আরএইচ রফিক,বগুড়া: অবশেষে ঘটনার প্রায় ৯দিন পর বগুড়ার শিবগঞ্জে বহুল আলোচিত ফোর মার্ডার ঘটনা রহস্য উদঘাটন এর দাবী করলো বগুড়া জেলা পুলিশ । কিলিং মিশনে জরিতদের মধ্য ৩জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ । তবে পুলিশের দাবীর পরও হত্যাকান্ডের মোটিভ সমপর্কে এখনো পরিস্কার কোন ধারনা পাওয়া যায়নি।
সোমবার জেলা পুলিশ সদরে অনুষ্ঠিত এক প্রেস ব্রিফিং ও অবহিত সভায় সাংবাদিকদের কাছে এ দাবী করেছেন বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঞা বিপিএম ।
যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা হল, শিবগঞ্জের ডাবইর গ্রামের রফিকুল শেখের পুত্র জুয়েল শেখ (২৫)একই গ্রামের মৃত বক্করের পুত্র রুবেল (৪৮) এবং অন্যজন একই উপজেলার চন্দনপুর তালুকদারপাড়ার আব্দুস সামাদের পুত্র আবুল কালাম আজাদ (৪৮)। আগের ২৪ ঘন্টায় পৃথক অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ । এদের মধ্য আটক জুয়েল শেখ এবং পলাতক অন্যজন তাদের নিজ হাতে জবাই করেছে বলে সাংবাদিকেদের জানানো হয় ।
অবহিত করন অনুষ্ঠানে এসপি দাবী করেন চিহ্নিত করা হয়েছে অন্যসকল অপরাধীদের পরিচয়। মাত্র ৬হাজার পাওনা টাকাকে কেন্দ্র করে এই ফোর মার্ডার এর ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান ।
এসময় তিনি উল্লেখ করেন, সেন্ট্রাল পুলিশ ইন্টালিজেরন্স এর সহায়তায় জেলা পুলিম এর যৌথ পরিচালনায় ঘটনার প্রায় ২/৩দিন আগে এই হত্যা পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ওই ফোর মার্ডার কিলিং মিশনে অংশ নিয়েছির সর্ব মোট অংশ নিয়েছিল ৯জন । তাদের মধ্য ৩জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ সুপার উল্লেখ করেন যে, এক্ষেত্রে টাকা পাওনা ও পূর্ব শত্রতার জের নিয়ে জাকারিয়া নামের একজনকে হত্যার পরিকল্পনা করা হলেও এ ঘটনায় অন্য ৩জন এঘটনায় বলির শিকার হয়েছেন । অর্থাৎ একজনকে হত্যার পরিকল্পনা করা হলেও হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন আরো ৩জন ।
হত্যাকান্ডের রাতে মাদক খাওয়ার কথা বলে জাকারিয়াকে বাড়ী থেকে রুবেরের বাড়ী যেতে বলা হয় । এসময় তার সাথে সাবুল নামের অপর একবন্ধু যায় তার সাথে । পরিকল্পনা মত প্রথমে তাদের দু’জনকে জবাই করে হত্যা করা হয় । পুলিশ সুপার জানান, ওই সময় জয়পুর হাট পুনট বাজার এলাকার আজার আলীর ছেলে হেলাল উদ্দিন এবং একই এলাকার নান্দাইল দীঘি গ্রামের ছামছুদ্দিন মন্ডল এর পুত্র মো. খবির উদ্দিন মন্ডলকে বিষয়টি জেনে যাবার কারনে একই ভাবে হাত পা ভেধে জবাই করা হয় ।
এসময তারা দুজন ওই এলাকা দিয়ে ঢাকায় যাচ্ছিলেন বলে সাংবাদিকদের জানান তিনি। ওই হত্যাকান্ড ঘটনার ইতি পূর্বে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নারী পুরুস সহ মোট ৬জনকে আটক করে পুলিশ ।
এদিকে পরে গতকাল বিকালে বগুড়া পুলিশ সুপার আটক কিলার জুয়েল শেখকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান । তিনি এসময় জুয়েলের দেখিয়ে দেয়া হত্যাকান্ডের স্থান পরিদর্শন করে।
উল্লেখ্য, গত ৭মে সোমবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার আটমূল ইউনিয়নের ডাবুইর গ্রামের ধানক্ষেতে বহুল আলোচিত ৪ ব্যক্তির হাত, পা বাধাঁ গলাকাটা লাশ স্থানীয় এলাকাবাসী দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়।
হত্যাকন্ডের শিকার হলেন এলাকার ভাইয়ের পুকুর বাজারের পান বিক্রেতা ও কাঠগাড়া গ্রামের আছির উদ্দিন এর ছেলে সাবরুল (৩৫) একই গ্রামের রং মিস্ত্রী জহুরুল ইসলাম এর ছেলে জাকারিয়া (৩২) জয়পুর হাট জেলার পুনট বাজার এলাকার আজার আলীর ছেলে হেলাল উদ্দিন (৩৫) । জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার নান্দাইল দীঘি গ্রামের ছামছুদ্দিন মন্ডল এর পুত্র মো. খবির উদ্দিন মন্ডল (৩০)।
আপনার মতামত লিখুন :