লিহান লিমা, ওমর শাহ: তেলআবিব থেকে জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তরের প্রতিবাদে সোমবার ইসরায়েলের সীমান্তের কাছে বিক্ষোভ করেছে ফিলিস্তিনের নাগরিকরা। সীমান্তের ১০টি স্থানে প্রায় হাজারো মানুষের করা এই বিক্ষোভে এই পর্যন্ত ৫৮ জন নিহত ও আড়াই হাজারেরও বেশি আহত হয়। খবর: আল জাজিরা
এদিকে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জেরুজালেম পোস্টের খবরে সোমবার বলা হয়, বিক্ষোভে গাজায় অন্তত ৪৫ জন ফিলিস্তিনি ইসরায়েলি সেনাদের হাতে নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে হাজারেরও বেশি। এর মধ্যে ৯১৮ জন গুলিতে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন । নিহতদের মধ্যে রয়েছে ১৪ বছরের এক কিশোর। আহতদের মধ্যে ৮ জন সাংবাদিক, ২৩ জন নারী এবং ৭৪ জন শিশু।
এদিকে সোমবার এক টুইট বার্তায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘ফক্স নিউজ এবং ফক্স বিজনেস এ জেরুজালেমে দূতাবাস উদ্বোধন সরাসরি দেখানো হচ্ছে। ইসরায়েলের জন্য এটি একটি সেরা দিন।’ ইসরায়েলের শিক্ষামন্ত্রী নাফতেলি বেনেট টুইট বার্তায় ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘ইহুদি রাষ্ট্রের বন্ধু হিসেবে আপনাকে আমরা চিরকাল মনে রাখব। ইশ্বর আপনার সহায় হোক। ইশ্বর আমেরিকা ও ইসরায়েলের সহায় হোক।’ এর আগে মার্কিন দূতবাস উদ্বোধন করতে রোববার ইসরায়েল পৌঁছান ট্রাম্পকন্যা ইভানকা ট্রাম্প ও তার জীবনসঙ্গী জ্যারেড কুশনার।
এদিকে ইসরায়েলের বামপন্থী দল ‘মারেতজ’ দূতাবাস উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। দলের চেয়ারম্যান তামার জেন্ডবার্গ বলেন, ‘আমরা জেরুজালেম বা যুক্তরাষ্ট্রকে বয়কট করছি না। নিজেদের অবস্থান ব্যক্ত করছি। দূতবাস স্থানান্তর শান্তি প্রতিষ্ঠা করবে না।’ প্রসঙ্গত সোশাল ডেমোক্রেটিক এই দলটি দ্বি-রাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধান, ধর্মনিরপেক্ষতা, সামাজিক অধিকার এবং মানবাধিকারের বিশ্বাসী।
ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রনেন ম্যানিয়েলস বলেন, ‘সীমান্তের ১০টি স্থানে প্রায় ২০ হাজার ফিলিস্তিনি বিক্ষোভ করছে। প্রতিটি স্থানেই হামাসের নেতৃত্বে সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।’
৩০ মার্চ থেকে ইসরায়েলের প্রতিষ্ঠা উপলক্ষ্যে চলা বিক্ষোভে এই পর্যন্ত ৬১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ১৯৪৮ সালে লাখ লাখ ফিলিস্তিনিকে নিজভূমি থেকে বিতাড়িত করে ইসরায়েলের সৃষ্টি। তাই অধিকার ফিরে পেতে প্রতি বছরের ৩০ মার্চ ‘ফিরে যাওয়ার আন্দোলন’ করে নিজভূমিতে শরণার্থী ফিলিস্তিনিরা। জেরুজালেম পোস্ট, আল জাজিরা।
আপনার মতামত লিখুন :