নূর মাজিদ: ইসরাইলের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মুদ্রিত বিশেষ কয়েনে এবার স্থান পাচ্ছে ট্রাম্পের প্রতিকৃতি। বাইবেলে বর্ণিত পারস্য সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা রাজা সাইরাস দ্য গ্রেটের প্রতিকৃতির সঙ্গে স্থান পাচ্ছেন ট্রাম্প। ২৫০০ বছর আগে সাইরাস ইহুদীদের বন্দীদশা থেকে মুক্ত করে জেরুজালেমে ফিরে যাবার ব্যবস্থা করেন। জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তর করে ট্রাম্প একটি ঐশ্বরিক প্রতিশ্রুতি বা ভবিষ্যৎবাণীর বাস্তবায়ন করেছেন বলেই ইসরাইলিরা মনে করছে।
মার্কিন সংবাদ মাধ্যম এবিসি নিউজ সোমবার জানায়, জেরুজালেমে দূতাবাস উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সকল আয়োজন সম্পন্ন করেছে মার্কিন কতৃপক্ষ। এর মাধ্যমে ইসরাইলের দাবী অনুসারে জেরুজালেমকেই দেশটির রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিলো যুক্তরাষ্ট্র।
ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাতে ইহুদীরা জেরুজালেমের পবিত্র দেয়ালের কাছে সমবেত হন। ইসরাইলের প্রভাবশালী ধর্মীয় সংগঠন মিকদাশ এর মুখপাত্র রাবাই মর্দেচাই পেরশোভ জানান, “ঠিক আড়াই হাজার বছর আগে স¤্রাট সাইরাস বলেছিলেন ঈশ্বর আমাকে জেরুজালেমে একটি ঘর নির্মাণের আদেশ দিয়েছেন, এবং ট্রাম্প আজ সেই ঘর বানিয়ে ঐশ্বরিক প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করলেন।”
ইসরাইল প্রতিষ্ঠার ৭০ বছর বার্ষিকীর স্মারক কয়েনে তাই ট্রাম্পের ঐশ্বরিক অবদানকে স্বীকৃতি জানিয়ে তার প্রতিকৃতি সংযুক্ত করা হবে। তবে এই কয়েনটি কোন অর্থনৈতিক লেনদেনে ব্যবহার করা যাবেনা। স্মারক কয়েনটির দুটি সংস্করণ বের করা হবে। এর একটি সোনার পাতে মোড়ানো হবে এবং অপরটি রুপার পাতে মোড়ানো থাকবে। প্রথমটির সংগ্রহমুল্য ধরা হবে ৫৬ইউরো এবং দ্বিতীয়টি ৩৬ইউরোর বিনিময়ে সংগ্রহ করা যাবে।
এদিকে জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তরে ট্রাম্পের ভুমিকাকে অভিনন্দন জানিয়ে ইসরাইলের সকল প্রধান প্রধান শহরের রাস্তায় অসংখ্য ব্যানার টাঙ্গানো হয়েছে। ব্যানারগুলোয় লেখা ছিলো ‘ট্রাম মেক ইসরাইল গ্রেট’ এবং ‘ট্রাম্প ইজ এ ফ্রেন্ড অব জায়ন’। অর্থাৎ ট্রাম্প ইসরাইলকে মহান করেছেন এবং তিনি ইহুদিদের বন্ধু। এসময় রাজধানী তেল আবিভ এর রাস্তায় হাজার হাজার ইসরায়েলি ট্রাম্পের নামে উচ্ছসিত স্লোগান দিয়ে আনন্দ মিছিল করেছেন। ডেইলি মেইল
আপনার মতামত লিখুন :