শিরোনাম
◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও

প্রকাশিত : ১৫ মে, ২০১৮, ০১:৪৭ রাত
আপডেট : ১৫ মে, ২০১৮, ০১:৪৭ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিমান বাহিনীর ১ ও ৩ নং স্কোয়াড্রন এবং ট্রেনিং উইংকে পতাকা প্রদান

ইসমাঈল হুসাইন ইমু : বিমান বাহিনীর ১ ও ৩ নম্বর স্কোয়াড্রন এবং ট্রেনিং উইংকে পতাকা প্রদান করেছেন বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল আবু এসরার। সোমবার বিমান বাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হকে এ পতাকা প্রদান করা হয়।

এর আগে বিমান বাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হক এর প্যারেড গ্রাউন্ডে এসে পৌঁছলে বিমান বাহিনী প্রধানকে স্বাগত জানান ঘাঁটির এয়ার অধিনায়ক এয়ার কমডোর মোরশেদ হাসান সিদ্দিকী।

মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অসামান্য অবদানের মধ্য দিয়ে ১নম্বর স্কোয়াড্রনের যাত্রা শুরু হয়। ১৯৭১ সালে ২৮ সেপ্টেম্বর ভারতের ডিমাপুরে গঠিত কিলোফ্লাইটের মাধ্যমে ৫০টি সফল আক্রমণ পরিচালনা করে স্বাধীনতা যুদ্ধের বিজয়কে ত্বরান্বিত করার ব্যাপারে উক্ত স্কোয়াড্রন বিশেষ অবদান রেখেছিল। ১ নম্বর স্কোয়াড্রন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর অপারেশনাল কর্মকান্ডের পাশাপাশি পার্বত্য চট্রগ্রামে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে নিরবিচ্ছিন্নভাবে সহায়তা প্রদান করে আসছে।

এছাড়াও উক্ত স্কোয়াড্রন কর্তৃক ১৯৯১ সালের প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছাস এবং ২০০৭ সালে বাংলাদেশের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ভয়াবহ সিডর এ ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের জন্য পরিচালিত রিলিফ মিশন সর্বমহলে স্বরণীয় হয়ে আছে। এই স্কোয়াড্রনটি সুদক্ষ বৈমানিক গড়ার সুনিপুণ প্রশিক্ষণ অব্যাহত রেখেছে, যার ফলে বৈমানিকরা দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশের মাটিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণে সক্ষমতার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জল করেছে।

‘সদা জাগ্রত সদা প্রস্তুত’ মন্ত্রে দীক্ষিত ৩ নম্বর স্কোয়াড্রনের অপারেশনাল কর্মকান্ডের সূচনা হয় ১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর চট্রগ্রামস্থ তৎকালীন ইস্টার্ন রিফাইনারী এবং বন্দর এলাকায় একটি অটার বিমান কর্তৃক দুঃসাহসিক অভিযানের মাধ্যমে। জন্মলগ্ন থেকে উক্ত স্কোয়াড্রনটি বিমান পরিবহন, প্রাকৃতিক দূর্যোগ পরবর্তী উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম, ছত্রীসেনাদের প্রশিক্ষণ এবং সশস্ত্র বাহিনীর জনবল ও মালামাল পরিবহনের মত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে আসছে। তাছাড়াও এই স্কোয়াড্রনটি দেশের বাইরে সংঘটিত বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ পরবর্তী ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রমে অসামন্য অবদান রেখে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জল করেছে। অত্র স্কোয়াড্রন বিপুল সংখ্যক বৈমানিক ও কারিগরীকর্মীকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে।

স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় একটি সুসজ্জিত বিমান বাহিনী গঠনের লক্ষ্যে ২৬ জুলাই ১৯৭৫ সালে বিমান বাহিনী ট্রেনিং উইং প্রতিষ্ঠিত হয়। কালের পরিক্রমায় ট্রেনিং উইং বিমান বাহিনীর চালিকাশক্তি বিমানসেনাদের অন্যতম প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পরিনত হয়েছে। অদ্যাবধি ট্রেনিং উইং এর মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩২১ জন, নৌ বাহিনীর ৩৯৩ এবং শ্রীলংকা বিমান বাহিনীর ২৫৭ জন প্রশিক্ষণার্থীসহ সর্বমোট ৬৩০০০ এর ও অধিক প্রশিক্ষণার্থীকে প্রশিক্ষণ প্রদান করে দক্ষ জনশক্তিতে পরিনত করে দেশের উন্নয়নে অসামান্যঅবদান রাখছে। উক্ত স্কোয়াড্রনদ্বয় ও ট্রেনিং উইং এর স্বীকৃতিস্বরূপ বিমান বাহিনী পতাকা প্রদান করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়