শিরোনাম
◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত

প্রকাশিত : ১৫ মে, ২০১৮, ০৩:৪০ রাত
আপডেট : ১৫ মে, ২০১৮, ০৩:৪০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সবার নজর খুলনায় : কে হাসবেন শেষ হাসি?

কেএম হোসেইন : খুলনায় সব শঙ্কা কাটিয়ে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। রাত পোহালেই খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচন। মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এই নির্বাচনে ভোট নেওয়া হবে। এরই মধ্যে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে নির্বাচনি সামগ্রী। সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে আয়োজক সংস্থা নির্বাচন কমিশন (ইসি) ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। তারা প্রত্যাশা করছে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের। একইসঙ্গে নির্বাচনে কারচুরি ও বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে সাংবিধানিক এই সংস্থাটি। পুলিশ ও আনসার সদস্যরা ইতোমধ্যে কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন। নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে টহল দিচ্ছেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা

চারদিকে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। নগরজুড়ে একটিই আলোচনা কে হচ্ছেন নগরপিতা। শুধু অপেক্ষা ভোট গণনার। সকাল ৮টা থেকে শুরু হবে ভোটগ্রহণ। চলবে একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এবারের নির্বাচনে ৫ জন মেয়র প্রার্থী, সংরক্ষিত ১০টি ওয়ার্ডে ৩৯ জন এবং ৩১টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৪৮ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

স্থানীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এই ইউনিটের নির্বাচনে দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি অংশ নেওয়ায় তা নতুন মাত্রা পেয়েছে। বিশেষ করে করপোরেশনের শীর্ষ (মেয়র) পদটি দলীয় মনোনয়নে অনুষ্ঠানের কারণে দল দুটির আগ্রহ বেড়েছে। আবহ তৈরি হয়েছে জাতীয় নির্বাচনের। চলতি বছরের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠেয় একাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনকে জাতীয় নির্বাচনের মহড়া হিসেবে দেখা হচ্ছে। ফলে সবার চোখ এখন শিল্পনগরী খুলনার দিকে।

খালেক ও মঞ্জু কে কোথায় ভোট দেবেন :
প্রধান দুই মেয়র প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগের তালুকদার আব্দুল খালেক ২২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তিনি মঙ্গলবার সকাল ৮টায় পাইওনিয়ার গালর্স স্কুলে ভোট প্রদান করবেন। বিএনপির প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু ২৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তিনি সকাল সাড়ে ৮টায় রহিমা খাতুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দেবেন।

রবিবার থেকে ৪ দিন নিরাপত্তার চাদরে খুলনা
সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে খুলনা শহর এখন নিরাপত্তা চাদরে ঢাকা রয়েছে। রবিবার থেকে নির্বাচনি এলাকায় পুলিশ, বিজিবি, র্যা ব, আনসার-ভিডিপি, ব্যাটালিয়ন আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত হয়েছে। তারা ভোটের পরদিন বুধবার (১৬ মে) পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করবে।

নির্বাচনে খুলনার ২৮৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ২৩৪টিকে ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনা করে সেখানে বাড়তি নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি সাধারণ কেন্দ্রে ২২ জন ও গুরুত্বপূর্ণ (ঝুঁকিপূর্ণ) ২৪ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ভোটের সময় নিয়োজিত থাকছেন। এছাড়া পর্যাপ্তসংখ্যক নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করছেন। এর বাইরে একজন যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে কমিশনের ৩২ জন কর্মকর্তা প্রতিটি ওয়ার্ডে পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন।

খুলনায় ভোটের দিন ৪৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং ১০ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট ১০ জন দায়িত্ব পালন করবেন। কেন্দ্রে নিরাপত্তা বাহিনীর বাইরে পুলিশ-এপিবিএন-আনসার ব্যাটালিয়নের সমন্বয়ে গঠিত ১০টি মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স, র্যা বের ৩১টি টিম ও ১৬ প্লাটুন বিজিবি নির্বাচনি এলাকায় মোতায়েন রয়েছে। রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে আরও ৩-৪ প্লাটুন অতিরিক্ত বিজিবি মোতায়েন রাখা হয়েছে।

এক নজরে খুলনা সিটি নির্বাচনের তথ্য
খুলনা সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ৫ জন। তারা হলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক (নৌকা), বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জু (ধানের শীষ), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুজ্জাম্মিল হক (হাত পাখা), সিপিবির মিজানুর রহমান বাবু (কাস্তে) এবং জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী এস এম শফিকুর রহমান (লাঙ্গল)।

সিটির ৩১টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১৪৮ জন এবং ১০টি ওয়ার্ডের সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র ২৮৯টি ও ভোটকক্ষ ১ হাজার ৫৬১টি। নির্বাচনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৪৮ হাজার ৯৮৬ জন এবং নারী ২ লাখ ৪৪ হাজার ১০৭ জন।

দুটি কেন্দ্রে ইভিএম
খুলনার দুই কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট নেওয়া হবে। দুটি কেন্দ্রের ১০টি ভোটকক্ষের প্রতিটিতে একটি করে ইভিএম থাকবে। ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের শেরেবাংলা রোডের সোনাপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের (২০৬ নম্বর কেন্দ্র) ১ হাজার ৯৯ জন ভোটারের জন্য ৪টি ভোটকক্ষে এবং ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের খানজাহান আলী রোডের পিটিআই জসিম উদ্দীন হোস্টেলের নিচতলার কেন্দ্রে (২৩৯ নম্বর কেন্দ্র)১ হাজার ৮৭২ ভোটারের জন্য ৬টি ভোটকক্ষ রয়েছে।

উল্লেখ্য, খুলনা সিটিতে সবশেষ ভোট হয় ২০১৩ সালের ১৫ জুন। ২০১৩ সালের ১৫ জুন অনুষ্ঠিত খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নাগরিক ফোরামের প্রার্থী মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনি আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্মিলিত নাগরিক কমিটির প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেককে হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়