড়ছে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি ◈ মা হিসেবে পূর্ণ অভিভাবকত্ব পেয়ে দেশের ইতিহাসে নাম লেখালেন অভিনেত্রী বাঁধন ◈ আরও তিন মামলায় জামিন পেলেন মামুনুল হক ◈ সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯ ◈ তাপপ্রবাহে উচ্চ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শিশুরা,  বাড়তি সতর্কতার পরামর্শ ইউনিসেফের ◈ মন্ত্রী ও এমপিদের নিকটাত্মীয়রা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ওবায়দুল কাদের 

প্রকাশিত : ১৫ মে, ২০১৮, ০৫:৪৬ সকাল
আপডেট : ১৫ মে, ২০১৮, ০৫:৪৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিএনপির আন্দোলনের মুরদ নেই, তাই অহিংস বুলি আওড়াচ্ছে : অপু উকিল

বিএনপির আন্দোলনের মুরোদ নেই তাই ঘরে বসে অহিংস আন্দোলনের বুলি আওড়াচ্ছে। বিএনপির অহিংস আন্দোলন এখন কক্ষ বন্দি। এই দলটির আসলে অহিংস শব্দের অর্থ এবং ইতিহাস কিছুই জানা নেই।
সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটেছিল বিএনপির আমলে। বিএনপি-জামায়াত সরকারে থাকাকালীন সময়ে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় এবং বিএনপির মদদে বাংলাদেশে ভয়াবহ আকারে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটে। এই বিএনপি-জামায়াতের শ্বাসনামলে বাংলাদেশের সবগুলো জেলায় একযোগে বোমা ফুটিয়ে দেশব্যাপি আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়েছিল। দেশের মানুষ সেই ভয়াবহতার কথা ভুলে যায়নি। জঙ্গি নেতা বাংলা ভাই, শায়খ আব্দুর রহমান আর মুফতি হান্নানদের সৃষ্টিকারী কে? এই বিএনপি। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর ২০০৪ সালে ২১ আগষ্ট গ্রেনেট হামলা করেছিল এই বিএনপির। শুধু তাই নয় বঙ্গবন্ধু কন্যাকে বার বার হত্যার চেষ্টা করেছে বিএনপি নামক এই সন্ত্রাসী সংগঠক।

কিন্তু ওপর অলার দয়া ও নেতা-কর্মীদের আত্মত্যাগে তিনি এখনো বেচে আছেন। ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের পরে দেশব্যাপি পেট্রোল বোমা মেরে শিশুসহ শত শত মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে এই বিএনপি। বিএনপির সন্ত্রাসী সহিংস কা-ের উদাহরণ দিয়ে শেষ করা যাবে না। সেকারণেই কানাডার উচ্চ আদালত বিএনপিকে একটি সন্ত্রসী সংগঠন হিসাবে অভিহিত করেছেন। বিএনপি একটি বোমা পার্টি এদের মুখে অহিংস আন্দোলনের কথা মানায় না। কেননা সহিংসতা আর রক্তপাতের মধ্যেই বিএনপির জন্ম হয়েছে এবং সেই রক্তের খেলায় বিএনপি এখনো মেতে আছে। এরকম সন্ত্রাসী একটি দলের মুখে অহিংস আন্দোলনের কথা মটেই শোভা পায় না, জনগণের কাছে হাস্যকর লাগে। কেন না বাস্তবতা বলে, অহিংস আন্দোলন করতে গেলে জনগণের কাছে সেই আন্দোলনের গ্রহণযোগ্যতা থাকতে হয়। আন্দোলনের গ্রহণযোগ্যতা থাকলেই সেই আন্দোলনে জনগণ সম্পৃক্ত হয়। কিন্তু বিএনপি আন্দোলনে নেমেছে খালেদা জিয়ার মুক্তির সনদ নিয়ে। সেকারনে এই আন্দোলনে জনগণ মোটেই সাড়া দিচ্ছে না।

কেননা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার এতিমের টাকা মেরে খাওয়া মামলায় ৫ বছরের সাজা হয়েছে। আদলতে প্রমানিত হয়েছে খালেদা জিয়া রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদে থেকে আমানত খেয়ানত করেছেন। যাকে বলে বিস্বস্ততা ভঙ্গ জনিত অপরাধ। এই অপরাধ এমনই একটি অপরাধ, যে অপরাধে সর্বোচ্চ সাড়া ২০ বছর পর্যন্ত হতে পারে। কিন্তু বিজ্ঞ আদালত খালেদা জিয়ার বয়স এবং সামাজিক অবস্থান বিবেচনা করে তাকে ৫ বছরের সাজা দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করেছে। প্রায় দশ বছর ধরে এই মামলা চলেছে। বিএনপির আন্তর্জাতিক মানের বাঘা বাঘা আইনজীবী খলেদা জিয়ার পক্ষে লড়েও এই মামলার রায় খালেদা জিয়ার পক্ষে নিতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত খালেদা জিয়া দোষী প্রমাণিত হয়েছে।

তাহলে দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত একজন নেতার মুক্তির জন্য জনগণ কেনো রাস্তায় নামতে যাবে। এমনকি বিএনপির নেতা-কর্মীরাও এই মুক্তির মিছিলের সাথে নেই। খালেদার রায়ের আগে বিএনপি দেশ কাপানো হুংকার দিয়েছিল। কিন্তু বিএনপি রায়ের পরে রাস্তায় নেমে দেখে নিজ দলের নেতা-কর্মীরাই সাথে নেই। তাই আন্দোলনের সব পথ হারিয়ে ভীষণ বেকায়দায় পড়েই বিএনপি অহিংস আন্দোলনের বুলি আওড়াচ্ছে। কিন্তু অহিংস আন্দোলন করতে আন্দোলনের যে গ্রহণ যোগ্রত্য এবং নেতৃত্বের যে গুণাবলি থাকা প্রয়োজন তার কোনোটাই বিএনপির খালেদা মুক্তির আন্দোলনে নেই।
এই নেত্রী আরো বলেন, অহিংস আন্দোলন সম্পর্কে বিএনপির কোনো ধারণাই নেই। বিএনপি অহিংস শব্দের অর্থটাই জানে না এবং এই আন্দোলনের স্বরূপ কেমন হতে সেটাও তাদের জানা নেই। এই আন্দোলনের ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, এ অঞ্চলে অহিংস আন্দোলন চালু করেছিল ভারতের জাতীর পিতা মহাত্মা গান্ধী, সর্বোচ্চভাবে সফল হয়েছিল বাংলাদেশের জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান।

সাম্প্রতিকালে গণজাগরণ আর ভারতের আন্না হাজারে অহিংস আন্দোলন করে সফলতা অর্জন করেছে। একটু ঘেটে দেখলেই বুঝা যায় যে অহিংস আন্দোলনগুলো সফলতার মুখ দেখেছিল, সেই আন্দোলনের বিষয়বস্তু জনকল্যানমূলক ছিল তাই গণমানুষ রাস্তায় নামেছিল দাবি আদায়ে। তিন্তু বিএনপির এই তথাকথিত অহিংস আন্দোলনের কোনো যুক্তিকতা না থাকার কারণেই আন্দোলন কক্ষ বন্দি হয়ে আছে। পরিচিতি: সাধারণ সম্পাদক, যুব মহিলা লীগ/মতামত: লিয়ন মীর/সম্পাদনা: খন্দকার আলমগীর হোসাইন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়