শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ১৫ মে, ২০১৮, ০৩:২৮ রাত
আপডেট : ১৫ মে, ২০১৮, ০৩:২৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অনলাইনে রাজস্ব আদায়ের প্রস্তুতি নিতে আরো সময় লাগবে ব্যবসায়ীদের

ডেস্ক রির্পোট: আগামী অর্থবছরে অনলাইননির্ভরতায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির ছক কষেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মহিত। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, অনলাইনে রাজস্ব আদায়ের প্রস্তুতি নিতে আরো সময় লাগবে। চলতি অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা দুই লাখ ৪৮ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। তবে এনবিআরের সর্বশেষ হিসাবে গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১৭ হাজার ৫১২ কোটি টাকার ঘাটতি ছিল। এর পরও সামনের অর্থবছরের জন্য দুই লাখ ৯১ হাজার কোটি টাকা আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। এনবিআর তা কমানোর আবেদন করলেও অতীতের মতো এবারও অর্থমন্ত্রী তা আমলে আনেননি। তাই আবেদনটি নিয়ে শেখ হাসিনার কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এনবিআর কর্মকর্তারা।

জানা যায়, গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে গণভবনে যান তাঁরা। রাতে এ প্রতিবেদন লেখার সময়ও তাঁরা গণভবনে অবস্থান করছিলেন। এর আগে কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর কাছে কয়েকটি বিষয়ে তাঁরা গাইডলাইন চাইবেন।

সূত্র মতে, বৈঠকে এনবিআর কর্মকর্তারা বলবেন, করমুক্ত আয়সীমা বাড়ালে অনেক মানুষ করের বাইরে চলে যাবে। বরং ন্যূনতম করের পরিমাণ সমন্বয় করে রাজস্ব আদায় বাড়ানো উচিত। আগামী অর্থবছরে বহুল ব্যবহৃত খাত হিসেবে ফেসবুক, গুগল, উবার, পাঠাওয়ে রাজস্ব আরোপ করার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরা হবে। অনলাইনে বেচাকেনায় নজরদারি বাড়ানোর কথাও বলা হবে। বিদেশি চ্যানেল বাংলাদেশে সম্প্রচারে রাজস্ব আরোপের পক্ষের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনবিআর। এরই মধ্যে এনবিআর থেকে তথ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়ে ঠিক কত টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার সে সম্পর্কে প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে। এ বিষয়েও প্রধানমন্ত্রীর মতামত নেওয়া হবে।

অর্থমন্ত্রী বর্তমান ভ্যাট (ভেলু অ্যাডেড ট্যাক্স) বা মূসকের (মূল্য সংযোজন কর) বর্তমানের বহু স্তরের হারেও সন্তুষ্ট নন। তিনি ভ্যাট আইন ২০১২ বাস্তবায়নের চেষ্টা করেও ব্যবসায়ীদের আপত্তির মূখে সফল হননি। চলতি বাজেট চূড়ান্তকালে প্রধানমন্ত্রী দুই বছরের জন্য ভ্যাট আইন ২০১২ স্থগিত করেন। এমন পরিস্থিতিতে অর্থমন্ত্রী আগামী অর্থবছরে বর্তমান ভ্যাট আইনে থেকে ভ্যাট বিধিমালা সংশোধনের মাধ্যমে ভ্যাটের হার পরিবর্তনে আগ্রহী বলে এনবিআর কর্মকর্তাদের এরই মধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু এনবিআরের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ব্যবসায়ীদের মধ্যে কোনো ধরনের অসন্তোষ তৈরি করে রাজস্ব বাজেট প্রণয়নের বিপক্ষে মত দিয়ে আসছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে অর্থমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এ বিষয়ে মতামত চাইবেন বলে জানা যায়। অনলাইনে রাজস্ব পরিশোধের বিষয়ে এখনো ব্যবসায়ীদের স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া পাওয়া যায়নি বলেও তিনি জানাবেন। এ বিষয়েও কতটা ছাড় দেওয়া উচিত সে বিষয়ে পরামর্শ চাইবেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে।

গত ১১ ও ১২ মে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় এনবিআর মূল দপ্তরে অর্থমন্ত্রী এনবিআর বাজেট প্রস্তুত কমিটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে সুদীর্ঘ বৈঠক করেন এবং আগামী অর্থবছরের বাজেট নিয়ে এনবিআর কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন। তিনি বলেন, আগামীবারে অনলাইনে যেতে হবে। এতে ভ্যাট আদায় বাড়বে। আগামী অর্থবছরে চলতি বছরের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ৮৩ হাজার কোটি টাকার চেয়ে বাড়িয়ে এক লাখ ১০ হাজার কোটি টাকার ভ্যাট আদায় সম্ভব বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী।

জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর কাছে অর্থপাচার রোধে এনবিআরের নতুন কৌশলের কথাও জানানো হবে। এ ক্ষেত্রে আগামীবারে দেশের অর্থ দেশে রাখতে বিনিয়োগে উৎসাহী করতে রাজস্ব ছাড়ের পক্ষে এনবিআরের অবস্থান জানানো হবে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপনের জন্য এনবিআরের তৈরি প্রতিবেদনে উল্লেখ আছে, বিনিয়োগ বাড়াতে রাজস্ব ছাড় দেওয়া হলে রাজস্ব আদায় কমবে না বরং বাড়বে। আগামীবারে জরিমানা দিয়ে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়ার পক্ষেই আছে এনবিআর। সূত্র: কালের কণ্ঠ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়